হঠাৎ করে দর বৃদ্ধি ও লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বীমা খাত। গত সপ্তাহের শেষ দুই কার্যদিবসে খানিকটা দর বৃদ্ধির ধারায় ফেরার পর চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে তা স্পষ্ট হয়। সোমবার দর বৃদ্ধি ও লেনদেনে এ খাত ব্যাপক প্রাধান্য বিস্তার করেছে। দর বৃদ্ধির শীর্ষ ৩০ শেয়ারের মধ্যে ২৭টিই ছিল এ খাতের।

 দশের প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে তালিকাভুক্ত বীমা কোম্পানি আছে ৫৭টি। এর মধ্যে ৪১টিরই দর বেড়েছে। বিপরীতে মাত্র চারটির দর কমেছে, অপরিবর্তিত ছিল ১১টির দর। সোমবার ডিএসইতে মোট শেয়ার ফ্লোর প্রাইস থেকে বের হয়েছে। এর সবক’টিই ছিল বীমা খাতের শেয়ার। এগুলো হলো– বাংলাদেশ ন্যাশনাল, প্যারামাউন্ট, পিপলস, ফিনিক্স, পাইওনিয়ার, সোনার বাংলা ও ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স। এর ফলে ফ্লোর প্রাইসে থাকা এ খাতের শেয়ার ১০টিতে নেমেছে।

পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চার শেয়ারের দর কমার পরও বীমা খাতের সব শেয়ারের দর গড়ে সোয়া ২ শতাংশ হারে বেড়েছে। খাদ্য খাতের এমারেল্ড অয়েল ছাড়া দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ শেয়ারের বাকি সবক’টিই ছিল বীমা কোম্পানি। ৯ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত দর বেড়েছে মেঘনা, ট্রাস্ট ইসলামী, ক্রিস্টাল, প্যারামাউন্ট, কন্টিনেন্টাল ও ফেডারেল ইন্স্যুরেন্সের।

আবার একক খাত হিসেবে লেনদেনেও শীর্ষে উঠে এসেছে বীমা। গতকাল খাতটির ৫৬ কোম্পানির কেনাবেচা হওয়া সব শেয়ারের মোট মূল্য ছিল ১৩০ কোটি ৬১ লাখ টাকা, যা আগের দিনের তুলনায় ৪৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকা বেশি। অবশ্য লেনদেনের শীর্ষ ১০ শেয়ারের মধ্যে রূপালী লাইফই ছিল এ খাতের একমাত্র শেয়ার।

ব্রোকারেজ হাউসের কর্মকর্তারা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে মার্জিন ঋণ নীতিমালায় ছাড়ের ইস্যুটির কারণে বীমার শেয়ারদর বৃদ্ধির কারণ হতে পারে বলে গুঞ্জন আছে শেয়ারবাজারপাড়ায়। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি সম্প্রতি মার্জিন ঋণ নীতিমালা সংশোধন করে জানায়, টানা তিন বছর ধরে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে থাকা কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকা বা তার বেশি হলে ওইসব কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ৫০ পিই রেশিও পর্যন্ত মার্জিন ঋণ দেওয়া যাবে।

এদিকে গতকালও ডিএসইতে সার্বিকভাবে দর হারানো শেয়ার ছিল বেশি। লেনদেন হওয়া ৩৪৪ শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৭০টির দর বেড়েছে। এর মধ্যে ৪১টি বীমা খাতের। মোট ৮৪টির দর কমেছে এবং ১৯০টির দর ছিল অপরিবর্তিত।

প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৩ পয়েন্ট হারিয়ে ৬২৬০ পয়েন্টে নেমেছে। এ নিয়ে সর্বশেষ তিন দিনে সূচকটি হারাল ১৯ পয়েন্ট। তবে রোববারের তুলনায় সার্বিক লেনদেন সাড়ে ১৭ কোটি টাকা বেড়ে ৬৫৪ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে।