বিকাশ ও নগদের মতো মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেমের মাধ্যমে প্রতারণার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এ ছাড়া প্রত্যেক আসামিকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। 

ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত বুধবার আসামিদের দোষ স্বীকারের ভিত্তিতে এ রায় ঘোষণা করেন। বর্তমানে এই আসামিরা জামিনে ছিলেন। তবে রায়ে তাদের হাজতবাসকালে সময়কে সাজা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। রায় ঘোষণার সময় সব আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো– ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার চর ব্রাহ্মণপাড়া গ্রামের রিফাত মুন্সি, ফরহাদ মোল্লা, সিংগাইর গ্রামের সাগর খলিফা, ব্রাহ্মণপাড়া গ্রামের নিসাত ওরফে নিসাদ, সদরপুর থানার বাবু মুন্সি, জাহিদ মোল্লা, জঙ্গলপাশা গ্রামের শামীম খান ও গাজীপুর কালিয়াকৈর থানার ডুরাইল গ্রামের শিপন হোসেন। তাদের মধ্যে রিফাত গ্রেপ্তারের পর প্রায় ৯ মাস, ফরহাদ, বাবু ও শামীম প্রায় ৩ মাস এবং সাগর প্রায় ২ মাস কারাগারে ছিল। 

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম জানান, মামলাটির চার্জ গঠনের শুনানির জন্য আজ দিন ধার্য ছিল। শুনানির সময় আদালতে আসামিরা দোষ স্বীকার করেন। গ্রেপ্তারের সময় আসামিদের কাছ থেকে জব্দ হওয়া ২ লাখ ৮০ হাজার ৫০০ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমার আদেশ দেন আদালত। পাশাপাশি ৫ আসামির হাজতবাস সময়কালকে কারাদণ্ড হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। 

২০২১ সালের ৭ আগস্ট ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানায় এ মামলা করা হয়। 

মামলায় বলা হয়, আসামি রিফাত মুন্সি তার বাসাকে বিকাশ বা নগদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবহার করত। সেখানে তারা সংগ্রহ করত বিকাশ ও নগদ গ্রাহকদের নম্বর। পরে নিজেদের বিকাশ ও নগদ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিচয় দিয়ে গ্রাহকদের ফোন করে অ্যাকাউন্ট সচল রাখার কথা বলত। এ সময় গ্রাহকদের গোপন পিন কোড সংগ্রহ করে প্রতারকরা বিভিন্ন নম্বরের অ্যাপে নগদ টাকা এনে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করত। 

২০২১ সালের ৬ আগস্ট রিফাত, বাবু, ফরহাদ, শামীম ও সাগরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে প্রতারণার ২ লাখ ৮০ হাজার ৫০০ টাকা এবং প্রতারণায় ব্যবহৃত ২৫টি মোবাইল ফোনসেট ও সিম জব্দ করা হয়।