মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এবারের মুদ্রানীতি হবে সংকোচনমূলক। এখন মূল্যস্ফীতির অন্যতম উৎস আমদানিজনিত। ফলে আগামীতে আমদানিনির্ভরতা আরও কমিয়ে দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধির ওপর জোর দিতে হবে। নতুন  মুদ্রানীতি প্রণয়ন সামনে রেখে অনুষ্ঠিত প্রথম বৈঠকে এমন পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সভাপতিত্বে প্রথম বৈঠকে ডেপুটি গভর্নর ও নির্বাহী পরিচালক পদমর্যাদার কর্মকর্তারা এবং মুদ্রানীতি প্রণয়ন সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের ওপর জোর দেওয়া হয়। আর এ ক্ষেত্রে বিদ্যমান ৯ শতাংশ সুদহারের সীমা তুলে দেওয়ার পক্ষে অনেকেই মত দেন।

জানা গেছে, আগামী জুনের শেষ সপ্তাহে চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণার সম্ভাব্য তারিখ ঠিক করা হয়েছে। মাঝে কয়েক বছর অর্থবছরে একবার করে মুদ্রানীতি ঘোষণা করলেও আইএমএফের শর্তের আলোকে বছরে দু’বার ঘোষণা করা হবে।

বৈঠকে উপস্থিত একজন কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, বর্তমান বিশ্ব বাস্তবতায় প্রবৃদ্ধি অর্জনের চেয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাড়তি জোর দেওয়ার পরামর্শ এসেছে।  মূল্যস্ফীতির বেশিরভাগই আমদানিনির্ভর। ফলে আমদানি কমিয়ে দেশীয় উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়ার পরামর্শ এসেছে।  মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সারাবিশ্বে সুদহার বাড়লেও বাংলাদেশে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। বিদ্যমান ৯ শতাংশ সুদহারের সীমার কারণে চাইলেও আমানতে বেশি সুদ দিতে পারছে না ব্যাংক। এতে করে আশানুরূপ আমানত না পেয়ে ঋণও সেভাবে বাড়াতে পারছে না। অবশ্য আইএমফের শর্ত মেনে আগামী জুলাই থেকে সুদহারের নতুন একটি ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। তবে সেখানেও এমন ব্যবস্থা থাকবে, যেন ব্যাংকগুলো সুদহার একবারে অনেক বাড়াতে না পারে।