টানা দ্বিতীয় দিনে কমেছে বীমা খাতের শেয়ার দর ও লেনদেন। মঙ্গলবার প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে দরপতনের শীর্ষ ১০ শেয়ারের মধ্যে আটটি ছিল এ খাতের। এর আগে বেশ কয়েক দিন বাড়ে এ খাতের শেয়ার দর ও লেনদেন। এ ছাড়া সোমবার মিউচুয়াল ফান্ড খাতে হঠাৎ দর ও লেনদেন বেড়েছিল। গতকাল এগুলোরও দাম ও লেনদেন কমেছে।

তবে সার্বিক হিসাবে ডিএসইতে দর হারানো শেয়ার সংখ্যার তুলনায় দর বৃদ্ধি পাওয়া শেয়ার কিছুটা বেশি ছিল। ৯৩ শেয়ারের দর বৃদ্ধির বিপরীতে ৮৬টির দর কমেছে। অপরিবর্তিত থেকেছে ১৯৫টির দর। ক্রেতার অভাবে ১৮ শেয়ার ও ফান্ডের লেনদেন হয়নি।

লাফার্জ-হোলসিম, ইউনিক হোটেলসহ কয়েকটি বড় মূলধনি কোম্পানির শেয়ারসহ তুলনামূলক বেশি সংখ্যক শেয়ারের দর বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ৬৩৪৫ পয়েন্টে উঠেছে। ক্লোজিং পয়েন্টের হিসাবে গত ১০ নভেম্বরের পর এটাই সূচকের সর্বোচ্চ অবস্থান।

গতকাল ডিএসইতে মোট ৯৭৬ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, যা সোমবারের তুলনায় প্রায় ২০০ কোটি টাকা কম। এর মধ্যে বীমার লেনদেন ৪০ কোটি টাকা কমে ২৬৩ কোটি টাকায়, মিউচুয়াল ফান্ড খাতের লেনদেনও প্রায় ১১ কোটি টাকা কমে সাড়ে ১৬ কোটি টাকায় নেমেছে। তবে ওষুধ খাতের লেনদেন সাড়ে ৩২ কোটি টাকা বেড়ে ১১৭ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে।

পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গতকাল প্রায় ১০ শতাংশ দর বেড়ে শীর্ষে ছিল আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ। সর্বশেষ তিন কার্যদিবসে ১১ টাকা ৬০ পয়সা দর বেড়ে ৬৫ টাকায় উঠেছে। সার্কিট ব্রেকারের নিয়ম অনুযায়ী এটাই ছিল এ কোম্পানির গতকালের সর্বোচ্চ দরসীমা। আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ ছাড়াও ডিএসইতে আরও সাত কোম্পানির শেয়ার সার্কিট ব্রেকার নির্ধারিত সর্বোচ্চ দরে কেনাবেচা হয়। এগুলো হলো– জুট স্পিনার্স, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার, মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ, নাভানা ফার্মা, নর্দার্ন জুট, ন্যাশনাল টি এবং নতুন তালিকাভুক্ত ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স।

এর মধ্যে জুট স্পিনার্সের দর গত এক মাসে দ্বিগুণের বেশি বেড়ে ৪৫৪ টাকা ৯০ পয়সা, লিগ্যাসি ফুটওয়্যারের দর গত দুই সপ্তাহে ৬৫ শতাংশ বেড়ে ১১৮ টাকা, বন্ধ কোম্পানি মেঘনা পেটের শেয়ার দর দুই সপ্তাহেরও কম সময়ে ৬২ শতাংশ বেড়ে ৪৬ টাকা, নাভানা ফার্মার দর ৩৩ শতাংশ বেড়ে ১০৭ টাকা, নর্দার্ন জুটের দর ৪৩ শতাংশ বেড়ে ২৮৫ টাকা ছাড়িয়েছে।

বিপরীতে বোনাস লভ্যাংশ সংক্রান্ত দর সংশোধনের পর ট্রাস্ট ব্যাংকের শেয়ার ৯ শতাংশ দর হারিয়ে ৩১ টাকা ৭০ পয়সায় নেমেছে। কয়েক দিন বাড়ার পর প্রায় ৯ শতাংশ কমে দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের দর ৩৪ টাকা ২০ পয়সায় নেমেছে।