- অর্থনীতি
- আঞ্চলিক ব্যবসায়িক সংগঠনের নেতারা তুষ্ট
বাজেট প্রতিক্রিয়া
আঞ্চলিক ব্যবসায়িক সংগঠনের নেতারা তুষ্ট

২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটকে উন্নয়ন ও গণমুখী হিসেবে মন্তব্য করেছেন দেশের বিভিন্ন ব্যবসায়ী চেম্বারের নেতারা। তাঁরা প্রস্তাবিত এ বাজেটকে সময়োপযোগী ও ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।
চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ঘোষিত বাজেট স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ সহায়ক হবে। পাশাপাশি আমদানিকে নিরুৎসাহিত করে দেশীয় শিল্পকে সমৃদ্ধ করতে সহায়তা করবে। তবে সিমেন্ট উৎপাদনের প্রধান কাঁচামাল ক্লিংকার আমদানিতে সুনির্দিষ্ট শুল্ক বাড়ানোয় অবকাঠামোগত উন্নয়নের খরচ আরও বেড়ে যাবে। তাই অবকাঠামোগত উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে এই শুল্ক আেগর মতো রাখার সুপারিশ করছি।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, বাজেটে নিয়মিত কর প্রদানকৃত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ওপর করের বোঝা না বাড়িয়ে নতুন করদাতা সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।
খুলনা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি কাজি আমিনুল হক বলেন, বাজেটে ব্যক্তিশ্রেণির আয়কর সীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকা, নারী ও বয়স্কদের আয়করসীমা ৪ লাখ টাকা করায় সাধারণ মানুষ ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন।
রাজশাহী চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু বলেন, বাজেটে কৃষিভিত্তিক অঞ্চল রাজশাহীকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। ফলে বিভিন্ন খাদ্যপণ্য সংরক্ষণ ও বিদেশে রপ্তানি করার সুযোগ তৈরি হবে।
সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি তাহমিন আহমদ বলেন, করোনা মহামারি কাটিয়ে ওঠার পর ইউক্রেন যুদ্ধ, আগামী জাতীয় নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় নিয়ে যে বাজেট হয়েছে তা স্মার্ট ও জনবান্ধব বলা যায়। তবে পর্যটন খাতে কোনো বরাদ্দ চোখে পড়েনি। পাশাপাশি শিক্ষা ও কারিগরি খ্যাতে আরও বরাদ্দ বেশি প্রয়োজন ছিল।
রংপুর চেম্বারের সভাপতি মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটু বলেন, বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধরে রাখাসহ সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থার ভারসাম্য রক্ষার যে কৌশল তুলে ধরা হয়েছে, তা অত্যন্ত সাহসী ও সময়োপযোগী।
বরিশাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সাইদুর রহসান রিন্টু বলেছেন, স্বাধীনতার পর এত বড় অঙ্কের বাজেট আর কোনো সরকার দিতে পারেনি। এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী পদক্ষেপের আরেকটি দৃষ্টান্ত।
বরিশাল মেট্রোপলিটন চেম্বর অব কমার্সের সভাপতি নিজাম উদ্দিন বলেন, ডলার সংকটের কারণে ব্যবসায়ীরা পণ্য আমদানিতে এলসি খুলতে পারছেন না। এ সংকট সমাধানে বাজেটে বিশেষ তহবিল রাখলে ব্যবসায়ীরা উপকৃত হতেন। তাছাড়া নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে আমদানিকে করমুক্ত রাখা হলে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে।
ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ-সভাপতি শংকর সাহা বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এবারের বাজেট গণমুখী হয়েছে। সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালুর ঘোষণা প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে। [প্রতিবেদনে তথ্য দিয়েছে চট্টগ্রাম ও বরিশাল ব্যুরো]
মন্তব্য করুন