প্রস্তাবিত বাজেটে ওষুধ ও মেডিকেল সরঞ্জামের কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক রেয়াত সুবিধা আরও এক বছর বাড়ানো হয়েছে। স্বাস্থ্য খাতে অগ্রাধিকার দিয়ে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত এ সুবিধা মিলবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পদক্ষেপ স্থানীয় শিল্পকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি স্বাস্থ্য খাত তার সুফল পাবে।

একই সঙ্গে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী হিসেবে স্যানিটারি ন্যাপকিন, ডায়াপার ও টয়লেট্রিজের কাঁচামাল আমদানি পর্যায়ে বিদ্যমান ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ বাড়ানোরও প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া চিকিৎসা আরও সাশ্রয়ী করতে বিদ্যমান শুল্ক মওকুফের তালিকায় অ্যান্টি-ক্যান্সার ও অ্যান্টি-ডায়াবেটিস ওষুধের আরও কাঁচামাল অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। ইন্ট্রাভেনাস ক্যানুলা তৈরির জন্য সিলিকন টিউব আমদানিতেও শুল্ক রেয়াত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসা আরও সুলভ করার উদ্দেশ্যে এ রোগে ব্যবহৃত ওষুধের ১০০টি কাঁচামাল বিদ্যমান ক্যান্সারের ওষুধের কাঁচামালসংশ্লিষ্ট প্রজ্ঞাপনে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। এ ছাড়া ডায়াবেটিক ম্যানেজমেন্টে অতীব প্রয়োজনীয় ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার্য তিনটি কাঁচামাল যুক্ত করা হচ্ছে।

বাজেটের এসব উদ্যোগে জনস্বাস্থ্য খাতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল হামিদ।

তিনি বলেন, অ্যান্টি-ক্যান্সার ও অ্যান্টি-ডায়াবেটিস ওষুধের কাঁচামাল আমদানিকে শুল্ক মওকুফের আওতায় আনা খুবই ভালো একটি পদক্ষেপ। সব ধরনের মেডিকেল কাঁচামাল শুল্কমুক্ত হওয়া উচিত। একই সঙ্গে এগুলোর মূল্য নির্ধারণে কড়া নজরদারিও থাকা দরকার।