আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আর্থিক কাঠামোকে ‘অলীক’ বলে আখ্যায়িত করেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)। সংস্থাটি বলেছে- বাজেটের আয় ও ব্যয় কাঠামো নির্ধারণের ক্ষেত্রে চলতি অর্থবছরের বাস্তবায়ন অভিজ্ঞতাকে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। কাঠামোগত এ দুর্বলতার কারণে বাজেটের বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। 

শুক্রবার বেলা ১১ টায় রাজধানীর গুলশানের হোটেল লেকশোরে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বিশ্লেষণে এ মতামত দিয়েছে সিপিডি। সংবাদ সম্মেলনে বাজেট বিশ্লেষণ উপস্থাপন করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। সংস্থার সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেমসহ সিপিডির গবেষকরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।   

সিপিডি বলেছে, সার্বিক অর্থনীতি ক্রমান্বয়ে দুর্বল হচ্ছে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ- এসব বিবেচনায় যে ধরনের পদক্ষেপ প্রয়োজন ছিল সেগুলো বিবেচনা করা হয়নি বাজেটে। 

সংস্থাটি আরও বলেছে, সামষ্টিক অর্থনীতির অনুমিত প্রক্ষেপণের সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। অর্থনৈতিক সংস্কারের কোনো প্রতিফলন নেই। বিভিন্ন চলক উচ্চাকাঙ্খী। 

মূল্যস্ফীতি  প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের তুলনায় ব্যাপকহারে কমে ৬ শতাংশে নেমে আসবে, যেখানে চলতি গোটা অর্থবছরজুড়ে মূল্যস্ফীতি উপরে ছিল। আসলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাজেটে কোনো পদক্ষেপ নেই।  আগামীতে মূল্যস্ফীতি আরও বেড়ে যেতে পারে। 

আইএমএফের শর্তের বিষয়ে প্রস্তাবিত বাজেটে প্রচ্ছন্ন আভাস রয়েছে। বিভিন্ন প্রস্তাবনায় আইএমএফের শর্ত পরিপালন করা হয়েছে। এ কারণে রাজস্ব আহরণে সরকারকে মরিয়া মনে হয়েছে। বাজেটে ভালো পদক্ষেপ হিসেবে করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে তিন লাখ টাকায় উন্নীত করার পদক্ষেপকে ইতিবাচক হিসেবে প্রশংসা করেছে সিপিডি। 

চলমান সার্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ খুঁজে বের করা এবং সমাধানে পর্যাপ্ত পদক্ষেপের কারণে বাজেট বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না বলে মনে করে সিপিডি।