পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৪ বছরে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের ফলে বিশ্ব পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের গুরুত্ব অনেক বেড়েছে।

কেনিয়ার নাইরোবিতে স্থানীয় সময় রোববার বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে জানানো হয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন দ্বিতীয় ইউএন-হ্যাবিটেট সম্মেলনে যোগ দিতে বর্তমানে কেনিয়ার নাইরোবিতে অবস্থান করছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অগ্রগতি এবং ভূ-রাজনৈতিক কারণে বাংলাদেশকে এখন অনেক দেশ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। এক্ষেত্রে আমরা বঙ্গবন্ধুর প্রদত্ত ‘সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’-এই পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করছি।

বাংলাদেশের উন্নয়ন যারা পছন্দ করে না, তাদের অনেকেই দেশে-বিদেশে অপপ্রচার ও গুজব ছড়াচ্ছে উল্লেখ করে তিনি এ ব্যাপারে সজাগ থাকতে প্রবাসীদের প্রতি আহবান জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে মানুষ এখন অনেক ভালো আছে। খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে আমরা এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। স্বাস্থ্য খাতেও অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করেছেন, যেখানে বিনামূল্যে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এ কারণে শিশুমৃত্যু, মাতৃমৃত্যু অনেক কমেছে, মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। এ ছাড়া শিক্ষার হারও অনেক বেড়েছে।

ড. মোমেন বলেন, কোভিড পরবর্তী সময় এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বের সব দেশে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে। আমাদের দেশেও কিছুটা বেড়েছে। তবে আমরা ধনী দেশ না হলেও, করোনাকালে গরীব মানুষের যাতে অসুবিধা না হয়, সেজন্য বিনামূল্যে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ১ কোটি পরিবারকে ভর্তুকি মূল্যে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সরকারের এসব অর্জন ধরে রাখতে হলে আমাদের দেশে স্থিতিশীলতা খুব প্রয়োজন। আমরা যদি স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে পারি তাহলে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে।

রূপকল্প ২০৪১-এর লক্ষ্য অর্জনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিরা প্রতি মাসে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স প্রেরণ করছেন। এর ফলে আমরা অনেক বড় বড় প্রকল্প গ্রহণ করতে পারছি।

অনুষ্ঠানে কেনিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারেক মুহাম্মদ, হাইকমিশনের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং কেনিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।