ঢাকা বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩

এসএমইর রপ্তানি বাড়াতে সহায়ক নীতির সুপারিশ

এসএমইর রপ্তানি বাড়াতে সহায়ক নীতির সুপারিশ

Advertisement
Advertisement

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৮:০০

প্রক্রিয়াগত জটিলতার কারণে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা সহজে পণ্য রপ্তানি করতে পারেন না। ডলার সংকট নিরসন ও প্রয়োজনীয় কর্মসংস্থান তৈরির জন্য এসএমই খাতের রপ্তানি সহায়ক নীতি প্রয়োজন। সোমবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টে (বিআইবিএম) অনুষ্ঠিত এক সেমিনারের আলোচনায় এমন সুপারিশ করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিআইবিএমর অধ্যাপক ড. শাহ মো. আহসান হাবিব। প্রতিবেদনে বলা হয়, রপ্তানির আবেদন বাতিল হওয়া এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য একটি বড় বাধা। মোটাদাগে এসএমই উদ্যোক্তাদের রপ্তানি আবেদন বাতিলের পাঁচটি কারণ রয়েছে। প্রথম কারণ অপর্যাপ্ত জামানত। জামানতের অভাবে ৩৬ শতাংশ এসএমই উদ্যোক্তার রপ্তানি আবেদন বাতিল হয়। উচ্চ সুদহারের কারণে বাতিল হয় ১৮ শতাংশ। আগের লেনদেনের তথ্য না থাকায় ১৭ শতাংশ, উচ্চ ঝুঁকির কারণে ১১ শতাংশ ও পর্যাপ্ত দলিলের অভাবে ১০ শতাংশ আবেদন বাতিল হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী সাইদুর রহমান বলেন, এসএমই উদ্যোক্তারা সরাসরি রপ্তানি করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক আব্দুচ ছালাম আজাদ বলেন, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের একটি বড় অংশ ব্যাংকের বাইরে রয়ে গেছেন। পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে তাদের প্রণোদনা দেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া জামানতের শর্ত শিথিল করে নীতিমালা তৈরি করা প্রয়োজন।

‘বৈদেশিক বাণিজ্য অর্থায়ন এবং এসএমইর মধ্যে সেতুবন্ধন’ শীর্ষক সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইবিএমের সহযোগী অধ্যাপক ড. আশরাফ আল মামুন। সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. মো. আখতারুজ্জামান। আরও বক্তব্য দেন ঢাকা ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার এবং ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবু জাফর।

আরও পড়ুন