ডিম আমদানি করে ভাঙা যাবে না সিন্ডিকেট

ফাইল ছবি
সমকাল প্রতিবদেক
প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৮:০০ | আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ০৯:৪০
ডিম ও মুরগি উৎপাদনে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ দাবি করে ডিম আমদানি বন্ধ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটি বলছে, আমদানি নয়, বরং ডিম ও মুরগি রপ্তানি করার সময় হয়েছে আমাদের। আমদানি করে সিন্ডিকেট ভাঙা যাবে না।
তিনি বলেন, ডিমের চাহিদা ৪ কোটি পিস, উৎপাদন হচ্ছে ৫ কোটি। পোলট্রি শিল্পে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে ৫০-৬০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। এই অবস্থা ধরে রাখতে আমদানি বন্ধ করতে হবে এবং প্রান্তিক খামারিদের লোকসানের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। পোলট্রি ফিড এবং বাচ্চার দাম কমিয়ে উৎপাদন খরচ কমানো সম্ভব।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ভারতে ৫০ কেজির এক বস্তা ব্রয়লার ফিডের মূল্য বাংলাদেশের টাকায় ২৭০০, লেয়ার ফিডের মূল্য ১৮৭৫, ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা ২৮, লেয়ার মুরগির বাচ্চার মূল্য ২৫-৩০ টাকা। সেখানে ডিমের উৎপাদন খরচ ৫-৬ টাকা। একটি ডিম বিক্রি হয় ৭ থেকে সাড়ে ৭ টাকা। এক কেজি ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন খরচ ১১০-১২০ টাকা। কিন্তু বাংলাদেশের বাজারে এক বস্তা ব্রয়লার ফিডের দাম ৩৫০০ টাকা, লেয়ার ফিড ২৯০০ টাকা। ব্রয়লার বাচ্চার মূল্য ৫০-৬০, লেয়ার বাচ্চার মূল্য ৭০-৭৫ টাকা। ডিমের উৎপাদন খরচ সাড়ে ১০ থেকে ১১ টাকা। বাচ্চার দাম ৩৫ টাকা ধরে এক কেজি ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন খরচ ১৬৭ টাকা। ভারতের তুলনায় বাংলাদেশে ডিম ও মুরগির উৎপাদন খরচ দ্বিগুণ। খাবার ও বাচ্চার দাম কমানো না গেলে ডিম ও মুরগির দাম কখনোই কমবে না। আমদানির সিদ্ধান্তে দেশের শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে।
সুমন হাওলাদার বলেন, খামারিদেরকে সহজ শর্তে ঋণ দিয়ে উৎপাদনে ফিরিয়ে আনতে হবে। প্রান্তিক খামারিদের জন্য পোলট্রি ফিড ও মুরগির বাচ্চা আমদানির ব্যবস্থা করার দাবি জানান তিনি। সিন্ডিকেট মুরগির বাচ্চা বিক্রিতে প্রতিদিন সাড়ে ৬ কোটি টাকা অতিরিক্ত মুনাফা করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহসভাপতি বাপ্পি কুমার দে, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খন্দকার, জাতীয় যুব পুরস্কারপ্রাপ্ত খামারি জাকির হোসেন প্রমুখ।
- বিষয় :
- ডিম আমদানি
- সিন্ডিকেট
- মুরগির বাচ্চা