ঢাকা মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫

জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতি নিয়ে আইএমএফের নতুন আশঙ্কা

জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতি নিয়ে আইএমএফের নতুন আশঙ্কা

আইএমএফের প্রধান কার্যালয়

বিশেষ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২৪ | ১৯:০৮ | আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২৪ | ২২:০৫

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) মনে করছে, চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে মাত্র সাড়ে ৪ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের জন্য সংস্থাটির আগের পূর্বাভাস ছিল ৬ দশমিক ৬ শতাংশ।  মঙ্গলবার ওয়াশিংটন থেকে প্রকাশিত আইএমএফের ‘ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক আউটলুক’ রিপোর্টে এ পূর্বাভাস রয়েছে। 

সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর হালনাগাদ প্রতিবেদনে প্রবৃদ্ধি কমে মাত্র ৪ শতাংশে দাঁড়াবে বলে পূর্বাভাস দেয়। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং সাম্প্রতিক বন্যা এর অন্যতম কারণ বলে বিশ্বব্যাংক উল্লেখ করে। আইএমএফের ‘ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক আউটলুক’ রিপোর্টে অবশ্য বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে আলাদা পর্যালোচনা নেই। 

এদিকে বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাসে চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে আসার পূর্বাভাস থাকলেও আইএমএফ মনে করছে, মূল্যস্ফীতি না কমে বরং বাড়তে পারে। গত অর্থবছরে (২০২৩–২৪) দেশে মূল্যস্ফীতির গড় হার ছিল ৯ দশমিক ৭ শতাংশ। আইএমএফের অনুমান, চলতি অর্থবছরে বেড়ে ১০ দশমিক ৭ শতাংশে দাঁড়াতে পারে। বিশ্বব্যাংক বলেছিল, খাদ্যের উচ্চ মূল্য এবং সরবরাহজনিত সমস্যার কারণে চলতি অর্থবছরে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বজায় থাকবে। তবে তা গত অর্থবছরের ৯ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে ৯ শতাংশে নামতে পারে।  

আইএমএফ প্রতি বছর এপ্রিলে এবং অক্টোবরে ‘ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক আউটলুক’ প্রকাশ করে। এই রিপোর্টে অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে দেশভিত্তিক সর্বশেষ হিসাব এবং আগামীর জন্য পূর্বাভাস থাকে। মূলত বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বসন্তকালীন সভা এবং বার্ষিক সভায় এই ফ্ল্যাগশিপ রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। এখন ওয়াশিংটনে সংস্থা দুটির বার্ষিক সভা চলছে। বাংলাদেশ আইএমএফের কাছ থেকে বাড়তি যে ঋণ চেয়েছে, সে বিষয়ে এই সভা চলকালীন আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। 

আরও পড়ুন

×