ঢাকা মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

আর্থিক খাতের শেয়ারদর কমেছে, বেড়েছে জ্বালানি ও বিদ্যুতের

আর্থিক খাতের শেয়ারদর কমেছে, বেড়েছে জ্বালানি ও বিদ্যুতের

ফাইল ছবি

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২৪ | ২৩:৫০ | আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২৪ | ০০:০১

ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের শেয়ারদর কমেছে। বেড়েছে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর। রোববার শেয়ারবাজার লেনদেন বিশ্লেষণে এমন চিত্র মিলেছে। অন্য অধিকাংশ খাতের শেয়ারদর ওঠানামায় মিশ্র ধারা থাকলেও সেবা ও নির্মাণ এবং পাট খাতের শেয়ারদর বেড়েছে। তবে কমেছে ভ্রমণ ও অবকাশ এবং টেলিযোগাযোগ খাতের প্রায় সব শেয়ারের দর।

সার্বিক হিসাবে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে ১৪৭ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দরবৃদ্ধির বিপরীতে ১৮২টির দর কমেছে, অপরিবর্তিত থেকেছে ৪৮টির দর। ব্যাংকসহ বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারদর কমায় প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ২৭ পয়েন্ট হারিয়ে ৫৩২৮ পয়েন্টে নেমেছে।

খাতওয়ারি লেনদেন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, রোববার ব্যাংক খাতের তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির মধ্যে ২৪টির দর কমেছে। বেড়েছে মাত্র ৫টির দর। অপরিবর্তিত থেকেছে ৭টির। আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের ২৩ কোম্পানির মধ্যে ১২টির দর বেড়েছে, কমেছে ৬টির। এমন দর পতনের কারণ হিসেবে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণের পরিমাণ গত ৯ মাসে প্রায় দ্বিগুণ হওয়ার খবরের প্রভাব থাকতে পারে বলে মনে করছেন শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা।

বিপরীতে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের ২৩ কোম্পানির মধ্যে ১৩টির দর বেড়েছে, কমেছে ৭টির। এ খাতের শেয়ারদর বৃদ্ধির কারণ হিসেবে অনেকে মনে করছেন, বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়ায় চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়া বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে নতুন করে চুক্তি করতে পারে– এমন কথাবার্তা শোনা যাচ্ছে। এর প্রভাব পড়েছে এ খাতের শেয়ারে। এমন ধারণায় গত দু’দিন ধরে খুলনা পাওয়ার কোম্পানি (কেপিসিএল) সার্কিট ব্রেকার নির্ধারিত সর্বোচ্চ দরে কেনাবেচা হয়েছে। গত দু’দিনে শেয়ারটির দর ১২ টাকা থেকে সাড়ে ১৪ টাকায় উঠেছে। ডরিন পাওয়ারের দরও প্রায় ১০ শতাংশ হারে বেড়েছে।

এদিকে উৎপাদন ও সেবা খাতসংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর বার্ষিক লভ্যাংশ এবং প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ ইস্যুতে কোন কোম্পানি শেষ পর্যন্ত কতটা লভ্যাংশ ঘোষণা দেয় এবং মুনাফার তথ্য প্রকাশ করে, তা নিয়ে কিছুটা সতর্ক অবস্থানে বিনিয়োগকারীরা। এসব ঘোষণা দেখে শেয়ার কিনতে চাওয়ার প্রভাব শেয়ারদরে পড়ছে বলে জানান বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউসের কর্মকর্তারা।

নানা কারণে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক অবস্থানের প্রভাব দেখা গেছে সার্বিক শেয়ার কেনাবেচার পরিমাণে। রোববার ডিএসইতে ৫০৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকা মূল্যের শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, যা আগের কর্মদিবসের তুলনায় ৭০ কোটি টাকা কম। একক কোম্পানি হিসেবে সর্বাধিক ২০ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে ফারইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডাইং কোম্পানির। ১৬ কোটি টাকার লেনদেন নিয়ে পরের অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন। একক খাত হিসাবে ৭৬ কোটি টাকার লেনদেন নিয়ে শীর্ষে ছিল ওষুধ ও রসায়ন এবং প্রায় ৬৮ কোটি টাকার লেনদেন নিয়ে এর পরের অবস্থানে ছিল বস্ত্র খাত।

whatsapp follow image

আরও পড়ুন

×