অ্যাক্সেসরিজ ব্যবসায়ীরা ব্যাংকিং জটিলতায়

অ্যাক্সেসরিজ ব্যবসায়ী তথা পোশাক শিল্পের প্রচ্ছন্ন রপ্তানিকারকরা ব্যাংকের নানা বিধিনিষেধ ও জটিলতায় পড়েছেন। রপ্তানির পরও সময় মতো এলসি পেমেন্ট না পাওয়া, ইএক্সপি বা রপ্তানি অনুমতির মেয়াদ কম হওয়া, ইডিএফ বা এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ড আটকে দেওয়া, তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে ‘ক্রেডিট রিপোর্ট’ আদায়ে বাড়তি অর্থ ব্যয়, আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে টাকার বিনিময় হারের তারতম্যসহ অন্তত পাঁচ ধরনের সমস্যায় ভুগছেন তারা।

এসব সমস্যা সমাধানে চট্টগ্রাম গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ অ্যাসোসিয়েশনের (সিজিএএ) নেতারা বাংলাদেশ ব্যাংকের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের কাছে এসব সমস্যার কথা তুলে ধরেন তারা। বৈঠকে ব্যবসায়ীদের দাবিগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে দ্রুত সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে বলে সিজিএএর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

পোশাক শিল্পের প্রচ্ছন্ন রপ্তানিকারক হিসেবে কাজ করে থাকেন অ্যাক্সেসরিজ ব্যবসায়ীরা। সব ধরনের আমদানি-রপ্তানির লেনদেন তথা এলসি, পেমেন্ট ব্যাংকিং চ্যানেলেই হয়ে থাকে। এ খাতে বছরে অন্তত ৮ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি হয়ে থাকে।

সিজিএএ জানিয়েছে, চট্টগ্রামে এ খাতের অন্তত ৩০০ ব্যবসায়ীসহ সারাদেশের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এসব সমস্যা সমাধানে তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের হস্তক্ষেপ চান। বৈঠকে ব্যবসায়ীরা বলেন, নির্ধারিত সময়ে ব্যাক টু ব্যাক এলসির পেমেন্ট পরিশোধ না হওয়ায় তারা চরম আর্থিক চাপে পড়েছেন। অনেক ব্যাংক নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলে ওভারডিউ ইন্টারেস্ট বা বকেয়া ঋণের সুদ দাবি করছে, যা ব্যবসায়ীদের জন্য ব্যয়বহুল। এ বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানানো হয়।

এছাড়া এ সময় ব্যাংক কর্তৃক অহেতুক ডিসক্রেপিন্সি চার্জ বন্ধের জন্য বিশেষ অনুরোধ করেন তারা।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর, নির্বাহী পরিচালক সাইফুল ইসলাম, সিজিএএর সহসভাপতি ও ব্রিটানিয়া লেভেল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জামিল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ও এবিএস কাটন অ্যান্ড অ্যাক্সেসরিজ ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ বেলাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, এনটুএস লিমিটেডের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, পরিচালক মো. মাহমুদ আহসান টিটো ও মো. এনামুল হক প্রমুখ।