ঢাকা মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫

এসআইবিএলের সামনে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা, সরিয়ে দিল সেনাবাহিনী

এসআইবিএলের সামনে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা, সরিয়ে দিল সেনাবাহিনী

ফাইল ফটো

সমকাল প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ জানুয়ারি ২০২৫ | ২১:১৩

এস আলমমুক্ত হওয়া সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ঘেরাও করেছে একদল বহিরাগত। বৃহস্পতিবার ট্রাকযোগে মতিঝিলের সিটি সেন্টারে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে প্রায় তিনশ লোক জড়ো হয়। এই ভবনে এসআইবিএল ছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অফিস রয়েছে। বিশৃঙ্খলা এড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংকের জরুরি ফোন পেয়ে সন্ধ্যার পর সেনাবাহিনী বহিরাগতদের সরিয়ে দেয়।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সঙ্গে জড়িতদের অধিকাংশের বাড়ি চট্রগ্রামের পটিয়ায়। ব্যাংক খাতে সুশাসন ফেরাতে ২৫ আগস্ট এসআইবিএলের পর্ষদ এস আলমমুক্ত করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর ব্যাংকটিকে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ। এরই মধ্যে কোনো ধরনের পরীক্ষা ও যাচাই–বাছাই ছাড়াই নিয়োগ দেওয়া ৫৭৯ কর্মকর্তাকে ২৯ অক্টোবর বাদ দিয়েছে বর্তমান কর্তৃপক্ষ। ২০১৭ সালে ব্যাংকটি দখলের পর থেকে নিয়োগ পাওয়া আরও ২ হাজার কর্মীর তথ্য যাচাই চলছে। এদের একটি অংশই বিভিন্ন এলাকা থেকে লোক ভাড়া করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।

এসআইবিএলের একজন পরিচালক সমকালকে বলেন, ব্যাংকটিতে এরই মধ্যে এস আলমের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার ঋণ চিহ্নিত হয়েছে। এসব ঋণ আদায় ও নিয়ম বহির্ভূতভাবে ধারণ করা শেয়ার বাজেয়াপ্তসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে খেলাপি ঋণ আদায়, গ্রাহকের আস্থা ফেরানোসহ বিভিন্ন সূচকে উন্নতি করার চেষ্টা চলছে। এসব বাধাগ্রস্ত করতে একটি পক্ষ নানাভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। ব্যাংকের ভেতরে ও বাইরে তারা সক্রিয়। এই পক্ষটিই মূলত অনিয়ম করে নিয়োগ পাওয়াদের সামনে আনার চেষ্টা করছে। তিনি জানান, চাকরিচ্যুতদের একটি অংশ চাকরি পুনর্বহালের দাবিতে আবেদন করেছিল। যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে শুনানি শেষে তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে চাকরি পুনর্বহাল সম্ভব না।

ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে কিছু লোক ব্যাংকের সামনে জড়ো হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার অনেক লোক জড়ো হয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করে। তাদের কার্যক্রমে গ্রাহক, কর্মকর্তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ব্যাংকের পক্ষ থেকে প্রথমে বিষয়টি থানা পুলিশকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়। এতে কোনো সুরাহা না পেয়ে বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বরাবর চিঠি দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জানানোর পর সন্ধ্যায় সেনাবাহিনী গিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের সরিয়ে দেয়। এরপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। বিশৃঙ্খলার পেছনে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তার ইন্ধন থাকতে পারে বলে তাদের ধারণা।

আরও পড়ুন

×