যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি
বাংলাদেশের কমেছে ভারতের বেড়েছে
.
আবু হেনা মুহিব
প্রকাশ: ১১ জানুয়ারি ২০২৫ | ২২:১৮
তৈরি পোশাকের প্রতিযোগিতামূলক রপ্তানি বাণিজ্যে প্রতিবেশী ভারত ভালো করছে। গত বছরের নভেম্বর পর্যন্ত প্রথম ১১ মাসে প্রধান বাজার যুক্তরাষ্ট্রে আগের একই সময়ের চেয়ে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি আয় কম হয়েছে আধা শতাংশের মতো। তবে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের পোশাক রপ্তানি আয় বেড়েছে সাড়ে ৪ শতাংশ। পরিমাণের দিক থেকে বাংলাদেশের রপ্তানি বেড়েছে ৪ শতাংশের কিছু কম। তবে ভারতের বেড়েছে প্রায় সাড়ে ১৩ শতাংশ। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে দুই দেশের পোশাকেরই দর কমেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সংস্থা অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (ওটেক্সা) সর্বশেষ প্রতিবেদন বলছে, গত জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে যুক্তরাষ্ট্র সারাবিশ্ব থেকে পোশাক আমদানি বাড়িয়েছে ১ শতাংশের মতো। এ সময় প্রায় ৮২ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ ৬৭৬ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয় বাংলাদেশ থেকে, যা আগের একই সময়ে ছিল ৬৭৯ কোটি ডলার। আলোচ্য সময়ে ভারতের রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৩৭ কোটি ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৪১৮ কোটি ডলার। তৈরি পোশাকের বাজারে এখনও বাংলাদেশের প্রধান প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনাম। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে দেশটির রপ্তানি বেড়েছে সাড়ে ৪ শতাংশের বেশি। গত বছরের প্রথম ১১ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে ১ হাজার ৩৭৭ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে ভিয়েতনাম।
তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক ও ডেনিম এক্সপার্টের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল সমকালকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি কমে যাওয়ার বিপরীতে ভারতের বেড়ে চলার প্রবণতা রয়েছে। এ ধারাবাহিকতা চলতে থাকলে তা আগামীর জন্য বড় ধরনের উদ্বেগের কারণ হবে। গত কয়েক মাসে শ্রম অসন্তোষের কারণে বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দ রপ্তানি আদেশের একটা অংশ তারা পেয়েছে। যদিও তাদের ভালো করার এটাই একমাত্র কারণ নয়। ভারতের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়ছে। নিজস্ব তুলা, সুতা ও কাপড় রয়েছে তাদের। এর ফলে তুলনামূলক কম দরে পণ্য দিতে পারছে তারা। প্রতিযোগিতায় টিকতে হলে আমাদের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে। গ্যাস-বিদ্যুৎ নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ এবং সাশ্রয়ী করতে হবে।
ওটেক্সার প্রতিবেদন বলছে, গত জানুয়ারি থেকে নভেম্বর সময়কালে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানিতে বাংলাদেশের পোশাকদর কমেছে ৪ দশমিক ২৪ শতাংশ। ইউনিট মূল্য ৩ দশমিক ২৫ ডলার থেকে কমে ৩ দশমিক ১১ ডলার হয়েছে। ভারতের পোশাক রপ্তানির ইউনিট মূল্য কমেছে প্রায় ৮ শতাংশের মতো। তবে তাদের ইউনিট মূল্য ৩ দশমিক ৪৩ ডলার, যা বাংলাদেশের চেয়ে বেশি।
- বিষয় :
- রপ্তানি