পলিসি এক্সচেঞ্জের আলোচনা
ন্যায়সংগত কর ব্যবস্থার সুপারিশ

ছবি: সংগৃহীত
শিল্প ও বাণিজ্য ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৫ | ০৩:১০
পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা একটি ন্যায়সংগত এবং ভারসাম্যপূর্ণ কর ব্যবস্থার সুপারিশ করেছেন। ‘কার্যকর বাজেট পরিকল্পনার মাধ্যমে বেসরকারি খাতের প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিতকরণ: ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট অগ্রাধিকার’ শিরোনামের এ আলোচনা গত সোমবার রাতে রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক সঞ্চালনা করেন পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. এম. মাসরুর রিয়াজ। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে যা জানানো হয়।
এনবিআরের সাবেক সদস্য ফরিদ উদ্দিন বলেন, উচ্চহার উৎসে কর কর্তন ও বহুস্তর ভ্যাট হারের মতো সমস্যা দূর করতে রাজনৈতিক অঙ্গীকার অপরিহার্য। একটি ন্যায়সংগত কর ব্যবস্থা গঠনে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রয়োজন। এনবিআরের ভ্যাট বাস্তবায়ন ও আইটি বিভাগের সদস্য মোহাম্মদ বেলাল হোসেন চৌধুরী হয়রানি কমাতে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোকে যথাযথ তথ্য জানানোর আহবান জানান। বিডার মহাসচিব মো. আরিফুল হক বলেন, রাজস্ব ও বিনিয়োগ একই মুদ্রার দুটি দিক। অটোমেশনের পাশাপাশি আমলাতান্ত্রিক মানসিকতার পরিবর্তন গুরুত্বপূর্ণ।
জেটি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের করপোরেট অ্যাফেয়ার্স ও কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক গিনতাউতাস দিরগেলা বলেন, তামাক খাতে ধারাবাহিক কর বৃদ্ধির আন্তর্জাতিক সেরা অনুশীলনগুলো তারা সরকারকে জানিয়েছেন, যা কালোবাজারের সুযোগ বৃদ্ধি না করেই সরকারের আয় বাড়াবে। ডিবিএল গ্রুপের চিফ সাসটেইনেবিলিটি অফিসার মোহাম্মদ জাহিদুল্লাহ বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও পরিবেশবান্ধব কারখানার জন্য কর প্রণোদনা না থাকলে পোশাক খাতের অর্ডার ভিয়েতনাম বা ভারতে স্থানান্তরিত হয়ে যাবে।
গ্রামীণফোন লিমিটেডের করপোরেট অ্যাফেয়ার্স বিভাগের সিনিয়র ডিরেক্টর হোসেন সাদাত বলেন, একজন ভোক্তা ১০০ টাকা রিচার্জ করলে ৩৯ টাকা কর দেয়, যা ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি বাধাগ্রস্ত করছে। এ খাতের প্রবৃদ্ধি ও রাজস্ব স্থিতিশীলতার জন্য ভ্যাট ও নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক যুক্তিসংগত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নেসলে বাংলাদেশের সিনিয়র ম্যানেজার ও হেড অব ট্যাক্সেশন রেজাউল করিম বলেন, ভ্যাট রিটার্ন সহজ করলে ও করপোরেট করের হার কমিয়ে আনলে তা ব্যবসার খরচ কমাতে, ভোক্তার
ব্যয় উৎসাহিত এবং রাজস্ব বাড়াতে সহায়তা করতে পারে।
- বিষয় :
- গোলটেবিল