ওষুধের দাম বেড়েই চলেছে

মানুষের জীবন রক্ষাকারী ওষুধের দাম দিন দিন বেড়েই চলছে। ওষুধ বিক্রেতাদের আচরণ দেখলে মনে হয়, তাদের ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। বিক্রেতারা যে যার ইচ্ছামতো দাম বাড়িয়ে ওষুধ বিক্রি করছেন। ফরমালিনযুক্ত খাবার, অতিরিক্ত ফাস্টফুড, অনিয়মিত খাবার গ্রহণ, ধূমপান, মাদকদ্রব্য গ্রহণসহ নানা কারণে রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত কয়েকদিন থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় হচ্ছে, ওষুধের প্রতিটা পাতায় মূল্য লেখার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ। দাবি হচ্ছে, ওষুধের প্রতিটা পাতায় মূল্য লেখা থাকবে, ওষুধের পাতায় দাম উলেল্গখ না থাকার কারণে কোনো কোনো ওষুধ ব্যবসায়ী সাধারণ মানুষগুলোকে চুষে খাচ্ছেন। কিছু ওষুধের দোকানের কারণে দণ্ডপ্রাপ্ত হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রতারণা চলছে সাধারণত ট্যাবলেট বা ক্যাপসুলের পাতায় সেগুলোর মূল্য মুদ্রিত থাকে না বিধায়! ফলে দোকানদারদের মুখের কথার ওপর নির্ভর করেই সেগুলো ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে। প্রতিবার, প্রতিটি ক্ষেত্রে ওষুধের প্যাকেট দোকানদারের কাছ থেকে চেয়ে নেওয়ার পর মোট মূল্য দেখে সেটাকে ভাগ করে প্রতি পাতার মূল্য বের করে ওষুধ কেনা দুরূহ ব্যাপার। তাছাড়া গ্রামের মানুষ এত কিছু ঘেঁটে দেখেও না। আর এই সুযোগে ওষুধের মূল্য নিয়ে প্রতারণা করছে এক শ্রেণির বিক্রেতা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ, ওষুধের প্রতি স্ট্রিপ বা পাতায় মূল্য উলেল্গখের বিষয়টি আমলে নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিন।

আল-আমিন আহমেদ
মৌলভীবাজার
চসিক নির্বাচন প্রশ্নমুক্ত হোক

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আমাদের প্রত্যাশা, এই নির্বাচন সুষ্ঠু ও প্রশ্নমুক্ত করতে নির্বাচন কমিশন সর্বাত্মক প্রয়াস চালাবে। কিছুদিন ধরে চসিক নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নগরীতে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। আমরা আশা করি, এ রকম কিছু বাস্তবে ঘটার পথ রুদ্ধ করবে নির্বাচন কমিশন। কয়েক বছর ধরে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশন নিজেদের ধরে রাখতে পারেনি। হূত আস্থা পুনরুদ্ধারের ফের সুযোগ এসেছে নির্বাচন কমিশনের সামনে। নির্বাচন কমিশন এই অগ্নিপরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হবে, এই আশা আমরা করি। গণতন্ত্র বিকাশের স্বার্থে নির্বাচন কমিশনকে তাদের হূত আস্থা পুনরুদ্ধারে সবরকম প্রয়াস চালাতেই হবে। সুষ্ঠু ও প্রশ্নমুক্ত হোক চসিক নির্বাচন।

আল আমিন, আন্দরকিল্লা, চট্টগ্রাম

লঞ্চ চলাচলে নির্দেশনা উপেক্ষিত

আমরা যারা ঢাকা-পটুয়াখালী কিংবা পটুয়াখালী-ঢাকায় নিয়মিত লঞ্চে যাতায়াত করি, তারা ভালো করেই জানি- পটুয়াখালী-ঢাকা নৌরুটে লঞ্চ চলাচলে নির্দেশনা মানছেন না মালিকরা। বন্ধ হচ্ছে না রোটেশন প্রথা। দক্ষিণ জনপদে মানুষ ও প্রশাসনের মতামত-দাবি উপেক্ষা করে লঞ্চ মালিকরা তাদের রোটেশন প্রথা চালিয়েই যাচ্ছেন। কেন তারা প্রশাসনের নির্দেশনা মানছেন না, তা বোধগম্য নয়। প্রতিদিন ঢাকা-পটুয়াখালীর উভয় প্রান্ত থেকে চারটি করে লঞ্চ চলাচলের বাধ্যবাধকতা থাকলেও লঞ্চ মালিকরা তা তোয়াক্কা না করে নিজেদের ইচ্ছামাফিক দুটি করে লঞ্চ চালাচ্ছেন। ফলে যাত্রীদের ভোগান্তি বেড়েছে। অতিরিক্ত যাত্রী বহন করছে লঞ্চগুলো। এর ফলে ঝুঁকিও বেড়েছে। এ ব্যাপারে দ্রুত ঊর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করি।

হোসেন মিয়া
লাউকাঠী, পটুয়াখালী

বিষয় : চিঠিপত্র

মন্তব্য করুন