- সম্পাদকীয় ও মন্তব্য
- চিঠিপত্র
চিঠিপত্র
ভাষার অপপ্রয়োগ বন্ধ হোক
বিভিন্ন বিজ্ঞাপন, সংগীত, নাটক এবং ওয়েব সিরিজে হাস্যরস বাড়ানোর নামে যুক্ত করা হচ্ছে অশ্নীল সংলাপ। ঘটানো হচ্ছে বাংলা শব্দের বিকৃতি। আয় বাড়ানোর উদ্দেশ্যে এক শ্রেণির মানুষ এ ধরনের নিম্নমানের পরিবেশনা ছড়িয়ে দিচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, যা দর্শকদের বিশেষত তরুণদের প্রভাবিত করছে মারাত্মকভাবে। এ ধরনের পরিবেশনা শুধু ভাষাকেই বিকৃত করছে না; তরুণ প্রজন্মকেও অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এর প্রভাবে অনেক তরুণ জড়িয়ে পড়ছে নানাবিধ অসামাজিক কাজে। এ ধরনের পরিবেশনার ফলে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে রুচিশীল পরিবেশনা। ফলে দেশীয় বিনোদন ব্যবস্থার ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলছেন অনেকেই। বাংলা ভাষার বিকৃত ব্যবহার বন্ধ ও তরুণ প্রজন্মকে বিকৃত বিনোদন থেকে ফিরিয়ে আনতে এ ধরনের বিকৃত পরিবেশনা বন্ধ করা জরুরি। এ ব্যাপারে সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
অনন্য প্রতীক রাউত
শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
ভ্যাকসিন নিয়ে বিভ্রান্তি নয়
গত এক বছর ধরে করোনা মহামারিতে জনজীবন বিপর্যস্ত। মানুষ শারীরিক ও মানসিকের পাশাপাশি আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত। এ অবস্থায় সর্বস্তরের মানুষ চাতক পাখির মতো তাকিয়ে ছিল ভ্যাকসিনের দিকে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ভ্যাকসিন সাধারণ পর্যায়ে প্রদান করা হচ্ছে। কিন্তু এখনও সাধারণ মানুষের মাঝে ভ্যাকসিন নিয়ে বিভ্রান্তি লক্ষণীয়। তারা ভ্যাকসিন নেবে কি নেবে না; দ্বিধাগ্রস্ত। অনেকে প্রশ্ন তুলছেন ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে। এ বিষয়ে জনসাধারণের স্বচ্ছ ধারণা থাকা প্রয়োজন।
আমাদের দেশে যে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে, তা অক্সফোর্ডের। অনেকে মনে করছেন, এটা ভারতীয় ভ্যাকসিন। আসলে তা নয়। ভারতীয় ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের জন্য বাংলাদেশকে প্রস্তাব দিলেও তা এখনও বাংলাদেশ সরকার অনুমোদন দেয়নি। এ ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ। প্রথম ডোজের চার সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ। জটিল কোনো রোগে আক্রান্ত না হলে এবং শরীরে করোনার কোনো লক্ষণ না থাকলে ১৮ বছরের ওপরে সবাই ভ্যাকসিন নিতে পারবেন। কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে তার সুস্থ হওয়ার ২৮ দিন পর ভ্যাকসিনটি গ্রহণ করতে পারবেন। তাই এটা নিয়ে বিভ্রান্ত না হয়ে সবাই ভ্যাকসিন গ্রহণ করি।
মীর মো. ফয়সাল হোসেন
শিক্ষার্থী, ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ গাজীপুর
গৃহপরিচারিকা নিয়োগে সতর্কতা
সাধারণত শহুরে পরিবারের সবাই চাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ অন্যান্য কাজে ব্যস্ত থাকায় গৃহপরিচারিকা নিয়োগ করা হয়ে থাকে। এই নিয়োগের ক্ষেত্রে খুব বেশি খোঁজ-খবর নেওয়া হয় না। বিগত কয়েক বছরে গৃহপরিচারিকার পরিচয়ে বেশ কিছু অপরাধকর্ম সংঘটিত করেছে কিছু সংঘবদ্ধ চক্র। এর মধ্যে হত্যাকাণ্ডের একাধিক ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া গৃহপরিচারিকা কর্তৃক সর্বস্ব চুরি করে নেওয়ার খবরও উঠে এসেছে সংবাদমাধ্যমে। তাই গৃহপরিচারিকা নিয়োগ দেওয়ার আগে যাচাই-বাছাই করা দরকার। সতর্কতাস্বরূপ নির্বাচিত ব্যক্তির ভোটার আইডি কার্ডসহ যাবতীয় তথ্য সংগ্রহে রাখা জরুরি।
সোহানুর রহমান সোহাগ
ভূরুঙ্গামারী, কুড়িগ্রাম
বিষয় : চিঠিপত্র
মন্তব্য করুন