- সম্পাদকীয় ও মন্তব্য
- চিঠিপত্র
চিঠিপত্র
লবলং দখলমুক্ত হোক
লবলং ভালুকার খিরু নদী থেকে উৎপত্তি হয়ে প্রায় ৮৫ কিলোমিটার প্রবাহিত হওয়ার পর তুরাগে মিলিত হয়েছে। কারও অজানা নয়, গাজীপুর শিল্পাঞ্চল। লবলং খালের (দখলের পরিক্রমায় নদীটি সরু খালে পরিণত হয়েছে) তীর ঘেঁষে বিভিন্ন স্থানে দাঁড়িয়ে আছে শিল্পকারখানা। শিল্পকারখানা আমাদের জন্য আশীর্বাদ না হয়ে যদি অভিশাপের কারণ হয়ে দাঁড়ায় কী করার থাকে তখন? কারখানার দূষিত বিষাক্ত পানি এই খাল দিয়ে প্রবাহিত হয়। বেশকিছু কারখানা পানির গতিপথ পরিবর্তন করে কিংবা পাইপ দিয়ে পানির যাতায়াতের ব্যবস্থা করে খাল দখল করে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে নির্বিঘ্নে। অথচ এই খালের প্রশস্ততা ছিল বিশাল। সাদা পরিস্কার পানি ছিল ২৫ বছর আগেও। এই খালের পানি দিয়েই মানুষ তাদের প্রয়োজন মেটাত। আজ মাছও টিকতে পারে না। খালপাড়ের শত শত বিঘা কৃষিজমি চাষাবাদের অনুপযোগী। লবলং নদী কি দখলমুক্ত ও দূষণমুক্ত হবে না?
ইস্রাফিল আকন্দ রুদ্র
শ্রীপুর, গাজীপুর
সরকারি হাসপাতালে সেবা নিশ্চিত করুন
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রতিনিয়ত যা প্রয়োজন তাকেই মৌলিক চাহিদা বলে। যার মধ্যে আছে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা। আমাদের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা এই চারটি দেশের জনগণের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছালেও চিকিৎসাসেবা এখনও ঠিক তেমনভাবে জনগণের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছায়নি। জনসংখ্যার তুলনায় চিকিৎসা ব্যবস্থা খুবই সীমিত। করোনাকালে তা স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠেছে। দেশ যেভাবে উন্নত হচ্ছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত হতে পারছে না। এখনও গ্রাম-গঞ্জের সাধারণ মানুষকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শহরমুখী হতে হয়। আমাদের দেশের অধিকাংশ নাগরিক মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত। এই নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ প্রাইভেট হাসপাতালের ব্যয়ভার বহন করতে সক্ষম নয়। তাই তাদের শেষ আশ্রয়স্থল হয় সরকারি হাসপাতাল। সরকারি হাসপাতালগুলোতেও যেন ভোগান্তির শেষ নেই। রোগীর চিকিৎসা পাওয়া থেকে শুরু করে ওষুধ ক্রয় করা পর্যন্ত ভোগান্তি। এর মধ্যে আছে চিকিৎসা না পেয়ে ফেরত যাওয়া, স্বজনপ্রীতি, দালালের দৌরাত্ম্য ও ওষুধের দাম বৃদ্ধি। দালালদের যোগসাজশে সরকারি হাসপাতালের রোগীদের প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোতে নেওয়ার জন্য সুযোগ খুঁজতে থাকে। শুধু তাই নয়, দালালদের সঙ্গে সরকারি হাসপাতালগুলোর ডাক্তারদেরও যোগসাজশ রয়েছে। দালালদের হাত থেকে মুক্তি পেয়ে যদি কোনো রকম ওষুধের দোকানে যায়, সেখানেও ভোগান্তির শিকার হতে হয়। কর্তৃপক্ষের উচিত এদিকে নজর দেওয়া।
মু. মেহেদী হাসান সাগর
শিক্ষার্থী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা কলেজ, ঢাকা।
বিষয় : চিঠিপত্র
মন্তব্য করুন