আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী ছিলেন অসাম্প্রদায়িক, গণতন্ত্রমনা এক ক্ষণজন্মা ব্যক্তিত্ব। তার মৃত্যু নেই। তার কাজ অবিনশ্বর। যত দিন বাংলাদেশ থাকবে, তত দিন তার রচিত অমর একুশের গান বেঁচে থাকবে। আর সেই গানের সঙ্গে বেঁচে থাকবেন গাফ্‌ফার চৌধুরী।

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত স্মরণসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

গাফ্‌ফার চৌধুরীর স্মরণে নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। আলোচনার একপর্যায়ে গাফ্‌ফার চৌধুরী রচিত অমর একুশের কবিতা 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি' আবৃত্তি করে মিরপুর বাঙলা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংগঠন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন গাফ্‌ফার চৌধুরীর ছোট বোন বেগম ফজিলাতুন নেছা চৌধুরী। তিনি ভাইকে দেশে এনে দাফনের ব্যবস্থা করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। অনুষ্ঠানে গাফ্‌ফার চৌধুরীর নামে দেশের একটি প্রধান সড়কের নামকরণের দাবি জানান ইউসুফ হোসেন।

সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক বলেন, গাফ্‌ফার চৌধুরী জনগণের জয়গান গেয়েছেন সারা জীবন। মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করতে গেলে তার গানের কাছে আমাদের চিরকাল আশ্রয় নিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, গাফ্‌ফার চৌধুরী অসাম্প্রদায়িক, দেশপ্রেমিক বাঙালি ছিলেন। তার মৃত্যু নেই। তার রচিত একুশের গানের মাধ্যমে তিনি বেঁচে থাকবেন।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, গাফ্‌ফার চৌধুরী সাংবাদিকতা পেশায় ছিলেন বলে আমরা সাংবাদিক হিসেবে গর্ববোধ করি। অধ্যাপক ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক বলেন, উগ্রবাদ, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে গাফ্‌ফার চৌধুরীর লেখনী জাতিকে চিরকাল পথ দেখাবে।

আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ বলেন, অপ্রিয় হলেও সত্য বলতে তিনি কখনও দ্বিধা করেননি। তিনি বিদেশে বসবাস করলেও মন পড়ে থাকত বাংলাদেশে।

আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শফিউর রহমান, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, অধ্যাপক হারুন অর রশীদ প্রমুখ।