
প্রাইমারি স্কুলে পড়ার সময় একবার কোনো এক কর্তৃপক্ষ এসে স্কুলের হলঘরে সাদা পর্দায় চলচ্চিত্র দেখিয়েছিল। মানুষের শরীরে রোগ কীভাবে ঢোকে আর শরীর সেটাকে কীভাবে বাধা দেয়, তার ওপর। আজকে করোনার মুহুর্মুহু আক্রমণে সেই অ্যানিমেটেড ছবিটার কথা মনে এলো। বিভিন্ন রোগের বিভিন্ন ভাইরাস আর ব্যাকটেরিয়ার প্রতিরূপ নানা রকম আকৃতি ও চেহারার ইমো সারাক্ষণ মানব শরীরে ঢুকছে আর তাদের আক্রমণ করে পরাজিত করছে লাল মাকড়সা। অর্থাৎ রোগ প্রতিবিধানের সৈন্য হিসেবে ওই ছবিটার ইমো ছিল লাল মাকড়সা। সম্ভবত রক্তের মধ্যে লোহিত কণার প্রতিরূপ হিসেবে লাল মাকড়সাকে কল্পনা করা হয়েছিল।
এখনও স্মৃতিতে ভাসছে কী ভীষণ তৎপর ছিল এই লাল মাকড়সার দল! সারা শরীরে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার যুগপৎ আক্রমণ আর শরীরে এদের বিরুদ্ধে লাল মাকড়সার প্রতিরোধ। কী ভয়াবহ যুদ্ধ! ওই ছবিটা দেখে সে অল্প বয়সেই বুঝেছিলাম, মানব শরীরটা হচ্ছে আসলে একটা যুদ্ধক্ষেত্র। সারাক্ষণই শত্রু একে আক্রমণ করছে আর সারাক্ষণই লাল মাকড়সাগুলো এই আক্রমণ ঠেকাচ্ছে। কখনও বিজয়ী হচ্ছে, কখনও মারা পড়ছে। ঠিক যেন সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর যেমন অনেক ছাউনি থাকে, লাল মাকড়সাগুলোরও তাই। কতগুলো পায়ের দিকে যুদ্ধ করছে, কতগুলো হাতের ভেতরে যুদ্ধ করছে, কতগুলো বুকের ভেতরে, কতগুলো পেটের ভেতরে, কতগুলো মুখ ও মাথায়। অর্থাৎ মানব শরীরের এমন কোনো ফ্রন্ট নেই, যেখানে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াগুলো আক্রমণ করছে না। আবার এমনও না যে যেখানে লাল মাকড়সাগুলো গিয়ে আক্রমণ ঠেকাচ্ছে না। শরীরের রক্তনালি ও শিরাগুলো হচ্ছে শত্রুপক্ষের আক্রমণের পথ। আবার লাল মাকড়সার প্রতিরোধের পথ। যেন সুড়ঙ্গযুদ্ধ। ছবির নির্মাতা এত জীবন্তভাবে এই লড়াইগুলো দেখিয়েছিলেন যে, এখনও আমি যখন স্মৃতির রাস্তা দিয়ে পেছনে হাঁটি, দেখি সেই ভয়াবহ রকমের স্ট্র্রিট ফাইটগুলো। চলচ্চিত্রটা দেখেই যেমন উপলব্ধি করেছিলাম, মানব শরীরটা আসলে একটা যুদ্ধক্ষেত্র, তেমনি ছবিটার মূল আবেদন আমার ওই শিশুমনে স্থ্থির হয়ে গিয়েছিল যে, কী প্রচণ্ড বিক্রম আর তৎপরতা নিয়ে লাল মাকড়সা শরীরকে রক্ষা করতে ব্যস্ত থাকে। আমরা টের পাই না, কিন্তু আমাদের শরীরের ভেতরের লাল মাকড়সাগুলো অনবরত যুদ্ধ করে যাচ্ছে। কার্টুন ধরনের অ্যানিমেটেড ছবি হওয়াতে আমার শিশুমনের কল্পনায় ওই ছবিটি প্রায় একটি স্থ্থায়ী চিত্রকল্প হিসেবে স্থান পেয়ে যায় এবং বিশ্বাস করুন, আমার মনে এখনও যে মানব জাতির অবক্ষয়ী রূপ স্থান গেড়ে বসে আছে, তার পেছনের আস্থ্থার জায়গাটা হচ্ছে ওই লাল মাকড়সা বা শরীরের প্রতিরোধ শক্তির উপস্থ্থিতি।
এবার লাল মাকড়সার সঙ্গে করোনার বিগ্রহ নিয়ে বলব, তবে তার আগে আরেকটা কথা সেরে নিই। কালক্রমে সাহিত্যের ছাত্র হলাম এবং দেখলাম সাহিত্যজুড়ে আসলে শিশু বয়সে দেখা ওই কার্টুন ছবিটারই প্রতিরূপ যুদ্ধ দেখানো হচ্ছে। তবে যুদ্ধটা শরীরে নয়; তা হচ্ছে মনে। অনার্স পড়ার সময় খ্রিস্টোফার মার্লোর ড. ফাউস্টাস নামক একটা ট্র্যাজেডি পড়লাম। দেখলাম, নাটকটাতে মানুষের মনকে একটি যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে কল্পনা করা হয়েছে এবং সেখানে সু-দেবতা আর কু-দেবতার মধ্যে নিরন্তর যুদ্ধ চলছে- কে মানুষের মনকে জয় করতে পারে। সাহিত্য মানেই তো সাহিত্য; সেখানে তো আর এই দুই দেবতার মধ্যে যুদ্ধকে একান্ত সারবস্তু হিসেবে দেখানো যায় না। সেখানে দেখানো হয় মানুষের মন কত বিচিত্রভাবে ভ্রমণশীল থাকে, কুপথে যেতে থাকে; তার জন্য যন্ত্রণা পেতে থাকে, আবার সুপথে আসার চেষ্টা করে। কিছুদিন ভালো থেকে আবার হয়তো কুপথে চলে যায় এবং জীবনভর তার ভোগান্তির কোনো শেষ নেই। সু-দেবতা আর কু-দেবতার মধ্যে লড়াইটা নিয়ে একটা এদিক-ওদিক সাদাকালো উপসংহারে আসা হচ্ছে ধর্মীয় গ্রন্থের রীতি। কিন্তু সাহিত্য গ্রন্থের রীতি হচ্ছে সেখানে উপসংহারটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কিন্তু মানুষটা যে কবি জীবনানন্দের ভাষায়, 'ছিঁড়ে গেছি,... ফেঁড়ে গেছি,... পৃথিবীর পথে হেঁটে হেঁটে/ কত দিন-রাত্রি গেছে কেটে!' (১৩৩৩)- সেই মানুষটার জীবনব্যাপী যন্ত্রণাকর পরিভ্রমণ বিধৃত করা। সে জন্য সাহিত্যে লাল মাকড়সার চেয়েও আক্রমণকারী দলগুলো অনেক সময় বেশি গুরুত্ব পায়। কবি উইলিয়াম ব্লেইক ফুলের ভেতরে কীট দেখেছিলেন। সাহিত্যে এই কীট না দেখে যেন শান্তি নেই।
কিন্তু মনের কীটের পরিচর্যা সাহিত্যকে মানুষের জীবনযাপনের প্রকৃত রূপের কাছাকাছি নিয়ে গেলেও এবং অনেকের কাছে জীবন শেকসপিয়রের ম্যাকবেথের মতো জীর্ণ হলুদ পাতা মনে হলেও মানুষের নিরন্তর সাধনা হচ্ছে বেঁচে থাকা। তার বেঁচে থাকার আকুলতার কথা বলতে গিয়ে জীবনানন্দ দাশ বলছেন, 'গলিত স্থ্থবির ব্যাং আরও দুই মুহূর্তের ভিক্ষা মাগে' ('আট বছর আগের একদিন')।
এই বেঁচে থাকার আকুলতা প্রসঙ্গে লাল মাকড়সার ভূমিকার কথা উঠে এলো। সারাবিশ্ব আজ প্রকৃত অর্থেই পর্যুদস্ত। ওয়ার্ল্ডওমিটারের হিসাবে ৩১ মে পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা কমবেশি ৬১ লাখ ৭৫ হাজার। আর মৃতের সংখ্যা কমবেশি তিন লাখ ৭১ হাজার। তার মানে, সংক্রমিত মানুষের প্রায় প্রতি ১৭ জনে একজন মারা যাচ্ছে। অর্থাৎ লাল মাকড়সাগুলো প্রতি ১৭ জনের মধ্যে একজনের কাছে গিয়ে হেরে যাচ্ছে। আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় তার একটি প্রবন্ধ শুরু করেছিলেন এই বলে যে, আমরা যে বেঁচে আছি সেটাই আশ্চর্য।
সবচেয়ে বেশি আশ্চর্য করেছে আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের ২০০৫ সালে দেওয়া একটি বক্তৃতা, যেখানে তিনি আমেরিকা তথা বিশ্ববাসীকে সতর্ক করে দিচ্ছেন যে, খুব শিগগির বিশ্ব হয়তো প্যানডেমিকের শিকার হতে যাচ্ছে এবং এখন থেকে (২০০৫) থেকে প্রস্তুতি না নিলে বিশ্বের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে যাবে (আমেরিকান ভয়েসেস, ফেসবুক.কম ওয়াচ)। বুশের ঠিক উল্টো নীতি গ্রহণ করেছেন ট্রাম্প। ট্রাম্প সম্ভবত করোনার আঘাতকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চীনের আঘাত জ্ঞান করে সমরাভিযানের পরিকল্পনা করছেন। ইতোমধ্যে দক্ষিণ চীন সাগরে আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার রণতরীর যৌথ মহড়া হয়ে গেছে।
ভাষাবিজ্ঞানী ও পণ্ডিত নোমি চমস্কির এই আশঙ্কাই হয়তো সত্যি হতে যাচ্ছে যে, একদিন করোনার অবসান হলেও বিশ্ববাসী আরও ভয়াবহ পরিস্থ্থিতির মুখোমুখি হবে।
শিক্ষাবিদ ও কথাসাহিত্যিক
এখনও স্মৃতিতে ভাসছে কী ভীষণ তৎপর ছিল এই লাল মাকড়সার দল! সারা শরীরে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার যুগপৎ আক্রমণ আর শরীরে এদের বিরুদ্ধে লাল মাকড়সার প্রতিরোধ। কী ভয়াবহ যুদ্ধ! ওই ছবিটা দেখে সে অল্প বয়সেই বুঝেছিলাম, মানব শরীরটা হচ্ছে আসলে একটা যুদ্ধক্ষেত্র। সারাক্ষণই শত্রু একে আক্রমণ করছে আর সারাক্ষণই লাল মাকড়সাগুলো এই আক্রমণ ঠেকাচ্ছে। কখনও বিজয়ী হচ্ছে, কখনও মারা পড়ছে। ঠিক যেন সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর যেমন অনেক ছাউনি থাকে, লাল মাকড়সাগুলোরও তাই। কতগুলো পায়ের দিকে যুদ্ধ করছে, কতগুলো হাতের ভেতরে যুদ্ধ করছে, কতগুলো বুকের ভেতরে, কতগুলো পেটের ভেতরে, কতগুলো মুখ ও মাথায়। অর্থাৎ মানব শরীরের এমন কোনো ফ্রন্ট নেই, যেখানে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াগুলো আক্রমণ করছে না। আবার এমনও না যে যেখানে লাল মাকড়সাগুলো গিয়ে আক্রমণ ঠেকাচ্ছে না। শরীরের রক্তনালি ও শিরাগুলো হচ্ছে শত্রুপক্ষের আক্রমণের পথ। আবার লাল মাকড়সার প্রতিরোধের পথ। যেন সুড়ঙ্গযুদ্ধ। ছবির নির্মাতা এত জীবন্তভাবে এই লড়াইগুলো দেখিয়েছিলেন যে, এখনও আমি যখন স্মৃতির রাস্তা দিয়ে পেছনে হাঁটি, দেখি সেই ভয়াবহ রকমের স্ট্র্রিট ফাইটগুলো। চলচ্চিত্রটা দেখেই যেমন উপলব্ধি করেছিলাম, মানব শরীরটা আসলে একটা যুদ্ধক্ষেত্র, তেমনি ছবিটার মূল আবেদন আমার ওই শিশুমনে স্থ্থির হয়ে গিয়েছিল যে, কী প্রচণ্ড বিক্রম আর তৎপরতা নিয়ে লাল মাকড়সা শরীরকে রক্ষা করতে ব্যস্ত থাকে। আমরা টের পাই না, কিন্তু আমাদের শরীরের ভেতরের লাল মাকড়সাগুলো অনবরত যুদ্ধ করে যাচ্ছে। কার্টুন ধরনের অ্যানিমেটেড ছবি হওয়াতে আমার শিশুমনের কল্পনায় ওই ছবিটি প্রায় একটি স্থ্থায়ী চিত্রকল্প হিসেবে স্থান পেয়ে যায় এবং বিশ্বাস করুন, আমার মনে এখনও যে মানব জাতির অবক্ষয়ী রূপ স্থান গেড়ে বসে আছে, তার পেছনের আস্থ্থার জায়গাটা হচ্ছে ওই লাল মাকড়সা বা শরীরের প্রতিরোধ শক্তির উপস্থ্থিতি।
এবার লাল মাকড়সার সঙ্গে করোনার বিগ্রহ নিয়ে বলব, তবে তার আগে আরেকটা কথা সেরে নিই। কালক্রমে সাহিত্যের ছাত্র হলাম এবং দেখলাম সাহিত্যজুড়ে আসলে শিশু বয়সে দেখা ওই কার্টুন ছবিটারই প্রতিরূপ যুদ্ধ দেখানো হচ্ছে। তবে যুদ্ধটা শরীরে নয়; তা হচ্ছে মনে। অনার্স পড়ার সময় খ্রিস্টোফার মার্লোর ড. ফাউস্টাস নামক একটা ট্র্যাজেডি পড়লাম। দেখলাম, নাটকটাতে মানুষের মনকে একটি যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে কল্পনা করা হয়েছে এবং সেখানে সু-দেবতা আর কু-দেবতার মধ্যে নিরন্তর যুদ্ধ চলছে- কে মানুষের মনকে জয় করতে পারে। সাহিত্য মানেই তো সাহিত্য; সেখানে তো আর এই দুই দেবতার মধ্যে যুদ্ধকে একান্ত সারবস্তু হিসেবে দেখানো যায় না। সেখানে দেখানো হয় মানুষের মন কত বিচিত্রভাবে ভ্রমণশীল থাকে, কুপথে যেতে থাকে; তার জন্য যন্ত্রণা পেতে থাকে, আবার সুপথে আসার চেষ্টা করে। কিছুদিন ভালো থেকে আবার হয়তো কুপথে চলে যায় এবং জীবনভর তার ভোগান্তির কোনো শেষ নেই। সু-দেবতা আর কু-দেবতার মধ্যে লড়াইটা নিয়ে একটা এদিক-ওদিক সাদাকালো উপসংহারে আসা হচ্ছে ধর্মীয় গ্রন্থের রীতি। কিন্তু সাহিত্য গ্রন্থের রীতি হচ্ছে সেখানে উপসংহারটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কিন্তু মানুষটা যে কবি জীবনানন্দের ভাষায়, 'ছিঁড়ে গেছি,... ফেঁড়ে গেছি,... পৃথিবীর পথে হেঁটে হেঁটে/ কত দিন-রাত্রি গেছে কেটে!' (১৩৩৩)- সেই মানুষটার জীবনব্যাপী যন্ত্রণাকর পরিভ্রমণ বিধৃত করা। সে জন্য সাহিত্যে লাল মাকড়সার চেয়েও আক্রমণকারী দলগুলো অনেক সময় বেশি গুরুত্ব পায়। কবি উইলিয়াম ব্লেইক ফুলের ভেতরে কীট দেখেছিলেন। সাহিত্যে এই কীট না দেখে যেন শান্তি নেই।
কিন্তু মনের কীটের পরিচর্যা সাহিত্যকে মানুষের জীবনযাপনের প্রকৃত রূপের কাছাকাছি নিয়ে গেলেও এবং অনেকের কাছে জীবন শেকসপিয়রের ম্যাকবেথের মতো জীর্ণ হলুদ পাতা মনে হলেও মানুষের নিরন্তর সাধনা হচ্ছে বেঁচে থাকা। তার বেঁচে থাকার আকুলতার কথা বলতে গিয়ে জীবনানন্দ দাশ বলছেন, 'গলিত স্থ্থবির ব্যাং আরও দুই মুহূর্তের ভিক্ষা মাগে' ('আট বছর আগের একদিন')।
এই বেঁচে থাকার আকুলতা প্রসঙ্গে লাল মাকড়সার ভূমিকার কথা উঠে এলো। সারাবিশ্ব আজ প্রকৃত অর্থেই পর্যুদস্ত। ওয়ার্ল্ডওমিটারের হিসাবে ৩১ মে পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা কমবেশি ৬১ লাখ ৭৫ হাজার। আর মৃতের সংখ্যা কমবেশি তিন লাখ ৭১ হাজার। তার মানে, সংক্রমিত মানুষের প্রায় প্রতি ১৭ জনে একজন মারা যাচ্ছে। অর্থাৎ লাল মাকড়সাগুলো প্রতি ১৭ জনের মধ্যে একজনের কাছে গিয়ে হেরে যাচ্ছে। আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় তার একটি প্রবন্ধ শুরু করেছিলেন এই বলে যে, আমরা যে বেঁচে আছি সেটাই আশ্চর্য।
সবচেয়ে বেশি আশ্চর্য করেছে আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের ২০০৫ সালে দেওয়া একটি বক্তৃতা, যেখানে তিনি আমেরিকা তথা বিশ্ববাসীকে সতর্ক করে দিচ্ছেন যে, খুব শিগগির বিশ্ব হয়তো প্যানডেমিকের শিকার হতে যাচ্ছে এবং এখন থেকে (২০০৫) থেকে প্রস্তুতি না নিলে বিশ্বের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে যাবে (আমেরিকান ভয়েসেস, ফেসবুক.কম ওয়াচ)। বুশের ঠিক উল্টো নীতি গ্রহণ করেছেন ট্রাম্প। ট্রাম্প সম্ভবত করোনার আঘাতকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চীনের আঘাত জ্ঞান করে সমরাভিযানের পরিকল্পনা করছেন। ইতোমধ্যে দক্ষিণ চীন সাগরে আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার রণতরীর যৌথ মহড়া হয়ে গেছে।
ভাষাবিজ্ঞানী ও পণ্ডিত নোমি চমস্কির এই আশঙ্কাই হয়তো সত্যি হতে যাচ্ছে যে, একদিন করোনার অবসান হলেও বিশ্ববাসী আরও ভয়াবহ পরিস্থ্থিতির মুখোমুখি হবে।
শিক্ষাবিদ ও কথাসাহিত্যিক
মন্তব্য করুন