মোবাইল ফোনের মেয়াদ প্রথা
ইন্টারনেট ব্যবহার এখন আর বড়লোকদের ব্যাপার নয়। সব শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রয়োজন। করোনাভাইরাসের এ সময়ে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার জন্য ইন্টারনেট অতি প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে। এ অবস্থায় মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো কোথায় সাধারণ ভোক্তাদের একটু স্বস্তি দেবে তা নয়, উল্টো তাদের আরও ঝামেলায় ফেলে দেওয়া হচ্ছে। বলছিলাম ফোন কোম্পানিগুলোর টক টাইম আর ইন্টারনেট ডাটার মেয়াদ নির্দিষ্ট করে দেওয়ার কথা। ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর এবং বিটিআরসির কাছে সাধারণ ভোক্তাদের পক্ষে আবেদন জানাই, অবিলম্বে এই চাতুরীর ব্যবসা বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হোক। সব মোবাইল অপারেটরকে টক টাইম আর ইন্টারনেট ডাটার মেয়াদি ব্যবসা বন্ধ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
আনোয়ার ফারুক তালুকদার
ব্যাংকার ও অর্থনীতি বিশ্নেষক, ধানমন্ডি, ঢাকা
করোনা বুলেটিন চালু থাকুক
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে গত মার্চ মাসে শুরু হওয়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিং সম্প্রতি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে এখন আর সব তথ্য সরাসরি জনসাধারণের কাছে পৌঁছছে না। এতে করোনা নিয়ে বিকৃত, মিথ্যা, বানোয়াট বা গুজব ছড়িয়ে পড়তে পারে- এমন আশঙ্কা করছেন অনেকেই। এই গুজবের কারণে গত বছর ঢাকার বাড্ডায় এক নারী তার মেয়েকে স্টু্কলে ভর্তি করাতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার হয়ে মারা গেছেন। নারায়ণগঞ্জেও ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে মৃত্যু হয়েছে বাকপ্রতিবন্ধী এক ব্যক্তির। গত বছর এমনই নানা ঘটনা ঘটেছে শুধু মিথ্যা তথ্য বা গুজব রটানোর ফলে। এমতাবস্থায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা বুলেটিন ফের চালু করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
মো. আফসারুল আলম মামুন
পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
ট্রেনে অনিয়ম
স্বাস্থ্যবিধির কথা চিন্তা করে করোনাকালে ট্রেনের টিকিট দেওয়া হচ্ছে এক সিট পরপর। সংগত কারণে অনেক যাত্রী ট্রেনের টিকিট পাচ্ছেন না। কিন্তু টিকিট না থাকলেও ট্রেনের সিটগুলো খালি থাকছে না। অনেকেই স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে টিকিট ছাড়াই ট্রেনে ভ্রমণ করছেন। আর টিকিট ছাড়া ভ্রমণ করা যাত্রীদের জরিমানার ভয় দেখিয়ে কোনো বৈধ কাগজপত্র না দিয়েই অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন ট্রেনে দায়িত্বরত কিছু অসাধু টিটি। এতে একদিকে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় করোনাঝুঁকি বাড়ছে, অন্যদিকে কিছু টিটির অনৈতিক আচরণের কারণে মোটা অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। করোনাকালে অনলাইন টিকিট ব্যবস্থা নিঃসন্দেহে ভালো উদ্যোগ। এর সঙ্গে ট্রেনে স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা এবং টিটিদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতে বাংলাদেশ রেলওয়ের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
মো. ওয়াদুদ রহমান ওয়ালিদ, রাজবাড়ী

বিষয় : চিঠিপত্র

মন্তব্য করুন