বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশ ব্যাংকের নবম গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ২০০৫ সালের মে মাস থেকে ২০০৯ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। তার পৈতৃক বাড়ি ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার দরিশ্রীরামপুর গ্রামে হলেও ১৯৪৯ সালে তিনি ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। ক্রিটিক্যাল ইস্যুজ ইন ডেভেলপমেন্ট ইকোনমিক্স, কালেকটেড পেপারস অন ইকোনমিক ইস্যুজসহ অর্থনীতির ওপর রচিত তার কয়েকটি গ্রন্থ রয়েছে। 'গভর্নরের স্মৃতিকথা' নামে তার একটি আত্মকথামূলক গ্রন্থও রয়েছে।
সমকাল: করোনা-দুর্যোগে দ্বিতীয়বারের মতো প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে পেশ করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এই বিশেষ পরিস্থিতিতে কোন খাতে বেশি দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন বলে আপনি মনে করেন?
সালেহউদ্দিন আহমেদ: বিদ্যমান বিশেষ পরিস্থিতিতে অবশ্যই বিশেষ বাজেট দিতে হবে। গতানুগতিক নয়। গত বছরের বাজেট গতানুগতিক ছিল। অঙ্কের হিসাবে এত টাকা ব্যয়, এত টাকা রাজস্ব কিংবা ভ্যাট আদায় ইত্যাদি গাণিতিক হিসাবের বাজেট নয়। আমি এরকম গাণিতিক হিসাবের বিষয়টি অস্বীকার করছি না। কিন্তু শুধু এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। বিশেষ বাজেটের জন্য দৃষ্টি রাখতে হবে করোনা পরিস্থিতির দিকে। এ থেকে কীভাবে উত্তরণ ঘটবে, এর পরবর্তী লক্ষ্যগুলো স্থির করে সবক্ষেত্রে গতিশীলতা আনার ওপর জোর দিতে হবে। অভ্যন্তরীণ ও বহির্বিশ্বের চ্যালেঞ্জগুলো কীভাবে মোকাবিলা করা যায়, এর পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে মনোযোগ বাড়াতে হবে। এই আলোকেই কৌশলও নির্ধারণ করতে হবে। বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সবগুলো খাতের গুরুত্ব ক্রমানুসারে নির্ধারণ করে পদক্ষেপ নিতে হবে। বড়, মাঝারি, ছোট শিল্পের জন্য বিশেষ প্রণোদনার পাশাপাশি প্রবাসী আয়ের সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। নজর দিতে হবে এমনসব শিল্পের দিকে, যেগুলোতে বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে।
সমকাল: করোনাকালে নানারকম নেতিবাচক আলোচনায় রয়েছে স্বাস্থ্য খাত। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর পাশাপাশি অনিয়ম-দুর্নীতি প্রতিরোধে এ খাতে বিশেষ কিছুর দাবি জানিয়েছেন অনেকেই। এ ব্যাপারে আপনার অভিমত কী?
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ: দুঃখজনকভাবে স্বাস্থ্য খাতের অনিয়ম-অদক্ষতা-পরিকল্পনাহীনতা বেশি চোখে পড়েছে। অন্য আরও কয়েকটি খাতেরও একই অবস্থা। রেলওয়ে, যোগাযোগ ইত্যাদি খাতও নেতিবাচক আলোচনায় রয়েছে। তবে স্বাস্থ্য খাতের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি আরও কিছু উপসর্গের সৃষ্টি করেছে। আমার অভিমত, এসব ব্যাপারে কার কতটুকু ব্যর্থতা-অদক্ষতা ও আয়-ব্যয়ের ক্ষেত্রে বিদ্যমান পরিস্থিতি পর্যালোচনাক্রমে উন্নত ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে দূরদর্শী, কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। স্বাস্থ্য খাতের দিকে বিশেষ নজর দিতেই হবে। করোনা-দুর্যোগ মোকাবিলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অন্য মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে কর্মপন্থা নির্ধারণ করতে হবে। স্থানীয় সরকার কাঠামো থেকে শুরু করে এর সঙ্গে সংশ্নিষ্ট আরও যেসব বিভাগ রয়েছে, তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে সব কার্যক্রম নজরদারি ও মূল্যায়নের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। স্বচ্ছতা-দায়বদ্ধতা-জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে না পারলে শুধু বাজেটে বরাদ্দ বাড়িয়ে সুফল মিলবে না।
সমকাল: ব্যবসা-বাণিজ্যসহ অর্থনৈতিক অন্য কার্যক্রম খুব দ্রুত স্বাভাবিক পর্যায়ে না আসার আশঙ্কা ব্যক্ত হয়েছে বিভিন্ন মহল থেকে। কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় রাজস্ব আদায় না হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ব্যাপক ঘাটতি রেখেই প্রস্তাবিত বাজেট পেশ হতে যাচ্ছে। এত ঘাটতি কীভাবে পূরণ করা সম্ভব?
সালেহউদ্দিন আহমেদ: বড়, মাঝারি, ছোট সব ব্যবসার ক্ষেত্রেই সমগুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। সংশ্নিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনের নিরিখে সহযোগিতা-উৎসাহ জোগাতে হবে। আমদানি-রপ্তানির পরিসর বাড়ানোর পাশাপাশি এই পথ অধিকতর মসৃণ করা জরুরি। একই সঙ্গে আমি মনে করি, করের হার না বাড়িয়ে এর জাল বিস্তৃত করতে হবে। কর দেওয়ার উপযুক্ত নগর-মহানগরের বাইরে ছোট শহরেও অনেক ব্যবসায়ী আছেন। তাদের অনেকেই করের আওতায়ই নেই। ব্যবসায়ীরা যে ভ্যাট দেন, তা সরকারি খাতে যাচ্ছে কিনা কিংবা কতজনই-বা ভ্যাট দিচ্ছেন, নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এসবই বিশেষ আমলযোগ্য। এনবিআরকে এসব ক্ষেত্রে নজরদারি বাড়াতে হবে। অভ্যন্তরীণ সব উৎস সচল রেখেই সেসব ক্ষেত্র থেকে রাজস্ব আহরণের ব্যবস্থা নিতে হবে। আমাদের বাস্তবতায় ঘাটতি থাকবেই, থাকুক। কিন্তু তা অভ্যন্তরীণ সূত্রগুলো থেকে পূরণের ব্যবস্থা নিতে হবে। ট্যাক্স-নন-ট্যাক্সের ক্ষেত্রগুলো সম্পর্কেও ভাবতে হবে। এখন বাইরের সংস্থাগুলো স্বল্প সুদে ঋণ দেয় বা দিচ্ছে। সফট লোন নিতে বাধা নেই। কিন্তু সবকিছুর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো ঋণের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা চাই। ব্যবসা-বাণিজ্যসহ অর্থনেতিক সব খাত চাঙ্গা করতে হবে সামগ্রিক স্বার্থ কিংবা প্রয়োজনেই।
সমকাল: গত এক বছরেরও বেশি সময়ে অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে গেছে। বেড়েছে দারিদ্র্যের হার। এ থেকে পরিত্রাণের পথ কী?
সালেহউদ্দিন আহমেদ: সামাজিক নিরাপত্তা খাতে সরকারের অনেক কর্মসূচি রয়েছে। নানাস্তরের মানুষকে বিভিন্ন ভাতার আওতায় আনা হয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে অস্বচ্ছতার অভিযোগ আছে এটা অসত্য নয়। বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, দুস্থ মায়ের ভাতা- এ রকম নানা কর্মসূচির আলো সমাজে যে পড়েনি তা নয়। কিন্তু এও সত্য, এ ক্ষেত্রেও সমন্বয়হীনতা রয়েছে। এর ফলেই অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এসব ক্ষেত্রে নজরদারি ব্যবস্থাও যথাযথ নয়। এ কারণে অসাধু-সুযোগ সন্ধানীরা অপকৌশলের সুযোগ খোঁজে এবং নেয়। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা আরও বাড়ানো প্রয়োজন। কিন্তু নজর রাখতে হবে, উপযুক্ত ব্যক্তি যাতে সহায়তার আওতায় আসেন। এসব ব্যাপারে স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবের বিষয়ও দৃষ্টিগ্রাহ্য হয়েছে কোনো কোনো ক্ষেত্রে। এমন ব্যাধির নিরসন করা না গেলে যত ভালো উদ্যোগই নেওয়া হোক না কেন, কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় এর সুফল প্রতিভাত হবে না। এসব কর্মসূচিতে স্থানীয় পর্যায়ে বেসরকারি সংস্থা যেগুলো ভালো কাজ করছে, তাদের সম্পৃক্ততা করা যায়। তৃণমূলে তাদের যোগাযোগ ভালো। বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা ইত্যাদি নিয়মিতকরণও জরুরি। তথ্য ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল করা দরকার। স্বাস্থ্য বীমা, কৃষি বীমা, সামাজিক অন্যান্য বীমা- এসবেরও যথাযথ বাস্তবায়ন করা সময়ের দাবি।
সমকাল: এবারের বাজেটে আনুষ্ঠানিক খাতের পাশাপাশি অনানুষ্ঠানিক খাতের উদ্যোক্তাদের জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধির সুপারিশও করা হয়েছে। কীভাবে তা করা যায় বলে আপনি মনে করেন?
সালেহউদ্দিন আহমেদ: অনানুষ্ঠানিক খাতের সঙ্গে সিংহভাগ মানুষ যুক্ত। ছোট, মাঝারি ব্যবসায়ী কিংবা অন্য ক্ষেত্রে যারা সম্পৃক্ত তাদের প্রণোদনার বিষয়টি এই দুর্যোগকালে আরও গভীরভাবে ভাবা দরকার। ছোট ছোট ব্যবসায়ীকে ঋণ দেওয়া ও তাদের ঋণ পাওয়ার পথটা মসৃণ নয়। নানারকম জটিলতায় তারা পড়েন ঋণ নিতে গিয়ে। তাদের বিজনেস আউটলুক কিংবা অন্যান্য কর্মকাণ্ড যদি ভালো থাকে, তাহলে তাদের ক্ষেত্রে প্রক্রিয়া সহজ করা অত্যন্ত দরকার। যেমন একজন চায়ের দোকানির ঋণ পেতে এত দলিল-দস্তাবেজ জমা দেওয়া দুরূহ। এই ঋণদান প্রক্রিয়া ব্যাংকে তো বটেই, পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোর মাধ্যমেও গতিশীল ও সহজ করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে সরকারের নীতিরও পরিবর্তন দরকার। বড় বড় শিল্প খাতে যেমন প্রণোদনার প্রয়োজন, তেমনি ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তা-ব্যবসায়ীদেরও সমগুরুত্ব দিয়েই প্রণোদনার আওতায় আনা উচিত।
সমকাল: সরকারের ব্যয়ের সক্ষমতা-দক্ষতা বাড়ানোর বিষয়টিও আলোচনায় রয়েছে। ব্যয় সংকোচনের কাঠামো কীভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব?
সালেহউদ্দিন আহমেদ: গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের অনেক সরকারি নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানের দুর্বলতা রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে সরকারি অর্থের অপচয় হয়। অপব্যয়ও হয়। নির্ধারিত ব্যয়ের পরিসীমা বেড়ে যায়। এমন ঘটনা অনেক ঘটেছে, ঘটছে। অনেক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীলদের অদক্ষতা-অদূরদর্শিতার কারণে সরকারের ব্যয় সংকোচনের মতো জরুরি বিষয়টিগুলোর সুরাহা হচ্ছে না। তদারকি-নজরদারি ইত্যাদি ক্ষেত্রেও ঘাটতি আছে। অপ্রয়োজনীয় অনেক কিছুই অহেতুক প্রয়োজনীয় করে তোলা হয়। মনে রাখতে হবে, আমরা কিন্তু বড় দুর্যোগে আছি ও সময় অতিক্রম করছি। এখন রুটিনওয়ার্কের বাইরেও অনেক কাজ দ্রুত করতে হবে প্রয়োজনের নিরিখে। ভালো-দক্ষ লোকদের সামনে আনতে হবে।
সরকারি ব্যয় সংকোচনের ক্ষেত্রে স্বচ্ছ-দক্ষ-নিষ্ঠাবানরা নিয়ামক শক্তি হতে পারেন। অদক্ষ-দুর্নীতিবাজ-অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে নির্মোহ অবস্থান নিয়ে প্রশাসনিক ও আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। অনিয়মকারী, অসাধুদের পদাবনতি কোনো সমাধান নয়।
সমকাল: খাতভিত্তিক অর্থায়ন, কর্মসংস্থান ইত্যাদি ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য বা এসব ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারের ব্যাপারে আপনার পরামর্শ কী?
সালেহউদ্দিন আহমেদ: আমি মনে করি, কৃষি খাতকে আরও গুরুত্ব দিয়ে সুদূরপ্রসারী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও এর বাস্তবায়ন জরুরি। একই সঙ্গে জরুরি গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা করার বহুমুখী পরিকল্পনা। কৃষি খাতে আরও বেশি সহযোগিতা দিলে এর সুফল নিশ্চয়ই আমরা পাব। করোনাকালে কৃষি খাতে অভাবনীয় সাফল্য লক্ষ্য করা গেছে। বলতে গেলে এই দুর্যোগে কৃষকরাই আমাদের বড় সহায়ক শক্তির ভূমিকা পালন করেছেন। তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য, বাজারজাতকরণের পথ কণ্টকমুক্ত নয়। তার পরও কৃষি খাতই আমাদের শক্তি জুগিয়ে চলেছে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো ও এর সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করা চাই। উৎপাদনশীল শ্রমঘন শিল্প খাতে নজর বাড়াতে হবে। পর্যটন ও আইটি সেক্টর আমাদের সম্ভাবনার আরেকটি খাত, এদিকে গুরুত্ব দেওয়া দরকার। অবকাঠামোগত উন্নয়নে বরাদ্দ যথেষ্ট থাকে কিন্তু এক্ষেত্রে কাজের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন আছে।
সমকাল: জেন্ডারভিত্তিক ক্ষেত্রগুলোতে নজর দেওয়া কিংবা গতানুগতিকতার বাইরে গিয়ে তাদের জন্য বাজেটে বিশেষ বরাদ্দের ব্যাপারে আপনার কোনো সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব আছে কি?
সালেহউদ্দিন আহমেদ: অনেক নারী এখন সরাসরি উৎপাদনশীল নানা কর্মে যুক্ত। তাদের মধ্যে উদ্যোক্তা-ব্যবসায়ী যারা রয়েছেন, তাদের উৎসাহ-সহযোগিতা করে তাদের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে আরও জোরালো ভূমিকা রাখা প্রয়োজন। তাদের মাধ্যমেও কর্মসংস্থান হচ্ছে। তারাও অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন। অভিজ্ঞতার আলোকে বলতে পারি, তাদের অর্থায়ন করতে হবে ব্যাংকের মাধ্যমে, এ কাজটা এনজিওগুলো পারবে না। তাদের ঋণদানের ক্ষেত্রে জামানত নেওয়া, সম্পদ গচ্ছিত রাখা ইত্যাদি পরিহার করে সহজ শর্তে ঋণ পাওয়ার পথ খুলে দিতে হবে। তাদেরও প্রণোদনার আওতায় নিয়ে আসা প্রয়োজন মনে করি। বাজেটে তাদের জন্য বরাদ্দ রাখা সমীচীন। তাতে নতুন নতুন উদ্যোক্তা যেমন সৃষ্টি হবে, তেমনি কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রও বিস্তৃত হবে।
সমকাল: ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ তাগিদ দিয়েছেন কর কাঠামো ব্যবসাবান্ধব করার। আসন্ন বাজেটে তাদের জন্য কেমন কর প্রস্তাবনা হওয়া প্রয়োজন মনে করেন?
সালেহউদ্দিন আহমেদ: এ ব্যাপারে আমি মনে করি, এনবিআরকে আরও সচেতন হতে হবে। ব্যবসাবান্ধব কর কাঠামোর দাবি অযৌক্তিক নয়। এমনও দেখা গেছে, যারা কর দিচ্ছেন, এনবিআর আবার তাদেরই বাড়তি চাপ দেয়। অথচ অনেকের টিআইএন আছে কিন্তু তারা কর দিচ্ছেন না। এনবিআরকে সেদিকে দৃষ্টি গভীর করা দরকার। ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে এখন করের হার বাড়ানো মোটেও ঠিক হবে না। ভ্যাট সংগ্রহের দিকে নজর দিতে হবে। ভূমি রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রেও দৃষ্টি দিতে হবে। এ থেকে আরও রাজস্ব আয় সম্ভব। লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে বাস্তবানুগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। অযথা কঠোর কিংবা চাপ প্রয়োগ পদ্ধতিতে সুফল মিলবে না।
সমকাল: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
সালেহউদ্দিন আহমেদ: ধন্যবাদ। সমকালের জন্য শুভকামনা।

বিষয় : সাক্ষাৎকার: ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ

মন্তব্য করুন