জীবনের সবক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার এবং প্রয়োজনীয়তা আর ঐচ্ছিক বিষয় নয়, এটি এখন আমাদের চলার সঙ্গী। এ প্রযুক্তির সঙ্গে বসবাসে আমরা যতটা অভ্যস্ত হবো, এর সঠিক ব্যবহার যতটা নিশ্চিত করতে পারব, সামগ্রিকভাবে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথটা ততটাই গতিশীল আর সহজতর হবে। গুগল সার্চ, উইকিপিডিয়া, ইউটিউব, সামাজিক মাধ্যম যেমন- ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার ইত্যাদি মানুষের অফিস, নিত্যদিনের কাজকর্ম, শিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রে এবং ব্যক্তিগত জীবনে ইতোমধ্যে যে বিশাল ভূমিকা রাখছে, তা থেকে দূরে থাকার আর কোনো অবকাশ নেই।
ইন্টারনেট ব্যবহার করতে গিয়ে হরহামেশা আমরা যে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটির মুখোমুখি হচ্ছি তা হলো- 'অবাদে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ কোমলমতি শিশু-কিশোরদের মানসিক, দৈহিক এবং মনছবির ওপর কতটা প্রভাব ফেলছে বা ফেলতে পারে।' আমাদের দেশের আর্থিক, সামাজিক ও সার্বিক উন্নয়নের বিবেচনায় ইন্টারনেট ব্যবহারে বৈপ্লবিক গতি সংযোগ অনস্বীকার্য হলেও শিশুদের ভবিষ্যৎ মঙ্গলের কথা ভেবে তাদের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার কঠোর নিয়মনীতির মধ্যে রাখার বিকল্প নেই। ছুটির দিনগুলোতে ছাত্রদের হাতে বিস্তর সময় থাকে পড়াশোনার পাশাপাশি জীবনমুখী ও রুচিসম্মত বিনোদনমূলক বিষয়গুলোর ওপর মনোনিবেশ করার। ইন্টারনেটের বদৌলতে বর্তমান সময়ে ঘরে বসেই শিশুরা ছবি অংকন, বাগান তৈরির পরিকল্পনা, ফটোগ্রাফি, শুদ্ধভাবে পঠন ও সুন্দর লেখার চর্চা, সাধারণ জ্ঞানের প্রসার, পারিবারিক বন্ধন উন্নয়ন বিষয়ে জানা, যোগব্যায়াম অনুশীলন ইত্যাদি শিখতে পারে।
ইন্টারনেট একটি শক্তিশালী তথ্য সমৃদ্ধ ভান্ডার, যা অন্বেষণ করার দক্ষতা উৎসাহী তরুণ সমাজে ঘটাতে পারলে ব্যক্তি, সমাজ ও দেশের কল্যাণ হবে, নির্দি্বধায় তা বলা যায়। ২১ শতকের তরুণদের জন্য এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জও বটে। সে বিবেচনায় যত তাড়াতাড়ি তরুণদের এই মাধ্যমের সঙ্গে নিরাপদ পরিচয় ঘটিয়ে দেওয়া যায়, ধরে নেওয়া যেতে পারে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তা হবে এক দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ এবং অগ্রগতি। তবে শিশুদের হাতে হাতে মোবাইল ফোন সেই সঙ্গে ইন্টারনেট সংযোগ, সঠিক তত্ত্বাবধানের অবর্তমানে তাদের জন্য কতটা বিপদ ডেকে আনতে পারে তা ভাবতে হবে সংশ্নিষ্ট সবাইকে।
করোনা মহামারির কারণে দেশে প্রায় দেড় বছর ধরে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবকরা সন্তানের লেখাপড়ার বিষয় নিয়ে দারুণ উদ্বিগ্ন। লেখাপড়ার এই ক্ষতি কীভাবে পুষিয়ে নেওয়া যায় তা নিয়ে সরকার, শিক্ষাবিদ এবং সমাজের গুণীজনরা ভাবছেন। বিষয়টি যেহেতু অতিসংবেদনশীল, তাই কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার আগে সংশ্নিষ্ট বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া জরুরি। এ দেশের সার্বিক পরিস্থিতি, ছাত্র ও অবিভাবকদের আর্থিক সঙ্গতি, পারিপার্শ্বিকতা, শিক্ষাঙ্গনে ও শিক্ষার্থীদের কাছে শিক্ষা উপকরণের সহজলভ্যতা, একে একে প্রতিটি দিক বিবেচনা করে দেখতে হবে। সর্বোপরি শিশু শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেটের অপব্যবহার থেকে কীভাবে বিরত রাখা যায় সে বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।
অনলাইনে শিক্ষাদানের বেলায় মহাবিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মোটেও প্রাইমারি, উচ্চ বিদ্যালয় বা সমমানের মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের এক করে দেখা যাবে না। কারণ মহাবিদ্যালয়ের আংশিক, বিদ্যালয়/মাদ্রাসা ও প্রাইমারির সব শিক্ষার্থীই বয়সের দৃষ্টিকোণ থেকে শিশু, তাদের মনমানসিকতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। শিশুরা কোনো কিছু সঠিকভাবে বোঝার চেষ্টা করার আগে ভাবাবেগ দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে। তাই এই কোমলমতি শিশুদের ইন্টারনেটের মতো একটি বহুমুখী যোগাযোগ মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক প্রবেশের সুবিধা দেওয়ার আগে বারবার এর ভালোমন্দ দিকগুলো নিয়ে ভাবা উচিত। বিশেষত কম্পিউটারের অভাবে যেখানে শিশুদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে হতে পারে ইন্টরনেটের কাজকর্মগুলো চালানোর জন্য। আর শিশুদের জন্য মাত্রাতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি আমাদের অজানা নয়।
যদিও শিশুদের জন্য এখন পর্যন্ত অনলাইনে শিক্ষাদানের অনুমোদন হয়নি, কিন্তু চালু হতে পারে এই সম্ভাবনাকে পুঁজি করে শিশু শিক্ষার্থীরা অভিভাবকের কাছে মোবাইল কিনে দেওয়ার বায়না দিতে শুরু করেছে। যারা ইতোমধ্যে মোবাইল ফোন হাতে পেয়েছে, তারা এর মাধ্যমে শিক্ষামূলক বিষয়কে যতটা গুরুত্ব দিচ্ছে তার চেয়ে ভিডিও গেম খেলে বা অন্য কিছু করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দিচ্ছে। সন্দেহাতীতভাবে এটি একটি উদ্বেগের ক্ষেত্র বৈকি।
উন্নয়নকর্মী
ইন্টারনেট ব্যবহার করতে গিয়ে হরহামেশা আমরা যে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটির মুখোমুখি হচ্ছি তা হলো- 'অবাদে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ কোমলমতি শিশু-কিশোরদের মানসিক, দৈহিক এবং মনছবির ওপর কতটা প্রভাব ফেলছে বা ফেলতে পারে।' আমাদের দেশের আর্থিক, সামাজিক ও সার্বিক উন্নয়নের বিবেচনায় ইন্টারনেট ব্যবহারে বৈপ্লবিক গতি সংযোগ অনস্বীকার্য হলেও শিশুদের ভবিষ্যৎ মঙ্গলের কথা ভেবে তাদের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার কঠোর নিয়মনীতির মধ্যে রাখার বিকল্প নেই। ছুটির দিনগুলোতে ছাত্রদের হাতে বিস্তর সময় থাকে পড়াশোনার পাশাপাশি জীবনমুখী ও রুচিসম্মত বিনোদনমূলক বিষয়গুলোর ওপর মনোনিবেশ করার। ইন্টারনেটের বদৌলতে বর্তমান সময়ে ঘরে বসেই শিশুরা ছবি অংকন, বাগান তৈরির পরিকল্পনা, ফটোগ্রাফি, শুদ্ধভাবে পঠন ও সুন্দর লেখার চর্চা, সাধারণ জ্ঞানের প্রসার, পারিবারিক বন্ধন উন্নয়ন বিষয়ে জানা, যোগব্যায়াম অনুশীলন ইত্যাদি শিখতে পারে।
ইন্টারনেট একটি শক্তিশালী তথ্য সমৃদ্ধ ভান্ডার, যা অন্বেষণ করার দক্ষতা উৎসাহী তরুণ সমাজে ঘটাতে পারলে ব্যক্তি, সমাজ ও দেশের কল্যাণ হবে, নির্দি্বধায় তা বলা যায়। ২১ শতকের তরুণদের জন্য এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জও বটে। সে বিবেচনায় যত তাড়াতাড়ি তরুণদের এই মাধ্যমের সঙ্গে নিরাপদ পরিচয় ঘটিয়ে দেওয়া যায়, ধরে নেওয়া যেতে পারে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তা হবে এক দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ এবং অগ্রগতি। তবে শিশুদের হাতে হাতে মোবাইল ফোন সেই সঙ্গে ইন্টারনেট সংযোগ, সঠিক তত্ত্বাবধানের অবর্তমানে তাদের জন্য কতটা বিপদ ডেকে আনতে পারে তা ভাবতে হবে সংশ্নিষ্ট সবাইকে।
করোনা মহামারির কারণে দেশে প্রায় দেড় বছর ধরে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবকরা সন্তানের লেখাপড়ার বিষয় নিয়ে দারুণ উদ্বিগ্ন। লেখাপড়ার এই ক্ষতি কীভাবে পুষিয়ে নেওয়া যায় তা নিয়ে সরকার, শিক্ষাবিদ এবং সমাজের গুণীজনরা ভাবছেন। বিষয়টি যেহেতু অতিসংবেদনশীল, তাই কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার আগে সংশ্নিষ্ট বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া জরুরি। এ দেশের সার্বিক পরিস্থিতি, ছাত্র ও অবিভাবকদের আর্থিক সঙ্গতি, পারিপার্শ্বিকতা, শিক্ষাঙ্গনে ও শিক্ষার্থীদের কাছে শিক্ষা উপকরণের সহজলভ্যতা, একে একে প্রতিটি দিক বিবেচনা করে দেখতে হবে। সর্বোপরি শিশু শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেটের অপব্যবহার থেকে কীভাবে বিরত রাখা যায় সে বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।
অনলাইনে শিক্ষাদানের বেলায় মহাবিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মোটেও প্রাইমারি, উচ্চ বিদ্যালয় বা সমমানের মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের এক করে দেখা যাবে না। কারণ মহাবিদ্যালয়ের আংশিক, বিদ্যালয়/মাদ্রাসা ও প্রাইমারির সব শিক্ষার্থীই বয়সের দৃষ্টিকোণ থেকে শিশু, তাদের মনমানসিকতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। শিশুরা কোনো কিছু সঠিকভাবে বোঝার চেষ্টা করার আগে ভাবাবেগ দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে। তাই এই কোমলমতি শিশুদের ইন্টারনেটের মতো একটি বহুমুখী যোগাযোগ মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক প্রবেশের সুবিধা দেওয়ার আগে বারবার এর ভালোমন্দ দিকগুলো নিয়ে ভাবা উচিত। বিশেষত কম্পিউটারের অভাবে যেখানে শিশুদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে হতে পারে ইন্টরনেটের কাজকর্মগুলো চালানোর জন্য। আর শিশুদের জন্য মাত্রাতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি আমাদের অজানা নয়।
যদিও শিশুদের জন্য এখন পর্যন্ত অনলাইনে শিক্ষাদানের অনুমোদন হয়নি, কিন্তু চালু হতে পারে এই সম্ভাবনাকে পুঁজি করে শিশু শিক্ষার্থীরা অভিভাবকের কাছে মোবাইল কিনে দেওয়ার বায়না দিতে শুরু করেছে। যারা ইতোমধ্যে মোবাইল ফোন হাতে পেয়েছে, তারা এর মাধ্যমে শিক্ষামূলক বিষয়কে যতটা গুরুত্ব দিচ্ছে তার চেয়ে ভিডিও গেম খেলে বা অন্য কিছু করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দিচ্ছে। সন্দেহাতীতভাবে এটি একটি উদ্বেগের ক্ষেত্র বৈকি।
উন্নয়নকর্মী
বিষয় : অন্যদৃষ্টি
মন্তব্য করুন