লেখক ও সংস্কৃতিকর্মী রফিউর রাব্বি নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি। তার জ্যেষ্ঠ সন্তান তানভীর মুহাম্মদ ত্বকীকে ২০১৩ সালে দুর্বৃত্তরা হত্যা করে। ওই হত্যার বিচারের দাবিতে যে সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চ গঠিত হয়, তিনি তার আহ্বায়ক। সত্তর ও আশির দশকে তিনি প্রথমে ছাত্র, পরে বাম রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। রফিউর রাব্বি নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুল, তোলারাম কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট এবং কিউবার হাভানায় অবস্থিত ইস্কুয়েলা সুপিরিয়র নিকোলোপেজে পড়াশোনা করেছেন। ১৯৮০ ও ৮১ সালে তিনি মুক্তধারা প্রবর্তিত জাতীয় শ্রেষ্ঠ প্রচ্ছদ শিল্পীর পুরস্কার পান। তার প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে 'নারায়ণগঞ্জে ভাষা আন্দোলন' (২০১৮)। রফিউর রাব্বির জন্ম ১৯৫৮ সালে নারায়ণগঞ্জ শহরে।
সমকাল: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে নাগরিক কমিটির পক্ষে সমর্থন দিয়েছেন আপনারা। কেন?
রফিউর রাব্বি: দেখুন, নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটি দীর্ঘদিন ধরে নাগরিকদের সমস্যা, সংকট নিয়ে কথা বলে আসছে। নারায়ণগঞ্জের জলাভূমি রক্ষা, যানজট নিরসন, রাজউকের জমি ব্যক্তির কাছে বিক্রি হতে না দেওয়া, পরিবহন অব্যবস্থাপনা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আমরা কথা বলেছি; আন্দোলন করেছি। ওয়াসার অযৌক্তিক বিল বৃদ্ধির বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। বাস ভাড়া কমানোর দাবি জানিয়েছি। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ করেছি। তখন সেলিনা হায়াৎ আইভী আমাদের পাশে ছিলেন, সমর্থন দিয়েছেন। নারায়ণগঞ্জে একটি শক্তিশালী গোষ্ঠীর ছত্রছায়ায় যখন সন্ত্রাস, হত্যা, ভূমিদস্যুতা চলেছে, তখন তিনি সাহসের সঙ্গে আমাদের পাশে থেকেছেন। রাজনীতিবিদ হলেও তিনি আসলে নাগরিকদেরই প্রতিনিধি। তাই আমরা তাকে সবসময়ই সমর্থন দিয়ে এসেছি।
সমকাল: সিটি করপোরেশনের মতো নির্বাচনের ক্ষেত্রে নগরীর উন্নয়নের বিষয়টি কি অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত নয়?
রফিউর রাব্বি: উন্নয়নের প্রশ্নেও সেলিনা হায়াৎ আইভী এগিয়ে আছেন। আপনি জানেন, ১০ বছর আগে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা সিটি করপোরেশনে উন্নীত হয়েছিল। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল শীতলক্ষ্যার পূর্বপাড়ে বন্দর উপজেলার কদমরসুল পৌরসভা ও উত্তরপাড়ের সিদ্ধিরগঞ্জ পৌরসভা। ওই দুই পৌর এলাকা উন্নয়নের দিক থেকে অনেক পিছিয়ে ছিল। সেখানে অনেক উন্নয়ন কাজ হয়েছে। গত ১০ বছর ধরে যারা ওই দুই এলাকা দেখছেন, তারা পরিবর্তনের কথা বলতে পারবেন।
সমকাল: নারায়ণগঞ্জ শহরে ফুটপাতগুলো তো এখনও হকারদের দখলে।
রফিউর রাব্বি: ফুটপাত মুক্ত করা সিটি করপোরেশনের একার বিষয় নয়। এখানে জেলা প্রশাসনকে লাগবে, পুলিশ প্রশাসনকে লাগবে। তিন সংস্থার সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া হকার উচ্ছেদ করা যাবে না। আপনাকে মনে রাখতে হবে, ফুটপাত দখল করে হকার বসানোর সঙ্গে কোটি কোটি টাকার চাঁদাবাজি জড়িত। এই চাঁদার ভাগ স্থানীয় রাজনীতিক, প্রশাসন ও পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ে যায়। ফলে সিটি করপোরেশন হকার উচ্ছেদ করতে চাইলেও জেলা ও পুলিশ প্রশাসন আন্তরিকতার সঙ্গে সহযোগিতা করে না।
সমকাল: হকার পুনর্বাসনের উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছিল কেন?
রফিউর রাব্বি: হকারদের পুনর্বাসনের মাধ্যমে ফুটপাত দখলমুক্ত করার দাবি আমরাই জানিয়েছিলাম। শহরের বিভিন্ন এলাকায় ৪-৫শ হকার বসত। পরে তাদের জন্য পৌরসভার জায়গায় হকার্স মার্কেট তৈরি করে বরাদ্দ দেওয়া হয়। পরে দেখা গেল, তারা ওই বরাদ্দ পাওয়া জায়গা ৪-৫ লাখ টাকায় বিক্রি করে আবার ফুটপাতে বসছে। শুধু তাই নয়; দেশের বাড়ি থেকে আত্মীয়স্বজনও নিয়ে আসছে। কারণ ওখানে বসতে পারলে ব্যবসা হয়, আবার বরাদ্দও পাওয়া যায়। আমরা বলেছিলাম, অন্তত চাষাঢ়া থেকে মণ্ডলপাড়া পর্যন্ত ফুটপাত দখলমুক্ত করা হোক। সিটি করপোরেশনও সে উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু হকারদের পক্ষ নিয়ে প্রভাবশালী রাজনৈতিক গোষ্ঠীটি অনেক খেলা খেলেছে। ফলে ফুটপাত দখলমুক্ত করা নিয়ে সিটি করপোরেশনের দোষ দেওয়া যায় না।
সমকাল: যানজট নিয়ে কী বলবেন?
রফিউর রাব্বি: যানজটের একটি প্রধান কারণ হলো রেলক্রসিং। বন্দর স্টেশন থেকে চাষাঢ়া পর্যন্ত ছয়টি রেলগেট রয়েছে। প্রতিদিন ১৬টি ট্রেন আসে-যায়। তার মানে, দিনে ৩২ বার সড়ক বন্ধ করতে হয়। প্রতিবার সাড়ে তিন থেকে চার মিনিট যদি বন্ধ থাকে, তাহলে দুই ঘণ্টার মতো বন্ধ থাকে। আমরা বলেছিলাম, রেলটা চাষাঢ়া পর্যন্ত রাখা গেলে এ যানজট দূর হতো। এ ছাড়া যানজট দূর করতে হলে শহরের ভেতর থেকে ট্রাকস্ট্যান্ড ও বাসস্ট্যান্ড সরিয়ে দিতে হবে। পঞ্চবটিতে আলাদা ট্রাকস্ট্যান্ড করা হয়েছে। কিন্তু সেটা কাজে আসেনি। কারণ এখানে কোটি কোটি টাকার চাঁদাবাজির ব্যাপার আছে।
সমকাল: এই চাঁদাবাজ কারা?
রফিউর রাব্বি: সেটা সারা বাংলাদেশ জানে। নারায়ণগঞ্জে একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবার আছে। তাদের ছত্রছায়াতেই সব চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকে। তারাই নারায়ণগঞ্জে সব ধরনের অব্যবস্থাপনা জিইয়ে রাখতে চায়।
সমকাল: ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে তাহলে আপনার পরামর্শ কী?
রফিউর রাব্বি: মণ্ডলপাড়া এলাকায় চাল-ডাল, আটা-ময়দার আড়ত রয়েছে। সেখানে ট্রাক যেতে হয়। সে জন্য ট্রাক শুধু রাতের বেলা চলাচল করার ব্যবস্থা করলে যানজট হবে না। রাত ৮টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত শহরের ভেতরে দূরপাল্লার বাস-ট্রাক চলাচল বন্ধ করতে পারলে যানজট অনেকখানি নিয়ন্ত্রণে আসবে। দূরপাল্লার বাস চাষাঢ়া পর্যন্ত আসবে; শহরের ভেতর সিটি বাস চলবে। এ কাজ সিটি করপোরেশন একা পারবে না।
সমকাল: ট্যাক্স না বাড়ানোর কাজটি তো সিটি করপোরেশন একা করতে পারত।
রফিউর রাব্বি: হ্যাঁ, তৈমূর আলম খন্দকার এই ইস্যুতে বেশ সোচ্চার। আপনি খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন, ট্যাক্স নির্ধারণ করে দেয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। ট্যাক্স বাড়ানো-কমানোর ক্ষমতা সিটি করপোরেশনের নেই। কালেকশন কম-বেশি হতে পারে। কিন্তু নারায়ণগঞ্জে নাগরিকদের ট্যাক্স যা পাওয়া যায়, উন্নয়ন কাজ তার চেয়ে অনেক বেশি হয়েছে। যেমন ১ নম্বর ওয়ার্ডে গত ১০ বছরে ট্যাক্স আদায় হয়েছে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা। কিন্তু ওই ওয়ার্ডে উন্নয়ন কাজ হয়েছে ১২০ কোটি ৯৮ লাখ টাকার। বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকা অর্থায়ন করেছে। আর কোনো সিটি করপোরেশনে এভাবে উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থায়ন করেনি। আমি মনে করি, তারা সেলিনা হায়াৎ আইভীকে দেখেই এ অর্থায়ন করেছে। কারণ তারা জানে, এই অর্থায়নের অপব্যবহার হবে না। এখন এ ধরনের প্রকল্পে অর্থায়নের ক্ষেত্রে বড় শর্ত থাকে- ট্যাক্স কালেকশন ৮০ শতাংশের বেশি হতে হবে। যে কারণে উন্নয়ন চাইলে সিটি করপোরেশন ট্যাক্স আদায় কমিয়ে দিতে পারবে না।
সমকাল: আপনার কি মনে হয়, যানজট, ফুটপাত দখল, ট্যাক্স বৃদ্ধি প্রভৃতি ইস্যুতে ডা. আইভীর জন্য এই নির্বাচনে বিজয় কঠিন হয়ে যেতে পারে?
রফিউর রাব্বি: আমার তা মনে হয় না। কারণ নারায়ণগঞ্জবাসী জানে, এই মেয়র তাদের উন্নয়নের জন্য কাজ করে চলেছেন। তারা গত দুই নির্বাচনে সব ধরনের ষড়যন্ত্র ও বাধা ঠেলে আইভীকে ভোট দিয়েছেন; এবারও দেবেন।
সমকাল: এবার তো দলের ভেতর থেকে আইভীর বিরোধিতা রয়েছে।
রফিউর রাব্বি: সেলিনা হায়াৎ আইভী নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী পরিবারটির বিরোধিতা মোকাবিলা করেই রাজনীতি করে আসছেন এবং নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে চলেছেন। আপনার মনে থাকার কথা, ২০১১ সালে শামীম ওসমান দলের মনোনয়ন পেয়েছিলেন। আইভী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। অনেক বাধা-বিপত্তি
 সত্ত্বেও ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর চেয়ে এক লাখের বেশি ভোটে জিতেছিলেন।
সমকাল: কিন্তু ওই নির্বাচনের সময় তো বিএনপি প্রার্থী ভোট থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। সেটা বোধ হয় সুবিধা দিয়েছিল।
রফিউর রাব্বি: ২০১৬ সালের নির্বাচনে তো বিএনপি প্রার্থী ছিল। তিনি সেবার দলের মনোনয়ন পেলেও স্থানীয় আওয়ামী লীগের চিহ্নিত পরিবারটি তখনও আইভীকে হারানোর জন্য সব ধরনের ষড়যন্ত্র করেছে। কিন্তু তিনি বিএনপি প্রার্থীর চেয়ে ৮০ হাজারের বেশি ভোটে বিজয়ী হয়েছিলেন। এবার তো দল রয়েছে সঙ্গে; নৌকা প্রতীকও রয়েছে। বিএনপি দলগতভাবে তৈমূর আলম খন্দকারের সঙ্গে নেই। স্থানীয় বিএনপিরও অনেকে আইভীকে ভোট দেবেন- আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন। সব ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে আইভী বিজয়ী হতে যাচ্ছেন।
সমকাল: সমকালের প্রতিবেদকের কাছে আপনি কয়েক দিন আগে বলেছেন, নৌকা প্রতীক না পেলে বরং আইভীর বিজয় সহজ হতো।
রফিউর রাব্বি: হ্যাঁ, বলেছি। এটাই বাস্তবতা। সারাদেশের দিকে আপনি দেখুন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেয়েও অনেকে হেরে যাচ্ছেন; জামানত পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে। প্রতীকের প্রতি অনীহা প্রার্থীর প্রতি আস্থাহীনতায় রূপান্তরিত হচ্ছে।
সমকাল: তার মানে আপনি বলতে চাচ্ছেন, নৌকা প্রতীক পাওয়ার কারণেই আইভী হেরে যেতে পারেন?
রফিউর রাব্বি: দেখুন, নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক বাস্তবতা ভিন্ন। তাকে এখানকার ভোটাররা সরকারদলীয় প্রার্থী হিসেবে দেখেন না, নিজেদের প্রার্থী মনে করেন। আইভী হচ্ছেন সাহস ও প্রতিবাদের প্রতীক। একটি চিহ্নিত পরিবারের অন্যায়-অত্যাচার, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে তিনি সবসময় রুখে দাঁড়িয়েছেন। এমনকি নিজের দলেও দুর্ব্যবহার ও সমালোচনার শিকার হয়েছেন। কিন্তু তিনি অন্যায়কারীদের সঙ্গে আপস করেননি।
সমকাল: সাংসদ শামীম ওসমান তো সংবাদ সম্মেলন করে বললেন, তারা নৌকা প্রতীকের সঙ্গে আছেন।
রফিউর রাব্বি: তিনি দলীয় চাপে, রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এই সমর্থন দিয়ে আইভীর কোনো লাভ হবে না। দুই-চারটা ভোটও বাড়বে না, বরং ক্ষতি হতে পারে। কারণ ওই পরিবারের পক্ষে সাধারণ নাগরিকের কোনো সমর্থনই নেই নারায়ণগঞ্জে। তারা নির্বাচনে জেতে সন্ত্রাস ও কালো টাকা দিয়ে। কেন্দ্র দখল করে পাস করে। এই পরিবার যাকে সমর্থন দেয়, ভোটের বাজারে তার বরং ক্ষতিই হয়।
সমকাল: নারায়ণগঞ্জে কান পাতলে শোনা যায়- তৈমূর আলম খন্দকার ওসমান পরিবারের সমর্থন পেয়েছেন। তিনি কি জেনেশুনে নিজের ক্ষতি করতে চেয়েছেন?
রফিউর রাব্বি: ওই পরিবার আইভীকে হারানোর জন্য তৈমূরকে সমর্থন দিয়েছে। আর তৈমূর চেয়েছেন আওয়ামী লীগের মধ্যে বিভাজনের সুযোগ নিতে। দুই পক্ষ যদিও এটা অস্বীকার করছে; বাস্তবতা দেখে বোঝা যায়। তা না হলে শামীম ওসমানপন্থি মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দেওয়ার পর তৈমূর আলম খন্দকার সমালোচনা করবেন কেন? শামীম ওসমানপন্থি নেতাকর্মীদের বাসায় পুলিশি তল্লাশিতে তৈমূর কেন উদ্বিগ্ন হবেন? এ থেকে বোঝা যায়, সমঝোতা একটা আছে।
সমকাল: তৈমূর আলম খন্দকারের পক্ষের লোকজনকেও আটক করা হচ্ছে। বাসায় অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। এগুলোকেও সমর্থন করেন?
রফিউর রাব্বি: না; সমর্থন করি না। আমি চাই, সাধারণ নাগরিকরা যেন ভয়-ভীতির ঊর্ধ্বে উঠে ভোট দিতে পারেন। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আইভী জিতবেন।
সমকাল: নির্বাচন সুষ্ঠু না হওয়া নিয়ে সন্দেহ আছে?
রফিউর রাব্বি: নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন নিয়ে অনেক খেলাই চলছে। আপনাকে মনে রাখতে হবে, নারায়ণগঞ্জে পুলিশ ও প্রশাসন শামীম ওসমানদের কথায় চলে, আর আইভীকে অপছন্দ করে। কারণ তিনি অনিয়ম, চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে। প্রশাসন ও ওসমান পরিবার ওপরে ওপরে যা-ই বলুক, ভেতরে ভেতের আইভীকে হারানোর জন্য যে ষড়যন্ত্র করবে না- তার নিশ্চয়তা কী?
সমকাল: অভিযোগ রয়েছে, নাগরিক কমিটি নাগরিক ইস্যুর চেয়ে রাজনৈতিক দলাদলিতে বেশি মনোযোগী।
রফিউর রাব্বি: এ অভিযোগ শতভাগ বেঠিক। ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটি নাগরিকদের অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। নারায়ণগঞ্জে সন্ত্রাস, হত্যা, চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করে আসছি। আমরা সবসময় নাগরিকদের প্রতিনিধিত্ব করি; তাদের ইস্যু নিয়ে কাজ করি। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনও নাগরিকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। ২০১১ সাল থেকে আমরা এ ব্যাপারে অবস্থান গ্রহণ করে আসছি।
সমকাল: ১৬ তারিখের নির্বাচনে সেলিনা হায়াৎ আইভী জিতলেও ভোটের ব্যবধান কি আগের চেয়ে কম হতে পারে?
রফিউর রাব্বি: আমার ধারণা, ২০১১ ও ১৬ সালের চেয়ে বেশি ব্যবধানে জিতবেন।
সমকাল: ১৭ জানুয়ারি আপনার ধারণা আমরা মিলিয়ে নেব। এত ব্যস্ততার মধ্যেও সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
রফিউর রাব্বি: সে পর্যন্ত ভালো থাকবেন। সমকালের জন্য শুভেচ্ছা।