- সম্পাদকীয় ও উপসম্পাদকীয়
- তেঁতুলিয়ায় চাষ হচ্ছে ভিনদেশি ফুল টিউলিপ
তেঁতুলিয়ায় চাষ হচ্ছে ভিনদেশি ফুল টিউলিপ

ছবি: সমকাল
উত্তরের সীমান্ত জেলা পঞ্চগড়ের একটি উপজেলা তেঁতুলিয়া। শীতপ্রবণ তেঁতুলিয়ার দর্জিপাড়া ও শারিয়াল জোত এলাকায় ভিনদেশি ‘টিউলিপ’ ফুলের ছোট ছোট বাগান। ফুটেছে রকমারি ও বাহারি টিউলিপ। স্থানীয় ৮ নারী উদ্দ্যোক্তা তাদের ৫ শতক করে জমিতে চাষ করেছেন এই ফুল। বেসরকারি একটি সংস্থার উদ্যোগে পরীক্ষামূলক এই ফুল চাষের সাফল্য দেখে বাণিজ্যিকভাবে টিউলিপ চাষের কথা ভাবছেন স্থানীয় কৃষকরা।
রঙিন টিউলিপ সাধারণত শীতপ্রধান অঞ্চলে হয়। নেদারল্যান্ডস, কাশ্মীর, তুরস্কে চাষ হয় বেশি। এবার দেশেও এই ফুলের চাষ শুরু হলো। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় বেসরকারি সংস্থা (ইকো সোস্যাল ডেভলেভমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) ও পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) সহযোগিতায় পরীক্ষামূলক টিউলিপ চাষ করা হয়েছে। এই ফুল চাষ তেঁতুলিয়ার পর্যটন সম্ভাবনায় নতুন সংযোগ মনে বলে করছেন স্থানীয়রা। এখানকার আবহাওয়া ও মাটি টিউলিপ চাষের উপযোগী বলে মনে করছেন তারা।
তেঁতুলিয়ার সারিয়ালজোত ও দর্জিপাড়া গ্রামে ৬ প্রজাতির ১২ রঙের টিউলিপ চাষ শুরু হয়েছে। চারার দাম, শেড নেট, ফেন্সিং নেট, সার, কীটনাশক ও শ্রমের মূল্য বাবদ খরচ ৩০ থেকে ৩২ লাখ টাকা। ৪০ হাজার টিউলিপ ফুল ১০০ টাকা করে বিক্রি করতে পারলে ৪০ শতক জমি থেকে দুই মাসে ৮ লাখ টাকা আয় করার আশা করছেন চাষীরা।
স্থানীয় নারী উদ্যোক্তা আয়শা আক্তার বলেন, আমরা ৮ জন মিলে ৪০ শতক জমিতে টিউলিপ চাষ করেছি। শুরুতে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। কিন্তু ফুল ফোটায় এখন ভালো লাগছে। প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন ফুল দেখতে আসছে। অনেকে কিনেও নিচ্ছে।
তেঁতুলিয়ায় টিউলিপ চাষ প্রকল্পের সমন্বয়কারি আইনুল হক বলেন, এই এলাকায় লাল, সাদা, হলুদ, কমলাসহ বিভিন্ন রঙের টিউলিপ বাণিজ্যিকভাবে চাষ হতে পারে। সেক্ষেত্রে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন চাষীরা। পাশাপাশি তেঁতুলিয়ার পর্যটনেও নতুন মাত্রা যোগ হবে।
তেঁতুলিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘দেশে এখনও সেভাবে টিউলিপ চাষ শুরু হয়নি। বড় পরিসরে টিউলিপ চাষ তেঁতুলিয়ায় প্রথম। ফুলটি চাষে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকা প্রয়োজন। তেতুলিয়া হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘার কাছে থাকায় এখানে দীর্ঘ সময় শীত থাকে। তাই এ এলাকায় টিউলিপ চাষের সম্ভাবনা উজ্জ্বল।’
মন্তব্য করুন