- সম্পাদকীয় ও উপসম্পাদকীয়
- কৃষি ও কৃষকের আধুনিকায়নে নজর দিন
কৃষি ও কৃষকের আধুনিকায়নে নজর দিন

শ্রমিকরা বেতন-বোনাসের জন্য আন্দোলন করতে পারে। ধর্মঘট ডেকে কারখানার চাকা অচল করে দিতে পারে। কিন্তু কৃষক শত বঞ্চনা মুখ বুজে সহ্য করে উৎপাদন অব্যাহত রাখে। পোশাকশিল্প, প্রবাসী আয় আর কৃষির ওপর ভিত্তি করে আমাদের অর্থনীতি দাঁড়িয়ে আছে। করোনার প্রভাবে মাঝে ২ বছর এসব শিল্প ধাক্কা খেয়েছে। এখন সেই ধাক্কা সামলে যখন নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চলছে, তখন করোনার চতুর্থ ঢেউ চোখ রাঙাচ্ছে। তাই আগাম প্রস্তুতি হিসেবে কৃষির আধুনিকায়নে নজর দিতে হবে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বে খাদ্য সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এ অবস্থায় আমাদের জমি সদ্ব্যবহারের পাশাপাশি কৃষকের দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। কৃষিকে অর্থনীতির কংক্রিট মনে করতে হবে। কারণ ১৭ কোটি মানুষের খাদ্যের জোগান দিতে হবে আগে। এর পর অর্থনীতি, ক্ষমতা, রাজনীতি। বাংলার কৃষক কাঙ্ক্ষিত ফসল উৎপাদনে ব্যর্থ হলে খাদ্য ঘাটতির চাপে বাজেটের সব সুরক্ষা প্রাচীর ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে। খাদ্যে স্বনির্ভর হতে হলে কৃষিতে সরকারকে মনোযোগ দিতেই হবে। গ্লোবালাইজেশনের যুগে পরনির্ভরশীল অর্থনীতি হচ্ছে বায়বীয় অর্থনীতি।
বর্তমানে বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডিজেল, তেল; কৃষিতে ব্যবহূত বীজ, কীটনাশক, কৃষি মজুরি বৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি কৃষিতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে। সরকারিভাবে কৃষিপণ্য ক্রয়ের নীতিমালা অনেক পুরোনো। নীতিমালা যুগোপযোগী না হওয়ায় অসাধু সরকারি কর্মচারীদের হাতে জিম্মি হয়ে কৃষক কম দামে কৃষিপণ্য বিক্রি করতে বাধ্য হয়।
১০ টাকায় ১ কোটি কৃষক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলেছে, এ জন্য সরকারকে সাধুবাদ জানাই। তারা ১ কোটি ৪৩ লাখ ৭৫ হাজার কৃষককে কৃষি কার্ড দিয়েছে। কিন্তু এই ভালো উদ্যোগ সঠিক পরিকল্পনার অভাবে কতটুকু বাস্তবায়িত হচ্ছে- সে প্রশ্ন সামনে এসে যায়। ভর্তুকির টাকা যদি সরাসরি কৃষকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে চলে যেত, তাহলে ভর্তুকির টাকার সুফল কৃষক পেত। কৃষি বীমা চালু করতে পারলে কৃষকের প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত ক্ষয়ক্ষতি কমে যাবে এবং ঋণের বোঝাও কমবে। এদেশের কৃষি এবং কৃষকদের বাঁচাতে হলে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ, ব্যাংকগুলোকে দালালমুক্ত করা, সহজ শর্তে কৃষককে আরও ঋণ দিতে হবে। সঠিকভাবে পণ্যের দাম নির্ধারণ করতে হবে। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে পণ্য কিনতে হবে। প্রতিটি থানায় কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতের ব্যবস্থা ও কৃষিভিত্তিক শিল্প স্থাপন করতে হবে। সার, কীটনাশক, কৃষি উপকরণের দাম সমন্বয় করতে হবে। কৃষককে আধুনিক চাষাবাদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষিত যুবকদের কৃষিতে সম্পৃক্ত করতে হবে।
নান্দাইল, ময়মনসিংহ
বর্তমানে বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডিজেল, তেল; কৃষিতে ব্যবহূত বীজ, কীটনাশক, কৃষি মজুরি বৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি কৃষিতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে। সরকারিভাবে কৃষিপণ্য ক্রয়ের নীতিমালা অনেক পুরোনো। নীতিমালা যুগোপযোগী না হওয়ায় অসাধু সরকারি কর্মচারীদের হাতে জিম্মি হয়ে কৃষক কম দামে কৃষিপণ্য বিক্রি করতে বাধ্য হয়।
১০ টাকায় ১ কোটি কৃষক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলেছে, এ জন্য সরকারকে সাধুবাদ জানাই। তারা ১ কোটি ৪৩ লাখ ৭৫ হাজার কৃষককে কৃষি কার্ড দিয়েছে। কিন্তু এই ভালো উদ্যোগ সঠিক পরিকল্পনার অভাবে কতটুকু বাস্তবায়িত হচ্ছে- সে প্রশ্ন সামনে এসে যায়। ভর্তুকির টাকা যদি সরাসরি কৃষকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে চলে যেত, তাহলে ভর্তুকির টাকার সুফল কৃষক পেত। কৃষি বীমা চালু করতে পারলে কৃষকের প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত ক্ষয়ক্ষতি কমে যাবে এবং ঋণের বোঝাও কমবে। এদেশের কৃষি এবং কৃষকদের বাঁচাতে হলে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ, ব্যাংকগুলোকে দালালমুক্ত করা, সহজ শর্তে কৃষককে আরও ঋণ দিতে হবে। সঠিকভাবে পণ্যের দাম নির্ধারণ করতে হবে। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে পণ্য কিনতে হবে। প্রতিটি থানায় কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতের ব্যবস্থা ও কৃষিভিত্তিক শিল্প স্থাপন করতে হবে। সার, কীটনাশক, কৃষি উপকরণের দাম সমন্বয় করতে হবে। কৃষককে আধুনিক চাষাবাদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষিত যুবকদের কৃষিতে সম্পৃক্ত করতে হবে।
নান্দাইল, ময়মনসিংহ
মন্তব্য করুন