- সম্পাদকীয় ও উপসম্পাদকীয়
- প্রধানমন্ত্রীর কাছে খোলা চিঠি এক হাজার কৃষক পরিবারের
বানিশান্তার কৃষিজমি রক্ষার দাবি
প্রধানমন্ত্রীর কাছে খোলা চিঠি এক হাজার কৃষক পরিবারের

কৃষিজমি রক্ষার দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে লেখা খোলা চিঠি। ছবি-সংগৃহীত
খুলনার দাকোপ উপজেলার বানিশান্তা ইউনিয়নের ৩০০ একর তিন ফসলি উর্বর কৃষিজমি রক্ষার দাবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খোলা চিঠি লিখেছে এক হাজার কৃষক পরিবার। চিঠিতে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পশুর নদ ড্রেজিংয়ের বালু কৃষিজমিতে ফেলার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে বিকল্প জায়গায় ফেলার দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা।
বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এবং বানিশান্তা কৃষিজমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটির আয়োজনে বানিশান্তা-ভোজনখালী সংযোগ সড়কে এক কর্মসূচিতে এ চিঠি লেখা হয়। সকাল ১১টায় এ কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য কৃষানি পাপিয়া মিস্ত্রী। প্রধান অতিথি ছিলেন বানিশান্তা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পরিমল কান্তি রপ্তান। প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) কেন্দ্রীয় নেতা নূর আলম শেখ।
বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগ নেতা সঞ্জিব মণ্ডল, সিপিবি নেতা বিশ্বজিত মণ্ডল, কৃষিজমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটির নেতা সত্যজিত গাইন, হিরন্ময় রায়, ইউপি সদস্য জয় কুমার মানিক ও জয়ন্ত কুমার গাইন, পীযূষ কুমার রায়, বিজন বিহারী মণ্ডল, মাওলানা ইব্রাহিম খলিল উল্লাহ, বাপা নেতা ইস্রাফিল বয়াতি, হাছিব সরদার, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন খুলনা জেলা সংসদের সভাপতি সৌরভ সমাদ্দার, সাধারণ সম্পাদক সৌমিত্র সৌরভ, ছাত্রনেতা প্রীতম সরদার, কৃষক নেতা কৃষ্ণপদ মণ্ডল, কৃষানি মনষা মণ্ডল ও বৈশাখী মণ্ডল।
এ সময় বক্তারা জানান, তাঁরা ভেবেছিলেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান পশুর নদী ড্রেজিংয়ের বালু ফেলার ভুল সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে কৃষকদের বিকল্প প্রস্তাব বিবেচনায় নেবেন। তবে তিনি সেটি না করে বিভিন্ন মহলকে উস্কানি দিয়ে এবং অপকৌশলের মাধ্যমে সংঘাতময় একটি পরিস্থিতি তৈরি করেছেন। এমন অবস্থায় বানিশান্তার ৩০০ একর তিন ফসলি উর্বর কৃষিজমি রক্ষায় ১২শ কৃষক পরিবারের পাঁচ হাজার মানুষের পক্ষ থেকে তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
তাঁরা বলেন, উন্নয়ন করতে গিয়ে কৃষি জমি নষ্ট করা যাবে না, এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি ফেলে রাখা যাবে না- প্রধানমন্ত্রীর এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে তারা জীবন দেবেন, তবে বানিশান্তার তিন ফসলি কৃষিজমিতে বালু ফেলতে দেবেন না।
মন্তব্য করুন