- সম্পাদকীয় ও উপসম্পাদকীয়
- সামাজিক সুরক্ষার আওতা বাড়ানোর পরামর্শ
খাদ্য নিরাপত্তা ও দারিদ্র্য বিষয়ে জনসম্মিলন
সামাজিক সুরক্ষার আওতা বাড়ানোর পরামর্শ

ছবি: সংগৃহীত
করোনা অতিমারি ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে খাদ্যমূল্য ও দারিদ্র্য বেড়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে খাদ্য নিরাপত্তা ও সামাজিক সুরক্ষা সেবা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। একই সঙ্গে বাজারে পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদারের তাগিদ দিয়েছেন তাঁরা।
রোববার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ওয়েভ ফাউন্ডেশন আয়োজিত 'স্থায়িত্বশীল উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে খাদ্য নিরাপত্তা, দারিদ্র্য ও বৈষম্য অবসানের দাবিতে জাতীয় জনসম্মিলন' শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এসব পরামর্শ দেন তাঁরা।
ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মুহাম্মদ ফারুক-উজ-জামান, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) গবেষণা পরিচালক ড. মাহফুজ কবীর এবং বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) রিসার্চ ফেলো ড. আজরিন করিম। অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এনআরডিএসের নির্বাহী পরিচালক আব্দুল আউয়াল।
ড. আজরিন করিম বলেন, দারিদ্র্র্য নিয়ে যে সাফল্য অর্জিত হয়েছিল তা করোনার কারণে অনেকটা পিছিয়ে গেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে তৈরি হওয়া মূল্যস্ম্ফীতি দারিদ্র্য বাড়িয়ে দিয়েছে। তাই পণ্যমূল্য মনিটারিং ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা বাড়িয়ে তা প্রকৃত উপকারভোগীদের কাছে পৌঁছানোর বিষয়টি নিশ্চিত করা জরুরি।
ড. মাহফুজ কবীর বলেন, সামাজিক নিরপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি বাস্তবায়নে সরকার যথেষ্ট সচেতন। তবে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর এ বিষয়ে সদিচ্ছার অভাব রয়েছে। এ ক্ষেত্রে নজর দিতে হবে।
মন্তব্য করুন