- সম্পাদকীয় ও উপসম্পাদকীয়
- খালেদা জিয়া রাজনীতি করবেন না, এমন মুচলেকা ছিল না: আইনমন্ত্রী
খালেদা জিয়া রাজনীতি করবেন না, এমন মুচলেকা ছিল না: আইনমন্ত্রী

ওরিয়েন্টেশন কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী- সমকাল
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রাজনীতি করবেন না- এমন মুচলেকার কথা নির্বাহী আদেশে মুক্তির আবেদনে ছিল না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ সোমবার বাংলাদেশ বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজদের ‘১১তম ওরিয়েন্টেশন কোর্সের’ উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।
গত ২৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য যে আবেদন করা হয়েছিল, সেখানে মুচলেকায় ছিল, তিনি রাজনীতি করবেন না। তার ভিত্তিতে তাকে বাসায় নেওয়া হয়েছে।
মুচলেকায় খালেদা জিয়ার রাজনীতি না করার বিষয়টি ছিল কি-না জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, একজন সংসদ সদস্য যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটা একদম ভুল না। তবে আমার যতদূর মনে পড়ে এমন কথা ছিল না।
আনিসুল হক বলেন, আমি পত্রিকার মাধ্যমে শুনেছি, তার (খালেদা জিয়া) ভাই শামীম ইস্কান্দার বিএনপিকে বলেছেন, রাজনৈতিক প্রোগ্রামে খালেদা জিয়াকে যেন জড়িত না করা হয়। সেক্ষেত্রে কেউ যদি এমন বক্তব্য দিয়ে থাকেন তাহলে খুব একটা ভুল বক্তব্য দেননি।
এদিকে গতকাল রোববার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, ডাটা সুরক্ষা আইন পাস হলে অনেক মার্কিন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ছাড়তে বাধ্য হবে। এমন পরিস্থিতিতে সরকার এই আইন পাস করা থেকে পিছিয়ে আসবে কিনা? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আমার মনে হয়, ডাটা সুরক্ষা আইন প্রত্যেক দেশের জন্য প্রয়োজন। সেটা তিনিও (পিটার হাস) বলেছেন। এ বিষয়ে ফের স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করা হবে। আলোচনার মাধ্যমে কোনো অসুবিধা যদি এই খসড়া আইনে থেকে থাকে, তাহলে তা সংশোধন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আমি আশা করবো, ডাটা সুরক্ষা আইন পাস হলে অনেক মার্কিন প্রতিষ্ঠান চলে যাবে- ঢালাওভাবে এমন কথা বলা থেকে সবাই বিরত থাকবো।
এর আগে বিচারকদের অনুষ্ঠানে আনিসুল হক বলেন, বিচার বিভাগ প্রায় ৩৭ লাখ মামলার বোঝা নিয়ে যথাসম্ভব স্বল্প সময় ও খরচে বিচারিক সেবা প্রদানের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। বিচারাধীন মামলার জট কমিয়ে আনা বিচার বিভাগের জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিচারকদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
এ সময় উপস্থিত অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজদের নিজ নিজ অভিজ্ঞতার আলোকে কীভাবে এই মামলার জট কমিয়ে এনে দ্রুত মানসম্পন্ন বিচার সেবা প্রদান করা যায় সেই পরামর্শ দেনমন্ত্রী।
বিচারপতি প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্যে দেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার।
মন্তব্য করুন