- সম্পাদকীয় ও উপসম্পাদকীয়
- স্ত্রী-পুত্রের মরদেহ ঘরে, গৃহকর্তার গাছে
স্ত্রী-পুত্রের মরদেহ ঘরে, গৃহকর্তার গাছে

ঘটনাস্থলে চুনারুঘাট সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার। ছবি-সমকাল
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় স্বামী, স্ত্রী ও তাঁদের প্রতিবন্ধী সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের গাদিশাল গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাঁদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত তিনজন হলেনু ওই গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে সুর্য্যল হক (৪২), তাঁর স্ত্রী জেসমিন আক্তার (৩৮) ও তাঁদের বড় ছেলে ইয়াসিন (১৪)। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার পর সূর্য্যল আত্মহত্যা করেছেন। মৃত দম্পতির আরও তিন শিশুসন্তান আছে। তাদের বয়স যথাক্রমে ৬, ৫ ও ৩ বছর।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্বাস মিয়া জানান, সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটতে পারে। প্রতিবেশীদের মাধ্যমে দুপুরে খবর পেয়ে তিনি সুর্য্যলের বাড়িতে গিয়ে দেখেন, জেসমিন ও ইয়াসিনের মরদেহ ঘরে পড়ে আছে এবং সুর্য্যল মৃত অবস্থায় বাড়ির পাশে একটি গাছে ঝুলছেন। পরে পুলিশে খবর দেন আব্বাস মিয়া।
চুনারুঘাট থানার ওসি রাশেদুল হক জানান, জেসমিনের মরদেহ ঘরের মধ্যে খাটের নিচে এবং ইয়াসিনের মরদেহ খাটের ওপর থেকে উদ্ধার করা হয়। জেসমিনের নাক-মুখ ফোলা ছিল। ইয়াসিনের গলায় দাগ দেখা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার পর সূর্য্যল গাছে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী বলেন, সুর্য্যল হতদরিদ্র ছিলেন। তিনি বাঁশ ও বেত দিয়ে ঝুড়ি-টুকরি বানাতেন। মানুষের কাছে হাত পেতে সংসার চালাতেন জেসমিন। অভাবের কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। এর আগেও সূর্য্যল আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে।
মন্তব্য করুন