- সম্পাদকীয় ও উপসম্পাদকীয়
- ‘সৌদিতে সাপ্লাই ভিসার ফাঁদে পড়েছি, জানি না কীভাবে দেশে ফিরবো’
ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আকুতি
‘সৌদিতে সাপ্লাই ভিসার ফাঁদে পড়েছি, জানি না কীভাবে দেশে ফিরবো’
সৌদি গিয়ে প্রতারণার শিকার আল আমিন দেশে ফিরতে চায়

আল আমিন
ভাগ্য বদলাতে দালালের মাধ্যমে সৌদি আরব গিয়ে প্রতারণার শিকার বরিশালের যুবক আল আমিন গাজী এক ফেসবুক পোস্টে দেশে ফেরার আকুতি জানিয়েছেন। গত বুধবার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাসে আল আমিন লিখেছেন, ‘আমি বোকাই রয়ে গেলাম, নিজের জমানো ও ধার করা টাকা সব শেষ। আল্লাহ, তুমি আমাকে সাহায্য করো, যেন মানুষের সব টাকা পরিশোধ করার পরে আমার মৃত্যু হয়। আল্লাহ এই বিপদ থেকে আমাকে রক্ষা করো। আমি প্রতারিত হয়েছি, দেশে ফিরতে চাই’। একই দিন আরেকটি পোস্টে তিনি লেখেন, ‘সৌদিতে এসে সাপ্লাই ভিসার ফাঁদে পড়েছি। জানি না কীভাবে দেশে ফিরবো।’
আল আমিনের স্ত্রী মীম বলেন, বিমানবন্দর থেকে আল আমিনকে রিয়াদের একটি ভবনের কক্ষে নিয়ে আটকে রাখে সেখানকার দালাল। ওই কক্ষে আরও ৬০-৭০ জনকে আটকে রাখা হয়েছে। তারাও দালালের খপ্পরে পড়ে সৌদি গিয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা দালাল সুমনের কাছে বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি বিভিন্ন হুমকি ধমকি দেন। পরে আমরা থানায় জিডি করলে সুমনকে পুলিশ আটক করে। এখন আল আমিন একবেলা-আধবেলা খেয়ে রিয়াদে বন্দিজীবন কাটাচ্ছেন, দেশে ফেরার জন্য ছটফট করছেন। ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে তিনি দেশে ফেরার আকুতি জানিয়েছেন।
অভিযুক্ত সুমন হাওলাদার বলেন, আল আমিনের সঙ্গে যে রকম চুক্তি হয়েছে সেভাবেই তাঁকে সৌদি আরব পাঠানো হয়েছে। যাওয়ার পরে কাজ পেতে কিছু সময় লাগে। তাছাড়া প্রথমে সবাইকেই শ্রমিকের কাজ করতে হয়। কিন্তু আল আমিন কষ্টের কাজ করতে পারবে না বলে এখন নানা অভিযোগ তুলছে।
বরিশাল কোতোয়ালি থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা আল আমিন গাজীকে নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনার ওপর জোর দিচ্ছি। সুমন হাওলাদার সাত দিনের মধ্যে আল আমিনকে দেশে ফিরিয়ে আনবে এমন মুচলেকা দিয়েছে। এরপর আল আমিনের পরিবারের সম্মতিতে সুমনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন