কারিগরি প্রশিক্ষণের পাশাপাশি জাপানি ভাষা শিখছেন। প্রশিক্ষণ শেষে সেখানে গিয়ে মাসে একেকজন আয় করবেন লাখ টাকা– এমন স্বপ্নে কিশোরগঞ্জের ৪০ যুবক ৬ মাসের ভাষা শিক্ষা কোর্সে ভর্তি হয়েছেন। গত শুক্রবার প্রথম ব্যাচের ক্লাস শুরু হয়েছে। বেসরকারি সংস্থা ‘মেসার্স ক্যারিয়ার ফাইন্ডার’-এর উদ্যোগে শুরু হয়েছে ভাষা শিক্ষা কোর্সটি।

জেলা শহরের একরামপুর এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, একটি দ্বিতল ভবনের দোতলায় প্রশিক্ষণার্থীরা জাপানি ভাষা লিখছেন। তাঁদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন চট্টগ্রামের লোহাগাড়া এলাকার উদ্দীপন পাল। এখানে বেকার যুবক ছাড়াও কয়েকজন চাকরিজীবী প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।

সংস্থার লোকজন জানান, সংস্থার স্বত্বাধিকারী এরশাদ উদ্দিন এ কোর্সের সরকারি অনুমোদন পেয়েছেন। সরকারের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এ অনুমোদন দেয়। মন্ত্রণালয়টির সিনিয়র সহকারী সচিব শাহিনা শবনমের ১১ এপ্রিল স্বাক্ষরিত পত্রে দেখা গেছে, ২০২৩ সালের ১২ এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের ১১ এপ্রিল পর্যন্ত এক বছরের ‘টেকনিক্যাল ইন্টার্ন ও স্পেসিফায়েড স্কিলড ওয়ার্কার’ পাঠানোর ক্ষেত্রে সংস্থাটিকে তালিকাভুক্ত করা হয়।

করিমগঞ্জের আশুতিয়াপাড়া এলাকার আরপি হাসান লিয়ন, দিগরখলা এলাকার নাজমুল হকসহ অনেক প্রশিক্ষণার্থী জানান, একটি উন্নত ভবিষ্যতের প্রত্যাশায় এখানে জাপানি ভাষা শিখতে এসেছেন তাঁরা।

সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক করিমগঞ্জের এরশাদ উদ্দিন জানান, কিশোরগঞ্জ অর্থনৈতিকভাবে খুবই পশ্চাৎপদ অবস্থানে রয়েছে। তিনি জাপানের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি ব্যবসা করছেন ২০ বছর ধরে। জাপানিরাই বলেছেন, তাঁদের দেশে অনেক কর্মী দরকার। এ জন্য তিনি চান কিশোরগঞ্জের যুবকরা জাপানের ভাষা শিখে সে দেশে গিয়ে আয় করুক।

নির্বাহী পরিচালক জানান, প্রতিজনের কোর্স ফি নেওয়া হচ্ছে ২০ হাজার টাকা। সপ্তাহে দু’দিন ক্লাস নেওয়া হবে। ভাষা শিক্ষা শেষে এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জাপানে জনশক্তি পাঠানো হবে।

প্রশিক্ষক উদ্দীপন পাল জানান, তিনি অনলাইনে জাপানি ভাষা শিখেছেন। এখানে প্রশিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছেন। মেয়েরাও প্রশিক্ষণের সুযোগটি নিতে পারেন। এখানে ভর্তির ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাগত যোগ্যতার কোনো মাপকাঠি রাখা হয়নি।