’দেশে জীবন ও কর্মমুখী এবং মানবিক গুণাবলীসম্পন্ন শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে। দেশের অগ্রগতির জন্য অধিকহারে কর্মমুখী ও জাতীয় মূল্যবোধসম্পন্ন মানবসম্পদ বাড়ানো প্রয়োজন। অন্যথায় সমাজব্যবস্থায় অপসংস্কৃতি ও অমানবিকতা ছড়িয়ে পড়বে।’

গতকাল শনিবার জাতীয় শিক্ষা সেবা পরিষদের (জাশিপ) উদ্যোগে ‘আগামী দিনের শিক্ষা ও সেবার উন্নয়নে জাশিপ-এর করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। 

ঢাকার আইসিএমএ ভবনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ‘জাশিপ’ এক্সিকিউটিভ অ্যান্ড গভর্নিং কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. হাসনান আহমেদ। বক্তব্য রাখেন জাশিপ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রফেসর মো. মিজানুর রহমান, ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. আবুল হাসনাত মোহা. শামীম, এফবিএইচআরও’র প্রেসিডেন্ট মো. মোশাররফ হোসেন, বাংলাদেশ সোসাইটি ফর প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি একাডেমিক্স’র প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. ফরিদ এ সোবহানি প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, ‘স্কুল-মাদ্রাসা, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি স্তরেই গুণগতমানসম্পন্ন শিক্ষার ঘাটতি রয়েছে। এ ছাড়া সামাজিক শিক্ষার মানও আশানুরূপ নয়। জাতীয় শিক্ষা সেবা পরিষদ এদেশের সুশিক্ষিত জনগোষ্ঠী ও সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে সঙ্গে নিয়ে শিক্ষা ও সেবার মান উন্নয়নে নিজস্ব নীতিমালা অনুযায়ী কাজ করে যাবে। এজন্য দলমত নির্বিশেষে এদেশের সুশিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে স্বেচ্ছায় জাশিপ-এর এই সামাজিক আন্দোলনে এগিয়ে আসতে হবে।’ 

সভায় বক্তারা প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও নিম্নবিত্ত পরিবারের আয়-রোজগার বৃদ্ধিতে আর্থিক সহায়তা ও ক্যাপাসিটি বিল্ডিংয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। জাশিপ নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘গুণগত সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ও সেবার মাধ্যমে মানবকল্যাণমুখী একটি সুখী ও সমৃদ্ধশালী অর্থনৈতিক ধারা প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের অন্যতম লক্ষ্য।’

এ সময় জাশিপ মহাসচিব ও সাবেক শিক্ষা সচিব মো. নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় আমরা এগিয়ে যাচ্ছি এটা যেমন ঠিক, তবে অন্যান্য দেশের তুলনায় এই গতিটা কম। আমাদের অপার সম্ভাবনা রয়েছে।’

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি)’র প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. খন্দকার মোকাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘দেশের জনসংখ্যাকে আমরা বাইরের দেশে দক্ষ করে নিয়ে যেতে পারি। কিন্তু আমাদের দেশ থেকে প্রবাসে যারা যাচ্ছেন তারা কারিগরি শিক্ষা নিয়ে যাচ্ছেন না। ফলে অর্থনৈতিকভাবেও তারা উন্নতি করতে পারছেন না।’