দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বিভিন্ন ধরণের ক্লাব গঠন বাধ্যতামূলক হচ্ছে। বিজ্ঞান চর্চা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও সংস্কৃতি চর্চার ক্লাব গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

‘শিখন-শেখানো’ কার্যক্রমের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মূল্যবোধ তৈরিসহ দক্ষ ও যোগ্য  করে গড়ে তুলতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর শিগগিরই এ কার্যক্রম চালুর নির্দেশনা দেবে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে থাকবে বিজ্ঞান ক্লাব, নাট্য ক্লাব, সাহিত্য ক্লাব, সংগীতচর্চা ক্লাব, ডিবেট ক্লাবসহ ডজন খানেক ক্লাব। সহশিক্ষা কার্যক্রম শিক্ষার্থীর মেধাবিকাশ, মূল্যবোধ তৈরি, দায়িত্ব-কর্তব্য পালন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতৃত্ব গড়ে তোলা এবং তাদের পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখবে। এসব ক্লাব শিক্ষার্থীদের একদিকে যেমন বিজ্ঞানমনস্ক করে তুলবে তেমনি মূল্যবোধসম্পন্ন অসাম্প্রদায়িক মানুষ হিসেবেও গড়ে তুলবে।

মাউশি সূত্র জানায়, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিবেট ক্লাব, বিজ্ঞান ক্লাব, নাট্য ক্লাব, গানের ক্লাব, সাহিত্য ক্লাবসহ ডজন খানেক ক্লাব গঠন করা হবে।

মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে বাধ্যতামূলকভাবে ক্লাব গঠন করতে হবে। প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে কোনো না কোনো ক্লাবের বাধ্যতামূলক সদস্য হতে হবে। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৪-৫টি ক্লাব থাকলে ‘গ’ শ্রেণি, ৮-৯টি ক্লাব থাকলে ‘খ’ শ্রেণি এবং ১০-১২টি থাকলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চেষ্টা থাকবে ‘ক’ শ্রেণিতে যুক্ত হওয়া। এ প্রক্রিয়াগুলো আমরা খুব তাড়াতাড়ি শুরু করবো।