বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর গ্রামে চারটি পুকুরে বিষ প্রয়োগ করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার রাতের কোনো এক সময় পুকুরগুলোতে বিষ দেওয়া হয়। এতে এসব পুকুরে থাকা বহু মাছ সকালে মরে ভেসে ওঠে।

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) বরিশাল জেলা সদস্য সচিব ডা. মণীষা চক্রবর্তী মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ঠাকুরদাদার বাড়িতে ‘মানবতার কৃষি খামার’ কর্মসূচির আওতায় এসব পুকুরে মাছ চাষ করেছিলেন।

ডা. মণীষার অভিযোগ, জাল দলিলের মাধ্যমে বাড়ির মালিকানা দাবি করা মজিবর গাজীসহ কয়েকজন এ কাজ করেছে। শনিবার ওই বাড়িতে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করতে গেলে মজিবর গাজীর নেতৃত্বে ডা. মণীষা ও বাসদ কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়। ওই ঘটনায় এনায়েত মেম্বার নামে একজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।

ডা. মণীষা জানান, তাঁর ঠাকুরদাদা শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা সুধীর চক্রবর্তীর নামে শ্যামপুর গ্রামের বাড়িতে চার বছর আগে মানবতার কৃষি খামার, দাতব্য চিকিৎসালয় ও পাঠাগার স্থাপন করেন। স্থানীয় দুস্থদের কর্মসংস্থানের সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও হাসপাতাল করার পরিকল্পনাও রয়েছে তাঁর। তবে ওই জমি দখলের পাঁয়তারা করছে একটি গোষ্ঠী।

তিনি আরও জানান, মুক্তিযুদ্ধের আগে থেকে তাঁদের পরিবার বরিশাল নগরে বাস করছে। গ্রামের বাড়িতে পাহারাদার ও বর্গাচাষি হিসেবে যাদের রাখা হয়েছিল, তারাই এখন দখলদার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। একটি জাল দলিল তৈরি করে তিন একর জমির মালিকানা দাবি করছে তারা। নেপথ্যে থেকে তাদের সহযোগিতা করছে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা। তারাই হামলাসহ একের পর এক ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে।