- সম্পাদকীয় ও উপসম্পাদকীয়
- ভোটে জেতার বাজেট নয়, সরকারের অন্য ‘মেকানিজম’ আছে: জি এম কাদের
ভোটে জেতার বাজেট নয়, সরকারের অন্য ‘মেকানিজম’ আছে: জি এম কাদের

জাতীয় পার্টির (জাপা) জি এম কাদের সন্দেহ করছেন নির্বাচনে জিততে ক্ষমতাসীন সরকারের অন্য পন্থা রয়েছে। ভোটের বছরে বাজেটে কর বৃদ্ধির প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেছেন, বাজেট দিয়ে সরকারের নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টা আছে বলে মনে হয় না, তাদের হয়তো অন্য ‘মেকানিজম’ আছে। এখন ভোট বাড়া বা কমায় কিছু যায় আসে না। স্বাভাবিকভাবে আওয়ামী লীগের ভোট কমার কথা, কারণ জিনিসপত্রের দাম আরও বাড়বে, নির্বঘ্নে বলা যায়।
বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনে শেষে জাতীয় সংসদের টানেলে সাংবাদিকদের প্রশ্নে বাজেট সম্পর্কে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেছেন বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের। সরকার কৃচ্ছতার কথা বললেও বাজেটে পরিচালনা ব্যয় বৃদ্ধিকে সন্দেহের চোখে দেখছেন। তার আশঙ্কা পরিচালনা ব্যয়ের টাকায় নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে সরকার। তিনি বলেছেন, পরিচালন ব্যয় অনেক বাড়ানো হয়েছে। এই পরিচালন ব্যয়ের মধ্যে সব কিছুই করা সম্ভব। পরিচালন ব্যয় খুব সহজভাবে ব্যয় করা যাবে। পরিচালন ব্যয় দিয়ে নির্বাচনে সুবিধা নিতে পারবে সরকার। উন্নয়ন ব্যয় অনেক কম। উন্নয়ন করে জনগণকে খুশি রাখা প্রবণতা কম। পরিচালক ব্যয়ের টাকা দিয়ে নির্বাচন পার করার একটি পরিস্থিতি হতে পারে।
চলতি বছরের চেয়ে ২০৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেটের আকার প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা বেশি। জি এম কাদের বলেন, এই বাজেট বাস্তবসম্মত মনে করছি না। প্রত্যক্ষ করের পাশাপাশি সকল কিছুতেই পরোক্ষ কর বসানো হয়েছে। এতে সাধারণ ও মধ্যবিত্তের কষ্ট বাড়বে। জিনিসপত্রের দাম এমনিতেই বেশি, দ্রব্যমূল্য আরও বাড়বে। বাজেটে জনবান্ধব বা কল্যাণমুখী কিছু দেখছি না। নিম্নবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও গরীব মানুষ যাতে বেঁচে থাকতে পারে, সেই উপায় নেই বাজেটে। এই বাজেটকে জনবান্ধব বলা যাচ্ছে না।
মন্তব্য করুন