- সম্পাদকীয় ও উপসম্পাদকীয়
- খায়েরের জন্য ভোট চাইলেন পঁচাত্তরে গুলিবিদ্ধ ৩ শিল্পী
বরিশাল সিটি নির্বাচন
খায়েরের জন্য ভোট চাইলেন পঁচাত্তরে গুলিবিদ্ধ ৩ শিল্পী

গুলিবিদ্ধ ৩ সঙ্গীতশিল্পী
বঙ্গবন্ধু সরকারের মন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাতের বাসায় পঁচাত্তরের ১৪ আগস্ট বিকেলে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে গান গাইতে গিয়েছিলেন বরিশালের একদল সংগীতশিল্পী। অনুষ্ঠান শেষে রাতে তাঁরা ওই বাসাতেই থেকে যান। ১৫ আগস্টের ভোরে বঙ্গবন্ধুর ঘাতকরা আবদুর রব সেরনিয়াবাতের বাসাতেও আক্রমণ করেছিল। তাদের হামলায় সেদিন আবদুর রব সেরনিয়াবাতসহ তাঁর পরিবারের অন্তত ৫ জন নিহত হন। রক্ষা পাননি বাড়িতে অতিথি হয়ে আসা সংগীতশিল্পীরাও। ঘাতকদের হামলায় শিল্পীদের একজন নিহত ও অন্যরা গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের মধ্যে ৩ জন সংগীতশিল্পী এখনও বেঁচে আছেন। বরিশাল সিটি নির্বাচন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার এই তিন সংগীতশিল্পী আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহর জন্য নৌকা মার্কায় ভোট চেয়েছেন।
এদিন নগরীর একটি কনভেনশন সেন্টারে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের সেই ভয়াবহ দিনের স্মৃতিচারণ করেন তিন সংগীতশিল্পী ডা. জিল্লুর রহমান, রফিকুল ইসলাম ও ললিত দাস।
তাঁদের সবার বয়স এখন পঁয়ষট্টির ওপরে। তারপরও ৪৮ বছর আগের সেই নৃশংস ঘটনা এই প্রথম তাঁরা সরাসরি তুলে ধরেন গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে।
তাঁরা বর্ণনা করেন, ১৫ আগস্টের সেই হত্যাকাণ্ডে গুলিবিদ্ধ হয়েও কীভাবে বেঁচে গিয়েছিলেন সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ। তিনি চোখের সামনে বাবা আবদুর রব সেরনিয়াবাত, বোন বেবী, ভাই আরিফসহ অন্য স্বজনদের গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যেতে দেখেছেন। পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন আবুল খায়ের। পরে গুলিবিদ্ধ মায়ের অনুরোধে আবুল খায়ের ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পান। এর আগে অন্যরা অনুরোধ করলেও আবুল খায়ের বাড়ি ছেড়ে যেতে রাজি হননি।
তিন শিল্পী বলেন, আবুল খায়ের সজ্জন ও ভালো মানুষ। বাবা, ভাই বোনসহ স্বজনদের মৃত্যুর দৃশ্য দেখার স্মৃতি বুকে নিয়ে তিনি বেঁচে আছেন। তিনি মেয়র নির্বাচিত হলে তাঁর কাছ থেকে বরিশালের কোনো অমঙ্গল হবে না। তিনি উন্নয়ন করবেন।
মন্তব্য করুন