তৃতীয় মেরু
দেশীয় নির্বাচনে বিদেশি প্রভাবের বীজগণিত

প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৮:০০
আমরা পছন্দ করি বা না করি, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রশ্নে ‘প্রভাবশালী’ কয়েকটি দেশ বিশেষত আমেরিকা, ভারত ও চীনের ভূমিকাই যেন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। নির্বাচনকালীন ব্যবস্থা নয়; রাজপথের পাল্টাপাল্টি নয়; নাগরিক সমাজের আকাঙ্ক্ষাও নয়; রাজনীতির সদর ও অন্দরমহল যেন তাকিয়ে রয়েছে ওয়াশিংটন, দিল্লি ও বেইজিংয়ের দিকে।
ঘরের মুখে পরের কথা
একসময় দেশীয় কিংবা দলীয় বিষয়ে বিদেশি প্রভাবের কথা রাজনীতিকরা অন্তত প্রকাশ্যে স্বীকার করতেন না। এখন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলছেন, ‘আমেরিকা ও আওয়ামী লীগের চাওয়া একই– অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন’ (প্রথম আলো, ৩ আগস্ট ২০২৩)। ওদিকে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলছেন, ‘বাইডেন বা শুধু আমেরিকা নয়; সমস্ত গণতান্ত্রিক বিশ্বই বাংলাদেশে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায়’ (সমকাল, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩)।
একসময় এ দেশের রাজনীতিতে বৃহৎ প্রতিবেশী ভারতের ভূমিকা ‘ট্যাবু’ কিংবা পরস্পরকে ঘায়েলের অস্ত্র ছিল। এখন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলছেন, ‘আঞ্চলিক রাজনীতিতে ভারত আর আমেরিকার এই ভূখণ্ডে অভিন্ন স্বার্থ আছে। অভিন্ন স্বার্থের বিষয়ে তারা একে অন্যকে এই স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় স্মরণ করিয়ে দিতে পারে’ (দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, ১৯ আগস্ট ২০২৩)। বিএনপি মহাসচিব বলছেন, ‘আমরা আশা করব, ভারত বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে মর্যাদা দেবে এবং এই দেশে সত্যিকার অর্থেই সব দলের অংশগ্রহণে একটি নিরপেক্ষ-নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যাপারে পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপন করবে’ (ডেইলি স্টার, ১৯ আগস্ট ২০২৩)।
নজিরবিহীনভাবে চীনের প্রসঙ্গও উঠে আসছে। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘নির্বাচনের ব্যাপারে চীনের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা বলেছে, এটা তোমাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। তোমাদের দেশের যে নিয়মকানুন রয়েছে, সেই অনুযায়ী তোমরা নির্বাচন করো’ (বণিক বার্তা, ২২ জুলাই ২০২৩)। ওদিকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ‘চীন আমাদের দীর্ঘদিনের বন্ধু। আমরা আশা করি, চীন দেশের জনগণের প্রত্যাশার বিপরীতে অবস্থান নেবে না। জনগণ গত দুটি সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি’ (দেশ রূপান্তর, ২১ জুন ২০২৩)।
প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশের নির্বাচন প্রশ্নে আলোচ্য তিন দেশের নিজস্ব অবস্থান কী?
‘ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট’ যুক্তরাষ্ট্র
বিভিন্ন দেশ সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের যে হালনাগাদ ‘ইন্টিগ্রেটেড কান্ট্রি স্ট্র্যাটেজি’ রয়েছে, এতে স্বীকার করা হয়েছে, ‘ভারত, চীন, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাজনৈতিক ও নিরাপত্তাবিষয়ক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভারসাম্য রক্ষা করেই চলেছে।’ এর ২.১ নম্বর লক্ষ্যে বলা হচ্ছে, ‘বাংলাদেশ যাতে সব পর্যায়ে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন আয়োজন করে, জনগণের বিপন্ন অংশগুলোকে সুরক্ষা দেয় এবং নাগরিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করে।’
যদি সেটা সম্ভব না হয়? যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের ক্রমবর্ধমান কর্তৃত্বপরায়ণ স্বভাবের কারণে বাংলাদেশে যদি গণতান্ত্রিক পরিসর সংকুচিত হতে থাকে, এই লক্ষ্য অর্জনে অগ্রগতির ঘাটতি দেখা দেবে। এতে করে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘন আরও বাড়তে পারে এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও নিরেট নিরাপত্তা প্রদায়ক হিসেবে বাংলাদেশের সরবরাহ সক্ষমতা ক্ষুণ্ন হতে পারে।’
এই প্রেক্ষাপটে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসতে থাকে, দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা ও দেনদরবার সত্ত্বেও সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রশ্নে দূরত্ব বাড়তেই থাকে। এর প্রথম প্রকাশ ঘটে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের সাবেক ও তৎকালীন সাতজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং একই মাসে গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ না জানানোর মধ্য দিয়ে। ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় গণতন্ত্র সম্মেলনেও বাংলাদেশ আমন্ত্রণ পায়নি। চলতি বছরের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ঘোষণা করে, বাংলাদেশে যারা গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে, তারা ভিসা নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারে।
শুধু রাজনৈতিক ও সামরিক কারণে নয়; অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক বাংলাদেশের জন্য ‘মূল্যবান’। কারণ দেশটি বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহৎ বাণিজ্যিক অংশীদার এবং একক বৃহত্তম রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকশিল্পের সবচেয়ে বড় গন্তব্য। এ ছাড়া এফডিআই তথা সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ এবং জ্বালানি খাতে বিনিয়োগকারীর বৃহত্তম উৎস। যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএইডের এশীয় অঞ্চলের বৃহত্তম কর্মসূচি রয়েছে বাংলাদেশেই। সেই যুক্তরাষ্ট্র যখন নির্বাচন প্রশ্নে স্পষ্টতই সরকারের অবস্থানের বিপরীত পাশে দাঁড়ায়, তখন বিষয়টি ক্ষমতাসীন দলের জন্য চিন্তার বটে।
ভারতের ‘মনরো ডকট্রিন’
যদিও ভারতের জাতীয় কংগ্রেস ও বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের মধ্যে ঐতিহাসিক নৈকট্য রয়েছে; বিজেপি সরকারের টানা দুই মেয়াদেও ঢাকা-নয়াদিল্লি সম্পর্ক সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ হয়েছে। এমনকি ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে যখন জাতীয় পার্টির মতো দলগুলোও বিএনপিকে বাইরে রেখে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে গররাজি ছিল, ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং ঢাকায় বহুল আলোচিত সফরে এসে তাঁর দেশের বার্তা পৌঁছে দেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নামে জোট গঠন করে বিএনপি যে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল, সেখানেও ভারতের ‘আশ্বাস’ কাজ করেছে বলে ব্যাপক আলোচনা রয়েছে।
২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনেও যুক্তরাষ্ট্র কমবেশি এখনকার মতো অবস্থান নিলেও বিষয়টি ‘ম্যানেজ’ করেছিল ভারত। কেউ কেউ বলেন, এ ক্ষেত্রে ওয়াশিংটনকে ‘মনরো ডকট্রিন’ মনে করিয়ে দিয়েছিল নয়াদিল্লি। যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম প্রেসিডেন্ট জেমস মনরো (১৮১৭-২৫) মনে করতেন, আমেরিকা মহাদেশের দেশগুলোর রাজনৈতিক বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সম্মতি ছাড়া বিদেশি শক্তি হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। ওই সময় ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান মজীনার একাধিক দফায় দিল্লি সফর ‘মনরো ডকট্রিন’ আরও স্পষ্ট করেছিল।
সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অন্তত দুটি ব্রিফিংয়ে যা বলেন, তার সারমর্ম হচ্ছে, বাংলাদেশ সম্পর্কে ভারতের মনোভাব অপরিবর্তিত– দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না। নির্দিষ্ট সময়েই সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হোক। তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের সম্ভাবনার মতো কাল্পনিক কোনো বিষয় নিয়ে মন্তব্য নয় (সমকাল, ১১ আগস্ট ২০২৩)।
‘চীন ফ্যাক্টর’
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বরাবরের মতোই প্রকাশ্য মন্তব্য থেকে বিরত থাকে চীন। ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন আগস্ট মাসে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এবং নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। দু’বারই সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি প্রাঞ্জল ভাষায় জানিয়ে দেন, ‘নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়।’
কৌতূহলোদ্দীপক বিষয় হচ্ছে, বাংলাদেশের নির্বাচন প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের বর্তমান যে অবস্থান, সেটার সঙ্গে ‘চীন ফ্যাক্টর’ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। অর্থনৈতিক, সামরিক ও ভূরাজনৈতিক দিক থেকে চীন ইতোমধ্যে বাংলাদেশে যে সুবিধাজনক স্থানে রয়েছে, তাতে অহেতুক উচ্চবাচ্য করার দরকারই বা কী?
বিদেশি প্রভাবের বীজগণিত
বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মূল উদ্বেগ যে চীন– সেটা বোঝার জন্য বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই। ওদিকে নয়াদিল্লির অন্দরমহলের খোঁজখবর যারা রাখেন, তাদের বক্তব্য হচ্ছে, ভারত ২০১৪ ও ২০১৮ সালের অবস্থানে নেই। এখনও আওয়ামী লীগই তাদের প্রথম পছন্দ। কিন্তু আগের মতো ‘ব্ল্যাঙ্ক চেক’ দেওয়া নেই। এ ছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে যেহেতু ভারতের একই সঙ্গে ভূরাজনীতি ও নিরাপত্তার প্রশ্ন জড়িত; এবারের নির্বাচন নিয়ে নয়াদিল্লির অবস্থান এককভাবে পররাষ্ট্র দপ্তর বা নিরাপত্তা উপদেষ্টার দপ্তর নির্ধারণ করার কথা নয়। আগের দুই দফা নির্বাচনের মতো অন্দরের ঐকমত্যও সম্ভবত সহজ হচ্ছে না। এর সবচেয়ে বড় কারণ সম্ভবত ‘চীন ফ্যাক্টর’ নিয়ে দোটানা।
বিশ্লেষক ও পরামর্শক প্রতিম রঞ্জন বসু বাংলাদেশের নির্বাচন প্রশ্নে একটি ওয়েব পোর্টালে যে বিশ্লেষণ দিয়েছেন, সেখানে ভারতের অন্দরমহলের একটি অংশের অবস্থান স্পষ্ট। তিনি বলেছেন, ঢাকায় ক্ষমতাসীন দল ভারতের সমর্থন ‘ফর গ্রান্টেড’ ধরে নিয়ে চীন ও ইসলামপন্থিদের সঙ্গে সখ্য বাড়িয়েছে। ইসলামপন্থিরা যেমন জনপ্রিয়তার ঘাটতি মিটিয়ে দিচ্ছে, তেমনি চীন এগিয়ে এসেছে টাকার থলি নিয়ে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে ঢাকা মধুর সব প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে বিপরীতটিই করেছে। আর সাধারণ বাংলাদেশিরা তাদের সামান্য গণতন্ত্রটুকুও নষ্ট হওয়ার জন্য ভারতকে দোষারোপ করছে। তাঁর মতে, একদিকে ভারতীয় প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন ঝুলে আছে বা খুঁড়িয়ে চলছে, অন্যদিকে চীনা প্রকল্পগুলোর পরিস্থিতি ঠিক বিপরীত (মানি কন্ট্রোল, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৩)।
হতে পারে, নয়াদিল্লি এই নির্বাচনের আগে ‘চীন ফ্যাক্টর’ যাচাই করে নিতে চায়। সে ক্ষেত্রে ২০১৪ বা ২০১৮ সালের মতো নিছক ‘প্রতিশ্রুতি’ নয়; সুনির্দিষ্ট বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ও পথরেখাও জানতে চাইবে। আওয়ামী লীগের বাইরে সর্বাংশ বিকল্প যেহেতু নেই, আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদে ও রাজনীতিতে একটি ‘চেক অ্যান্ড ব্যালান্স’ প্রতিষ্ঠায়ও উদ্যোগী হতে পারে। তাতে বিএনপি বা জামায়াতে ইসলামী কিংবা নতুন গজিয়ে ওঠা কিংস পার্টিগুলোর কী অবস্থান হবে, বলা যাচ্ছে না।
তবে ভারত যদি বাংলাদেশের রাজনীতি ও সরকার ব্যবস্থায় ‘চীন প্রশ্ন’ সুরাহা করতে পারে, যুক্তরাষ্ট্রেরও বিশেষ আপত্তি থাকার কথা নয়। আর ইউক্রেন-রাশিয়া প্রশ্নে বৈশ্বিক রাজনীতির ক্ষেত্রে অন্তত আপাত ভারতকে সমঝে চলা ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের গতি নেই। ওদিকে ওয়াশিংটন ইতোমধ্যে ইউরোপে যে বিশাল যুদ্ধে জড়িয়ে গেছে এবং তাইওয়ান ও আফ্রিকায় যে বিরোধ ধূমায়িত হয়ে উঠছে; তারপর বাংলাদেশে আরেকটি ফ্রন্ট খুলতে চাইবে? বরং মিয়ানমারে বেইজিংয়ের প্রভাব ‘নিউট্রাল’ করতে হলে ঢাকাকে পাশে লাগবে ওয়াশিংটনের।
এ+বি+সি = ডি+ই
আমেরিকা, ভারত ও চীনের ইংরেজি অ্যাদ্যাক্ষর যদি যথাক্রমে এ, বি ও সি ধরি এবং গণতন্ত্র (ডেমোক্রেসি) ও নির্বাচনের (ইলেকশন) যথাক্রমে ডি এবং ই ধরি; তাহলে দেশীয় নির্বাচনে বিদেশি প্রভাবের বীজগণিতের সূত্রটি এমন হতে পারে: এ+বি+সি = ডি+ই। অর্থাৎ গণতন্ত্র ও নির্বাচন দুটিই থাকতে পারে। যে কোনো একটি রাশি বাদ গেলে কী ঘটতে পারে, সেই সূত্র স্পষ্ট হতে আরও কয়েক মাস অপেক্ষা করতেই হবে।
শেখ রোকন: লেখক ও গবেষক; সহযোগী সম্পাদক, সমকাল
skrokon@gmail.com- বিষয় :
- তৃতীয় মেরু
- শেখ রোকন