মানবসম্পদ
মানবিক নেতৃত্বের মাধ্যমেই মহামারি মোকাবিলা

সাক্সি হান্দা
প্রকাশ: ০১ জুন ২০২১ | ১২:০০
একটি শব্দই সম্ভবত বর্তমান সময় ও আমাদের মানসিক অবস্থা যথাযথ তুলে ধরতে পারে- 'স্তম্ভিত'। বিপর্যস্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, অনির্দিষ্টকালের লকডাউন এবং সকালে ঘুম ভাঙতেই উদ্বিগ্ন করে তোলা খবরাখবর প্রতিনিয়তই আমাদের স্তম্ভিত করে দিচ্ছে।
চারপাশে যেন চাপা উৎকণ্ঠা ক্রমেই তীব্র হয়ে উঠছে। দীর্ঘমেয়াদি এই নিঃসঙ্গতা ও বিষাদ আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য কতটা সংকটাপন্ন করে তুলছে তাও পুরোপুরিভাবে পরিমাপ করা সম্ভব নয়। দেখা যাচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে 'মিলেনিয়াম জেনারেশন' বা ১৮ থেকে ২৪ বছরের তরুণ-তরুণীরা মানসিকভাবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাই সময় এসেছে, এদেশের কর্মজীবীদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়ার। ইউনিলিভারে আমরা অনুধাবন করেছি যে, পারস্পরিক সহমর্মিতা ও আস্থা সৃষ্টির মাধ্যমে অনিশ্চয়তা ও ক্ষত থেকে জয়ের সংস্কৃতি গড়ে তোলার এখনই সময়। তাই মহামারির সময়ে প্রতিষ্ঠানের সব সদস্যের জীবন-জীবিকা রক্ষায় নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি আমরা। এতে করে মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ থেকে সুরক্ষা সহজ হয়েছে।
আমরা সবসময় বিশ্বাস করি, কর্মীদের প্রতি যত্নশীল হলে তারাও যত্নের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিয়ে যায়। বাংলাদেশে করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই আমাদের কার্যক্রমের প্রতিটি পর্যায়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষামূলক অবকাঠামো তৈরি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কাজ যত্নের সঙ্গে সম্পন্ন করা হয়েছে। দ্রুততার সঙ্গেই ইউনিলিভার বাংলাদেশে বাইপ্যাপ মেশিন, করোনা টেস্টিং কিট, হাই নজেল ক্যানোলা নিয়ে এসেছে। এগুলো একদিকে কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ব্যবহূত হয়েছে, অন্যদিকে করোনা চিকিৎসা প্রদানকারী বিভিন্ন হাসপাতালেও বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে। কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আমরা হোম টেস্টিং, হোম নার্সিংসহ ২৪/৭ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সেবা প্রদান নিশ্চিত করেছি।
আমাদের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পরোক্ষভাবে জড়িত ২০ হাজার কর্মীও এই সুরক্ষা বেষ্টনীর মধ্যে এসেছেন। মহামারিকালের প্রতিটি দিন আমরা শুরু করেছি কর্মীদের স্বাস্থ্যের খোঁজ দিয়ে। যার যেমন সহযোগিতা প্রয়োজন, সেভাবে পৌঁছে দিতে পেরেছি। কেবল শারীরিক স্বাস্থ্য দেখভাল নয়; কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্য জোরালো রাখার জন্যও অভিজ্ঞ একদল মনোরোগ বিশেষজ্ঞ কাজ করে যাচ্ছেন। মহামারির শুরুতে যখন নির্দিষ্ট চিকিৎসা পদ্ধতি জানা ছিল না, তখন থেকেই সাবান ছিল করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর হাতিয়ার। সাবান ও হান্ড স্যানিটাইজার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রথম থেকেই আমাদের চেষ্টা ছিল অতিপ্রয়োজনীয় এ পণ্যের জোগান নিশ্চিত রাখা। কাজটি মোটেই সহজ ছিল না। তারপরও আমাদের কারখানা ও মাঠ পর্যায়ে সামনের সারির কর্মীদের দৃঢ় প্রত্যয় ও অসীম মনোবলেই অসম্ভব কাজটি সম্ভব হয়েছে। সুরক্ষিত কর্মপরিবেশ, পুষ্টিকর খাবার, যথাযথ বিশ্রাম ও মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি নজরদারি তাদের অনুপ্রাণিত করেছে।
করোনা মহামারি আমাদের নিত্যদিনের স্বাভাবিক নিয়ম-নীতি অনেকখানিই ভেঙে দিয়েছে। কাজের নতুন পদ্ধতি আয়ত্তে আনার জন্য প্রযুক্তি কাঠামো যতটা, তার চেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল কাজের নতুন পদ্ধতি আত্মস্থ করার মানসিক প্রস্তুতি। এ বিষয়ে ইউনিলিভারের পূর্ব অভিজ্ঞতা ও নতুন পদ্ধতিতে কাজ করার প্রস্তুতি আমাদের জন্য বিষয়টি সহজ করেছে। মহামারির কারণে একদিকে অনেক ধরনের দক্ষতার প্রয়োজন যেমন বেড়ে গেছে, তেমনি কিছু কাজের চাহিদা কমেও গেছে। ইউনিলিভারের বৈশ্বিক 'টুল-ফ্লেক্স' দিয়ে বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে যে কেউ তার বিশেষ দক্ষতা কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করতে পারছে। আমাদের কর্মীরাও এই সুবিধা পাচ্ছেন।
কর্মক্ষেত্র বাড়ির মতোই ভালোবাসার জায়গা। গত বছরের মার্চ মাসে হঠাৎ সেই জীবনের ছন্দপতনে আমরা বাসস্থানকেই কর্মস্থানে পরিণত করতে বাধ্য হলাম। বুঝতে পারলাম, ভার্চুয়াল জগৎই এখন বেশি উপযোগী। আমরা আরও আবিস্কার করলাম, কঠিন সময়ে নতুন নতুন বিষয়ে শেখার সুযোগ তৈরি হয়েছে। সেগুলো আমাদের ঘরবন্দি জীবনের একঘেয়েমি কাটিয়ে নতুন করে আশাবাদী করে তুলছে। তাই বিশ্বব্যাপী ইউনিলিভার চালু করে 'লার্নিং উইকএন্ড প্রোগ্রাম'। বাংলাদেশের কর্মীরা সবচেয়ে বেশি ঘণ্টা শিখন কাজে ব্যবহার করে বিশ্বে এক নম্বর দেশ হিসেবে ইউনিলিভারে স্বীকৃতি পেয়েছেন।
মহামারির মধ্যে আমরা কর্মীদের সঙ্গে যত যোগাযোগ করছিলাম, ততই বুঝতে পারছিলাম তাদের মানসিক স্বাস্থ্য গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমাদের প্রত্যেক কর্মী যেন একটি খুদেবার্তা বা ফোনকল বা ক্লিকেই আমাদের কাছে পৌঁছাতে পারেন, সেজন্য '২৪/৭ এমপ্লয় অ্যাসিস্ট্যান্স' প্রোগ্রাম চালু হয়। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে কর্মীরা যেকোনো সময়ে তাদের আশঙ্কা বা মানসিক চাপ জানানো বা আলোচনার সুযোগ পেয়েছেন। যদিও এই মনোরোগ বিষয়ক হেল্পলাইন আগেও ছিল; মহামারিতে এর ব্যবহার প্রায় ১০৬ শতাংশ বেড়েছে। কর্মীদের মাঝে আমরা 'মানসিক স্বাস্থ্য চ্যাম্পিয়ন' তৈরি করেছি, যারা যেকোনো বিষয়ে নিরপেক্ষ শুনানিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং কঠিন সময়ে সহকর্মীদের মানসিক সহযোগিতা প্রদানে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
বৈশ্বিক এই মহামারি বিলীন কবে হবে এবং কবে আমরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারব, তা কেউই বলতে পারছেন না। আমরাও মনেপ্রাণে চাই- আমাদের কর্মীরা শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকুন। সেজন্য আমাদের দায়িত্বও অনেক। গবেষণায় দেখা গেছে, সহমর্মিতার সঙ্গে নেতৃত্ব তিন গুণ বেশি প্রভাবিত করে যেকোনো কর্মী দল ও তাদের কর্মক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয়। তাই আমরা আমাদের ব্যবস্থাপকদের প্রশিক্ষিত ও উদ্বুদ্ধ করছি, যাতে তারা সহমর্মিতা, সংবেদনশীলতা ও অকৃত্রিম যত্নের সঙ্গে নেতৃত্ব প্রদান করেন। মহামারির দিনে আমাদের সবচেয়ে বড় শিক্ষা হলো- সামাজিক দূরত্বের এই যুদ্ধে জয়ী হতে হলে প্রয়োজন গভীর ও অর্থবহ সামাজিক যোগসূত্র। এটি নিশ্চিত করার জন্যই এখন প্রয়োজন মানবিক নেতৃত্বের।
মানবসম্পদ বিষয়ক পরিচালক, ইউনিলিভার বাংলাদেশ
চারপাশে যেন চাপা উৎকণ্ঠা ক্রমেই তীব্র হয়ে উঠছে। দীর্ঘমেয়াদি এই নিঃসঙ্গতা ও বিষাদ আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য কতটা সংকটাপন্ন করে তুলছে তাও পুরোপুরিভাবে পরিমাপ করা সম্ভব নয়। দেখা যাচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে 'মিলেনিয়াম জেনারেশন' বা ১৮ থেকে ২৪ বছরের তরুণ-তরুণীরা মানসিকভাবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাই সময় এসেছে, এদেশের কর্মজীবীদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়ার। ইউনিলিভারে আমরা অনুধাবন করেছি যে, পারস্পরিক সহমর্মিতা ও আস্থা সৃষ্টির মাধ্যমে অনিশ্চয়তা ও ক্ষত থেকে জয়ের সংস্কৃতি গড়ে তোলার এখনই সময়। তাই মহামারির সময়ে প্রতিষ্ঠানের সব সদস্যের জীবন-জীবিকা রক্ষায় নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি আমরা। এতে করে মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ থেকে সুরক্ষা সহজ হয়েছে।
আমরা সবসময় বিশ্বাস করি, কর্মীদের প্রতি যত্নশীল হলে তারাও যত্নের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিয়ে যায়। বাংলাদেশে করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই আমাদের কার্যক্রমের প্রতিটি পর্যায়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষামূলক অবকাঠামো তৈরি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কাজ যত্নের সঙ্গে সম্পন্ন করা হয়েছে। দ্রুততার সঙ্গেই ইউনিলিভার বাংলাদেশে বাইপ্যাপ মেশিন, করোনা টেস্টিং কিট, হাই নজেল ক্যানোলা নিয়ে এসেছে। এগুলো একদিকে কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ব্যবহূত হয়েছে, অন্যদিকে করোনা চিকিৎসা প্রদানকারী বিভিন্ন হাসপাতালেও বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে। কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আমরা হোম টেস্টিং, হোম নার্সিংসহ ২৪/৭ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সেবা প্রদান নিশ্চিত করেছি।
আমাদের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পরোক্ষভাবে জড়িত ২০ হাজার কর্মীও এই সুরক্ষা বেষ্টনীর মধ্যে এসেছেন। মহামারিকালের প্রতিটি দিন আমরা শুরু করেছি কর্মীদের স্বাস্থ্যের খোঁজ দিয়ে। যার যেমন সহযোগিতা প্রয়োজন, সেভাবে পৌঁছে দিতে পেরেছি। কেবল শারীরিক স্বাস্থ্য দেখভাল নয়; কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্য জোরালো রাখার জন্যও অভিজ্ঞ একদল মনোরোগ বিশেষজ্ঞ কাজ করে যাচ্ছেন। মহামারির শুরুতে যখন নির্দিষ্ট চিকিৎসা পদ্ধতি জানা ছিল না, তখন থেকেই সাবান ছিল করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর হাতিয়ার। সাবান ও হান্ড স্যানিটাইজার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রথম থেকেই আমাদের চেষ্টা ছিল অতিপ্রয়োজনীয় এ পণ্যের জোগান নিশ্চিত রাখা। কাজটি মোটেই সহজ ছিল না। তারপরও আমাদের কারখানা ও মাঠ পর্যায়ে সামনের সারির কর্মীদের দৃঢ় প্রত্যয় ও অসীম মনোবলেই অসম্ভব কাজটি সম্ভব হয়েছে। সুরক্ষিত কর্মপরিবেশ, পুষ্টিকর খাবার, যথাযথ বিশ্রাম ও মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি নজরদারি তাদের অনুপ্রাণিত করেছে।
করোনা মহামারি আমাদের নিত্যদিনের স্বাভাবিক নিয়ম-নীতি অনেকখানিই ভেঙে দিয়েছে। কাজের নতুন পদ্ধতি আয়ত্তে আনার জন্য প্রযুক্তি কাঠামো যতটা, তার চেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল কাজের নতুন পদ্ধতি আত্মস্থ করার মানসিক প্রস্তুতি। এ বিষয়ে ইউনিলিভারের পূর্ব অভিজ্ঞতা ও নতুন পদ্ধতিতে কাজ করার প্রস্তুতি আমাদের জন্য বিষয়টি সহজ করেছে। মহামারির কারণে একদিকে অনেক ধরনের দক্ষতার প্রয়োজন যেমন বেড়ে গেছে, তেমনি কিছু কাজের চাহিদা কমেও গেছে। ইউনিলিভারের বৈশ্বিক 'টুল-ফ্লেক্স' দিয়ে বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে যে কেউ তার বিশেষ দক্ষতা কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করতে পারছে। আমাদের কর্মীরাও এই সুবিধা পাচ্ছেন।
কর্মক্ষেত্র বাড়ির মতোই ভালোবাসার জায়গা। গত বছরের মার্চ মাসে হঠাৎ সেই জীবনের ছন্দপতনে আমরা বাসস্থানকেই কর্মস্থানে পরিণত করতে বাধ্য হলাম। বুঝতে পারলাম, ভার্চুয়াল জগৎই এখন বেশি উপযোগী। আমরা আরও আবিস্কার করলাম, কঠিন সময়ে নতুন নতুন বিষয়ে শেখার সুযোগ তৈরি হয়েছে। সেগুলো আমাদের ঘরবন্দি জীবনের একঘেয়েমি কাটিয়ে নতুন করে আশাবাদী করে তুলছে। তাই বিশ্বব্যাপী ইউনিলিভার চালু করে 'লার্নিং উইকএন্ড প্রোগ্রাম'। বাংলাদেশের কর্মীরা সবচেয়ে বেশি ঘণ্টা শিখন কাজে ব্যবহার করে বিশ্বে এক নম্বর দেশ হিসেবে ইউনিলিভারে স্বীকৃতি পেয়েছেন।
মহামারির মধ্যে আমরা কর্মীদের সঙ্গে যত যোগাযোগ করছিলাম, ততই বুঝতে পারছিলাম তাদের মানসিক স্বাস্থ্য গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমাদের প্রত্যেক কর্মী যেন একটি খুদেবার্তা বা ফোনকল বা ক্লিকেই আমাদের কাছে পৌঁছাতে পারেন, সেজন্য '২৪/৭ এমপ্লয় অ্যাসিস্ট্যান্স' প্রোগ্রাম চালু হয়। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে কর্মীরা যেকোনো সময়ে তাদের আশঙ্কা বা মানসিক চাপ জানানো বা আলোচনার সুযোগ পেয়েছেন। যদিও এই মনোরোগ বিষয়ক হেল্পলাইন আগেও ছিল; মহামারিতে এর ব্যবহার প্রায় ১০৬ শতাংশ বেড়েছে। কর্মীদের মাঝে আমরা 'মানসিক স্বাস্থ্য চ্যাম্পিয়ন' তৈরি করেছি, যারা যেকোনো বিষয়ে নিরপেক্ষ শুনানিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং কঠিন সময়ে সহকর্মীদের মানসিক সহযোগিতা প্রদানে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
বৈশ্বিক এই মহামারি বিলীন কবে হবে এবং কবে আমরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারব, তা কেউই বলতে পারছেন না। আমরাও মনেপ্রাণে চাই- আমাদের কর্মীরা শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকুন। সেজন্য আমাদের দায়িত্বও অনেক। গবেষণায় দেখা গেছে, সহমর্মিতার সঙ্গে নেতৃত্ব তিন গুণ বেশি প্রভাবিত করে যেকোনো কর্মী দল ও তাদের কর্মক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয়। তাই আমরা আমাদের ব্যবস্থাপকদের প্রশিক্ষিত ও উদ্বুদ্ধ করছি, যাতে তারা সহমর্মিতা, সংবেদনশীলতা ও অকৃত্রিম যত্নের সঙ্গে নেতৃত্ব প্রদান করেন। মহামারির দিনে আমাদের সবচেয়ে বড় শিক্ষা হলো- সামাজিক দূরত্বের এই যুদ্ধে জয়ী হতে হলে প্রয়োজন গভীর ও অর্থবহ সামাজিক যোগসূত্র। এটি নিশ্চিত করার জন্যই এখন প্রয়োজন মানবিক নেতৃত্বের।
মানবসম্পদ বিষয়ক পরিচালক, ইউনিলিভার বাংলাদেশ
- বিষয় :
- মানবসম্পদ