গুরুত্ব দিন পর্যটন খাতে
মাহমুদুল হাসান মিল্টন
প্রকাশ: ১২ মে ২০২২ | ১২:০০
এক সময় শ্রীলঙ্কাকে বলা হতো দক্ষিণ এশিয়ার রোল মডেল। শিক্ষা-দীক্ষা ও জিডিপিতে দেশটি ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছিল। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে শ্রীলঙ্কা পৃথিবীর ব্যর্থ রাষ্ট্রের একটি। ২৭ এপ্রিল সমকালের সম্পাদকীয় পাতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক, অর্থনীতিবিদ ড. মাহবুব উল্লাহর 'বাংলাদেশের জন্য শ্রীলঙ্কার অভিজ্ঞতা' শিরোনামে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। লেখক শ্রীলঙ্কার পতনের নানা দিক নিয়ে আলোকপাতের এক পর্যায়ে করোনার কারণে পর্যটন খাত ধসের কথা গুরুত্বসহকারে তুলে ধরেছেন। করোনার সময় লকডাউন বা বিধিনিষেধ থাকায় আমাদের দেশেও পর্যটন খাত বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছে। সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে যত্নশীল হতে হবে।
বৃহৎ এ বদ্বীপ বাংলাদেশ পুরোটাই সৌন্দর্যের এক অপার ক্ষেত্র। যেখানেই চোখ মেলে তাকাই, সেখানেই সবুজ-শ্যামল চোখ জুড়ানো দিগন্তে যেন হারিয়ে যাই। এ দেশের মানুষের মতো অন্যান্য দেশের মানুষেরও অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান বাংলাদেশ। এ দেশে ঘুরে বেড়ানোর মতো জায়গার অভাব নেই। তাই সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশ লিখেছেন, 'বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাই না আর।' এই সৌন্দর্যের টানে এমন সব জায়গায় দেখা মেলে হরেক রকম মানুষের, যারা ঘুরতে ভালোবাসেন। অজানা-অচেনা কিছু আবিস্কারে ব্যাকুল হয়ে পড়েন। পর্যটন এখন যে কোনো দেশের প্রধান আকর্ষণীয় খাত। বিভিন্ন দেশের ভ্রমণপিপাসু মানুষ এসে ভিড় জমায় এসব স্থানে এবং দেশের আয়ের পথ খুলে যায়।
বাংলাদেশে পোশাক, চা বা পাট শিল্পের মতোই পর্যটন একটি শিল্প হিসেবে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত হতে পারে। কিন্তু এখানে নিরাপত্তাজনিত সমস্যা বড় প্রতিবন্ধক। নিকট অতীতে স্বামী-সন্তানসহ কক্সবাজারে বেড়াতে এসে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনাই প্রমাণ করে আমাদের অবস্থা। কিছুদিন আগে সিলেটের জাফলংয়ে স্বেচ্ছাসেবক কর্তৃক পর্যটকদের প্রহার আরও ন্যক্কারজনক। হোটেল-রিসোর্টগুলোতেও নিশ্চিত করতে হবে নিরাপত্তা। নিরাপত্তা ব্যবস্থায় উন্নত দেশগুলো এগিয়ে থাকায় তারা পর্যটনেও শীর্ষে। স্পেন, ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, কানাডা ও সুইজারল্যান্ড- এই দেশগুলো যেমন নিরাপত্তা ব্যবস্থায় জোর দিয়েছে, তেমনি পরিকল্পনামাফিক এগিয়ে নিয়েছে পর্যটন শিল্পকে।
পর্যটন খাত বিকশিত হলে হাজারো মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত হবে। উন্নত সেবা দিতে পারলে বিশ্ববাসীর নজরে আসবে বাংলাদেশ।
মনোনিবেশ করতে হবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিতকরণেও। কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ঘাটতি রয়েছে। সমুদ্রসৈকত নোংরা থাকে এবং গবাদি পশুর চারণভূমিও হতে দেখা গেছে, যা এ শিল্পের জন্য ক্ষতিকর। এসবের নিরাপত্তা যেমন জোরদার করতে হবে, তেমনি রক্ষা করতে হবে সুন্দর পরিবেশ। যেখানে সেখানে বর্জ্য ফেললে ক্ষতি হবে জীববৈচিত্র্যের। দেশীয় পর্যটকদের সচেতনতা বাড়াতে কাজ করতে হবে। সময়োপযোগী বিশ্নেষণের মাধ্যমে পর্যটনের ব্যাপারে আমাদের সজাগ করে দেওয়ার জন্য ড. মাহবুব উল্লাহকে ধন্যবাদ।
শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
বৃহৎ এ বদ্বীপ বাংলাদেশ পুরোটাই সৌন্দর্যের এক অপার ক্ষেত্র। যেখানেই চোখ মেলে তাকাই, সেখানেই সবুজ-শ্যামল চোখ জুড়ানো দিগন্তে যেন হারিয়ে যাই। এ দেশের মানুষের মতো অন্যান্য দেশের মানুষেরও অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান বাংলাদেশ। এ দেশে ঘুরে বেড়ানোর মতো জায়গার অভাব নেই। তাই সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশ লিখেছেন, 'বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাই না আর।' এই সৌন্দর্যের টানে এমন সব জায়গায় দেখা মেলে হরেক রকম মানুষের, যারা ঘুরতে ভালোবাসেন। অজানা-অচেনা কিছু আবিস্কারে ব্যাকুল হয়ে পড়েন। পর্যটন এখন যে কোনো দেশের প্রধান আকর্ষণীয় খাত। বিভিন্ন দেশের ভ্রমণপিপাসু মানুষ এসে ভিড় জমায় এসব স্থানে এবং দেশের আয়ের পথ খুলে যায়।
বাংলাদেশে পোশাক, চা বা পাট শিল্পের মতোই পর্যটন একটি শিল্প হিসেবে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত হতে পারে। কিন্তু এখানে নিরাপত্তাজনিত সমস্যা বড় প্রতিবন্ধক। নিকট অতীতে স্বামী-সন্তানসহ কক্সবাজারে বেড়াতে এসে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনাই প্রমাণ করে আমাদের অবস্থা। কিছুদিন আগে সিলেটের জাফলংয়ে স্বেচ্ছাসেবক কর্তৃক পর্যটকদের প্রহার আরও ন্যক্কারজনক। হোটেল-রিসোর্টগুলোতেও নিশ্চিত করতে হবে নিরাপত্তা। নিরাপত্তা ব্যবস্থায় উন্নত দেশগুলো এগিয়ে থাকায় তারা পর্যটনেও শীর্ষে। স্পেন, ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, কানাডা ও সুইজারল্যান্ড- এই দেশগুলো যেমন নিরাপত্তা ব্যবস্থায় জোর দিয়েছে, তেমনি পরিকল্পনামাফিক এগিয়ে নিয়েছে পর্যটন শিল্পকে।
পর্যটন খাত বিকশিত হলে হাজারো মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত হবে। উন্নত সেবা দিতে পারলে বিশ্ববাসীর নজরে আসবে বাংলাদেশ।
মনোনিবেশ করতে হবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিতকরণেও। কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ঘাটতি রয়েছে। সমুদ্রসৈকত নোংরা থাকে এবং গবাদি পশুর চারণভূমিও হতে দেখা গেছে, যা এ শিল্পের জন্য ক্ষতিকর। এসবের নিরাপত্তা যেমন জোরদার করতে হবে, তেমনি রক্ষা করতে হবে সুন্দর পরিবেশ। যেখানে সেখানে বর্জ্য ফেললে ক্ষতি হবে জীববৈচিত্র্যের। দেশীয় পর্যটকদের সচেতনতা বাড়াতে কাজ করতে হবে। সময়োপযোগী বিশ্নেষণের মাধ্যমে পর্যটনের ব্যাপারে আমাদের সজাগ করে দেওয়ার জন্য ড. মাহবুব উল্লাহকে ধন্যবাদ।
শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
- বিষয় :
- পর্যটন খাত
- মাহমুদুল হাসান মিল্টন