সংক্ষিপ্ত ডিপিএড কোর্স অযৌক্তিক
ব্রায়ান লারা। ছবি: ফাইল
রবিউল ইসলাম
প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২২ | ১২:০০
সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উদ্যোগে ডিপিএড কারিকুলাম পরিমার্জনের মাধ্যমে এ কোর্সকে সংক্ষিপ্ত করে মৌলিক প্রশিক্ষণ হিসেবে (৪-৬ মাস মেয়াদি) পরিচালনা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ কারিকুলাম পরিমার্জন কমিটিতে বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক-কর্মকর্তাকে রাখা হলেও দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথিতযশা শিক্ষক ও শিক্ষাবিদকে রাখা হয়নি।
আমাদের দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালায় প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক নিয়োগে যোগ্যতায় শিক্ষাবিষয়ক ডিগ্রি বাধ্যতামূলক নয়। ফলে নবনিযুক্ত শিক্ষক প্রায় ৯৯ শতাংশেরই শিক্ষাবিষয়ক ডিগ্রি থাকে না। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের শিক্ষাদানের মতো একটি টেকনিক্যাল, জটিল ও কঠিন কাজ সুচারুরূপে সম্পাদনে এ বিষয়ে গভীর জ্ঞান ও অনুশীলন প্রয়োজন। এ জন্য বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের পরপরই ডিপিএড/সিইনএড কোর্স করার সুযোগ প্রদান করা হয়, যার মাধ্যমে নবীন শিক্ষকরা শিক্ষক মান অর্জনের মাধ্যমে দক্ষ শিক্ষক হিসেবে গড়ে ওঠেন। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, পৃথিবীর অনেক দেশে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে শিক্ষাবিষয়ক পেশাগত ডিগ্রি অর্জন করতে হয়। যেহেতু আমাদের দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেতে শিক্ষাবিষয়ক ডিগ্রি বাধ্যতামূলক নয়; সেহেতু বাংলাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য বিভিন্ন নামে দীর্ঘমেয়াদি ইন সার্ভিস প্রশিক্ষণ প্রচলিত।
পেশাগত শিক্ষাবিহীন (শিক্ষাবিষয়ক ডিগ্রি) প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের স্বল্পমেয়াদি মৌলিক প্রশিক্ষণ প্রদান করে তাঁদের দিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম করানো হলে মানসম্মত শিক্ষার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা থেকে যায়। এ ধরনের মৌলিক পরিবর্তন জাতীয় শিক্ষানীতির আলোকে হওয়া প্রয়োজন এবং আগে এ ধরনের পরিবর্তন জাতীয় শিক্ষানীতির আলোকেই হয়েছে। কৌশল-৪ :'প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য প্রচলিত প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষা কার্যক্রম সি-ইন-এড পরিবর্তন করে নতুন কার্যক্রম প্রবর্তন করা হবে। এ কার্যক্রমের মেয়াদ এক বছর থেকে বাড়িয়ে ১৮ মাস করা হবে। নতুন কার্যক্রমে শিখন-শেখানো ও মূল্যায়নের আধুনিক কলাকৌশল সংযোজন করা হবে। ইন্টার্নশিপ ব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে ব্যবহারিক পাঠদানের মেয়াদ দুই পর্যায়ে কমপক্ষে ৯ মাস করা হবে।' (পৃষ্ঠা ৫৭)। এর ভিত্তিতে বর্তমানে পিটিআইতে ১৮ মাস মেয়াদি ডিপিএড কোর্স চালু করা হয়েছে। ফলে সে অনুযায়ী ১৮ মাস মেয়াদি ডিপিএড কোর্স চালু রাখার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ ছাড়া স্বাধীনতাপরবর্তী শিক্ষা কমিশন/জাতীয় শিক্ষানীতি রিপোর্টগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, সেসব রিপোর্টে শিক্ষক শিক্ষা/প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিয়ে পিটিআইগুলোকে কলেজে রূপান্তর করে কোর্সের মেয়াদ বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষকদের ডিপিএড কোর্স সংক্ষিপ্তকরণ অযৌক্তিক। তা বাস্তবায়ন করলে প্রাথমিক শিক্ষার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
ঢাকা
আমাদের দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালায় প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক নিয়োগে যোগ্যতায় শিক্ষাবিষয়ক ডিগ্রি বাধ্যতামূলক নয়। ফলে নবনিযুক্ত শিক্ষক প্রায় ৯৯ শতাংশেরই শিক্ষাবিষয়ক ডিগ্রি থাকে না। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের শিক্ষাদানের মতো একটি টেকনিক্যাল, জটিল ও কঠিন কাজ সুচারুরূপে সম্পাদনে এ বিষয়ে গভীর জ্ঞান ও অনুশীলন প্রয়োজন। এ জন্য বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের পরপরই ডিপিএড/সিইনএড কোর্স করার সুযোগ প্রদান করা হয়, যার মাধ্যমে নবীন শিক্ষকরা শিক্ষক মান অর্জনের মাধ্যমে দক্ষ শিক্ষক হিসেবে গড়ে ওঠেন। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, পৃথিবীর অনেক দেশে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে শিক্ষাবিষয়ক পেশাগত ডিগ্রি অর্জন করতে হয়। যেহেতু আমাদের দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেতে শিক্ষাবিষয়ক ডিগ্রি বাধ্যতামূলক নয়; সেহেতু বাংলাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য বিভিন্ন নামে দীর্ঘমেয়াদি ইন সার্ভিস প্রশিক্ষণ প্রচলিত।
পেশাগত শিক্ষাবিহীন (শিক্ষাবিষয়ক ডিগ্রি) প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের স্বল্পমেয়াদি মৌলিক প্রশিক্ষণ প্রদান করে তাঁদের দিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম করানো হলে মানসম্মত শিক্ষার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা থেকে যায়। এ ধরনের মৌলিক পরিবর্তন জাতীয় শিক্ষানীতির আলোকে হওয়া প্রয়োজন এবং আগে এ ধরনের পরিবর্তন জাতীয় শিক্ষানীতির আলোকেই হয়েছে। কৌশল-৪ :'প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য প্রচলিত প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষা কার্যক্রম সি-ইন-এড পরিবর্তন করে নতুন কার্যক্রম প্রবর্তন করা হবে। এ কার্যক্রমের মেয়াদ এক বছর থেকে বাড়িয়ে ১৮ মাস করা হবে। নতুন কার্যক্রমে শিখন-শেখানো ও মূল্যায়নের আধুনিক কলাকৌশল সংযোজন করা হবে। ইন্টার্নশিপ ব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে ব্যবহারিক পাঠদানের মেয়াদ দুই পর্যায়ে কমপক্ষে ৯ মাস করা হবে।' (পৃষ্ঠা ৫৭)। এর ভিত্তিতে বর্তমানে পিটিআইতে ১৮ মাস মেয়াদি ডিপিএড কোর্স চালু করা হয়েছে। ফলে সে অনুযায়ী ১৮ মাস মেয়াদি ডিপিএড কোর্স চালু রাখার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ ছাড়া স্বাধীনতাপরবর্তী শিক্ষা কমিশন/জাতীয় শিক্ষানীতি রিপোর্টগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, সেসব রিপোর্টে শিক্ষক শিক্ষা/প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিয়ে পিটিআইগুলোকে কলেজে রূপান্তর করে কোর্সের মেয়াদ বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষকদের ডিপিএড কোর্স সংক্ষিপ্তকরণ অযৌক্তিক। তা বাস্তবায়ন করলে প্রাথমিক শিক্ষার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
ঢাকা
- বিষয় :
- ডিপিএড কোর্স