বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তির সুযোগ দিন

আবু মো. ফজলে রোহান
প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০২২ | ১২:০০
'শিক্ষার কোনো বয়স নাই, চলো সবাই পড়তে যাই'- স্লোগানটি শুনতে শুনতেই বড় হয়েছি। কিন্তু এখনকার বাস্তবতায় মনে হচ্ছে, স্লোগানটি সবাই ঠিকভাবে উপলব্ধি করছে না। এইচএসসি পাসের পর শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা। সব মিলিয়ে মাত্র দুই থেকে আড়াই লাখ শিক্ষার্থীর স্থান হয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে। বাকিদের চলে যেতে হয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা পাড়ি জমাতে হয় প্রবাসে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় মোট শিক্ষার্থীর এত কম অংশ সুযোগ পেলেও একবারের বেশি দু'বার বসতে পারছেন না ভর্তি পরীক্ষায়। ভর্তি পরীক্ষাকে বলা হয় ভর্তিযুদ্ধ। যুদ্ধে একবার পরাজিত হলে আবার অংশগ্রহণের সুযোগ থাকলেও ভর্তিযুদ্ধে একবারই অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। তাঁদের আবেগ এবং স্বপ্নের জায়গা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন একবারই সুযোগ
পেতে হবেৎ এর বেশি কেন নয়? এমন প্রশ্নের জবাবে দেওয়া হচ্ছে বৈষম্যের অজুহাত! বলা হচ্ছে, একজন শিক্ষার্থী যদি দ্বিতীয় বার সুযোগ পান, তাহলে যাঁরা প্রথম বার পরীক্ষা দিচ্ছেন, তাঁদের সঙ্গে সমন্বয় হয় না। কারণ দ্বিতীয় বার অবতীর্ণদের দীর্ঘ সময়ের প্রস্তুতি থাকে, যা প্রথমদের ক্ষেত্রে হয় না। এমন যুক্তি বিবেচনায় দেশের সর্বক্ষেত্রেই কি তাহলে অসামঞ্জস্য রয়েছে?
গ্রামীণ জনপদে শিক্ষা উপকরণ বা শিক্ষক সংকট রয়েছে এবং সর্বোপরি শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ-সুবিধা শহরাঞ্চলের তুলনায় খুব কম। শহরের একজন শিক্ষার্থী নিজেকে প্রস্তুত করার যে সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন; গ্রামের একজন শিক্ষার্থী তার ধারেকাছেও যেতে পারেন না। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রে উভয়েরই এক রকম প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। এতে কি বৈষম্য হচ্ছে না?
কিছুদিন আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় ১৯ নম্বর পেয়ে ফেল করেও পোষ্য কোটায় ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন বেশ কিছু শিক্ষার্থী,যেখানে পাস নম্বর ৪০ পেয়েও বহু শিক্ষার্থীর সুযোগ হয়নি। ৮০ নম্বর পেয়ে আইনে অধ্যয়নে যেখানে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়, সেখানে বিভিন্ন কোটায় ৪৮ নম্বর পেয়েও আইনে অধ্যয়নের সুযোগ পান। এতে কি বৈষম্য হচ্ছে না? বিসিএস যদিও চাকরির পরীক্ষা; এখানে ৩০ বছর পর্যন্ত একজন প্রার্থী যতবার ইচ্ছা অংশগ্রহণ করতে পারেন। তার মানে, কেউ প্রথমবার দিচ্ছেন, তাঁদের সঙ্গে এমনও প্রার্থী আছেন, যাঁরা চতুর্থ কিংবা পঞ্চমবারের মতো পরীক্ষা দিচ্ছেন। তাই অন্তত দু'বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যথাযথ পদক্ষেপ নেবে বলে আশাবাদী শিক্ষার্থীরা।
চৌদ্দগ্রাম, কুমিল্লা
পেতে হবেৎ এর বেশি কেন নয়? এমন প্রশ্নের জবাবে দেওয়া হচ্ছে বৈষম্যের অজুহাত! বলা হচ্ছে, একজন শিক্ষার্থী যদি দ্বিতীয় বার সুযোগ পান, তাহলে যাঁরা প্রথম বার পরীক্ষা দিচ্ছেন, তাঁদের সঙ্গে সমন্বয় হয় না। কারণ দ্বিতীয় বার অবতীর্ণদের দীর্ঘ সময়ের প্রস্তুতি থাকে, যা প্রথমদের ক্ষেত্রে হয় না। এমন যুক্তি বিবেচনায় দেশের সর্বক্ষেত্রেই কি তাহলে অসামঞ্জস্য রয়েছে?
গ্রামীণ জনপদে শিক্ষা উপকরণ বা শিক্ষক সংকট রয়েছে এবং সর্বোপরি শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ-সুবিধা শহরাঞ্চলের তুলনায় খুব কম। শহরের একজন শিক্ষার্থী নিজেকে প্রস্তুত করার যে সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন; গ্রামের একজন শিক্ষার্থী তার ধারেকাছেও যেতে পারেন না। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রে উভয়েরই এক রকম প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। এতে কি বৈষম্য হচ্ছে না?
কিছুদিন আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় ১৯ নম্বর পেয়ে ফেল করেও পোষ্য কোটায় ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন বেশ কিছু শিক্ষার্থী,যেখানে পাস নম্বর ৪০ পেয়েও বহু শিক্ষার্থীর সুযোগ হয়নি। ৮০ নম্বর পেয়ে আইনে অধ্যয়নে যেখানে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়, সেখানে বিভিন্ন কোটায় ৪৮ নম্বর পেয়েও আইনে অধ্যয়নের সুযোগ পান। এতে কি বৈষম্য হচ্ছে না? বিসিএস যদিও চাকরির পরীক্ষা; এখানে ৩০ বছর পর্যন্ত একজন প্রার্থী যতবার ইচ্ছা অংশগ্রহণ করতে পারেন। তার মানে, কেউ প্রথমবার দিচ্ছেন, তাঁদের সঙ্গে এমনও প্রার্থী আছেন, যাঁরা চতুর্থ কিংবা পঞ্চমবারের মতো পরীক্ষা দিচ্ছেন। তাই অন্তত দু'বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যথাযথ পদক্ষেপ নেবে বলে আশাবাদী শিক্ষার্থীরা।
চৌদ্দগ্রাম, কুমিল্লা
- বিষয় :
- বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি