প্রতিবন্ধীদের পাশে দাঁড়ানো জরুরি

মুনতাসির আজিজ
প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২২ | ১২:০০
নোয়াখালী সদর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের জালিয়াল গ্রামের চৌধুরীরহাটে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী কার্তিক গ্যাস সিলিন্ডার মাথায় নিয়ে বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দেন। এতে তিনি সিলিন্ডাপ্রতি ১০ টাকা পান।
কার্তিক ২০ কেজি ওজনের বস্তাও বহন করতে পারেন। দোকানের আটা-ময়দা, চা পাতা-চিনি-দুধ আশপাশের কাস্টমারের বাড়িতে পৌঁছে দেন। বিকেলে চা দোকানে তৈরি ছোলা-বুট, পেঁয়াজু মানুষের বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে টাকা নিয়ে আসেন। কার্তিক চোখে না দেখলেও টাকা চিনতে পারেন। তিনি সুপারি ও নারকেল গাছেও উঠতে পারেন। সুপারি সংগ্রহ করে হাটবারে বিক্রির জন্য বাজারের আশপাশের লোকজন তাঁকে সবসময় ডেকে থাকেন।
চৌধুরীরহাট থেকে ৫ মিনিট হেঁটে পৌঁছলাম কুমারবাড়ি। দেখা হলো কার্তিকের বাবা নিমাই চন্দ্র পালের (৭০) সঙ্গে। তিনি জানান, তাঁর তিন ছেলে, এক মেয়ে। দুই ছেলে জন্মান্ধ। বড় ছেলে একটি সরকারি অফিসে মাস্টাররোলে কাজ করেন। শ্বশুরবাড়ি থেকে পাওয়া দুই শতক জায়গার ওপর টিনের ঘরে বড় ছেলের বউ-বাচ্চাসহ থাকেন সাতজন। নিমাই এক সময় সোনাপুর বাজারে ঝাড়ূদারের কাজ করতেন। স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার পর কর্মহীন হয়ে বাড়িতে শুয়ে-বসে থাকেন। এসএসসি পাস করা বড় ছেলে পরেশ চন্দ্র পাল সাত সদস্যের পরিবারকে দুঃখ-কষ্টের মধ্য দিয়ে আগলে রেখেছেন। দুই ছেলে দৃষ্টিহীন হওয়ায় প্রতিবন্ধী ভাতা পান মাসে ৭৫০ টাকা করে দেড় হাজার টাকা। ঈদের সময় আশপাশের সচ্ছল ব্যক্তিরা সহযোগিতা করেন। জানা গেছে, জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে সরকারি সহযোগিতা পায় না কার্তিকের পরিবার। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে কর্মক্ষম শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য একটি প্লাস্টিকের কারখানা হচ্ছে 'মৈত্রী শিল্প' নামে। বাড়ি থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে কারখানাতে কার্তিকের কাজ করার ইচ্ছে আছে বলে তিনি জানান। এ ধরনের কর্মক্ষম মানুষকে দেখে শুধু চোখের জল না ফেলে তাঁদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে সহযোগিতা করা উচিত।
নোয়াখালী
কার্তিক ২০ কেজি ওজনের বস্তাও বহন করতে পারেন। দোকানের আটা-ময়দা, চা পাতা-চিনি-দুধ আশপাশের কাস্টমারের বাড়িতে পৌঁছে দেন। বিকেলে চা দোকানে তৈরি ছোলা-বুট, পেঁয়াজু মানুষের বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে টাকা নিয়ে আসেন। কার্তিক চোখে না দেখলেও টাকা চিনতে পারেন। তিনি সুপারি ও নারকেল গাছেও উঠতে পারেন। সুপারি সংগ্রহ করে হাটবারে বিক্রির জন্য বাজারের আশপাশের লোকজন তাঁকে সবসময় ডেকে থাকেন।
চৌধুরীরহাট থেকে ৫ মিনিট হেঁটে পৌঁছলাম কুমারবাড়ি। দেখা হলো কার্তিকের বাবা নিমাই চন্দ্র পালের (৭০) সঙ্গে। তিনি জানান, তাঁর তিন ছেলে, এক মেয়ে। দুই ছেলে জন্মান্ধ। বড় ছেলে একটি সরকারি অফিসে মাস্টাররোলে কাজ করেন। শ্বশুরবাড়ি থেকে পাওয়া দুই শতক জায়গার ওপর টিনের ঘরে বড় ছেলের বউ-বাচ্চাসহ থাকেন সাতজন। নিমাই এক সময় সোনাপুর বাজারে ঝাড়ূদারের কাজ করতেন। স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার পর কর্মহীন হয়ে বাড়িতে শুয়ে-বসে থাকেন। এসএসসি পাস করা বড় ছেলে পরেশ চন্দ্র পাল সাত সদস্যের পরিবারকে দুঃখ-কষ্টের মধ্য দিয়ে আগলে রেখেছেন। দুই ছেলে দৃষ্টিহীন হওয়ায় প্রতিবন্ধী ভাতা পান মাসে ৭৫০ টাকা করে দেড় হাজার টাকা। ঈদের সময় আশপাশের সচ্ছল ব্যক্তিরা সহযোগিতা করেন। জানা গেছে, জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে সরকারি সহযোগিতা পায় না কার্তিকের পরিবার। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে কর্মক্ষম শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য একটি প্লাস্টিকের কারখানা হচ্ছে 'মৈত্রী শিল্প' নামে। বাড়ি থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে কারখানাতে কার্তিকের কাজ করার ইচ্ছে আছে বলে তিনি জানান। এ ধরনের কর্মক্ষম মানুষকে দেখে শুধু চোখের জল না ফেলে তাঁদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে সহযোগিতা করা উচিত।
নোয়াখালী
- বিষয় :
- প্রতিবন্ধী