ছিনতাইকারীর দৌরাত্ম্য বন্ধ করুন

তিলক বড়ূয়া
প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১৮:০০ | আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১৯:১৬
বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ইদানীং ছিনতাই বেড়েছে। প্রায় প্রতিদিনই শুনতে পাই কারও না কারও মোবাইল ফোন কিংবা মানিব্যাগ ছিনতাইয়ের খবর। গত এক মাসের মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক শিক্ষার্থীর স্মার্টফোন ও পেছনের পকেট কেটে কৌশলে মানিব্যাগ চুরি করেছে ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা। লাগামহীনভাবে বেড়েই চলেছে মোবাইল ফোন-মানিব্যাগ চুরির ঘটনা। বিশেষ করে নগরীর ২ নম্বর গেট, জিইসি, অক্সিজেন মোড়, নিউমার্কেটসহ বিভিন্ন ব্যস্ত মোড়ে ছিনতাইয়ের ঘটনা বেশি ঘটছে।
কখনও কখনও দিনদুপুরে হত্যার ভয় দেখিয়েও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। এতে সাধারণ মানুষ বিপাকে পড়েছে। ছিনতাইকারীদের আইনের আওতায় আনতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন। যথাযথ মনিটরিংয়ের মাধ্যমে এসব ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যকে দ্রুত আটক করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ অতীব জরুরি। অন্যথায় তাদের দৌরাত্ম্য দিন দিন বাড়তেই থাকবে।
দেশকে অপরাধমুক্ত করার জন্য সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি এলিট ফোর্স র্যাব কাজ করছে। পোশাকধারী সদস্যদের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সাদা পোশাকে কাজ করছে। এর পরও ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য বেড়ে যাওয়া আমাদের জন্য উদ্বেগের। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আশকারা পেয়ে আরও ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে। তাই আর সময়ক্ষেপণ না করে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। শুধু ছিনতাইকারী ধরলে হবে না; তাদের হোতাদের গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। কারণ যাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে তারা অপরাধপ্রবণ হচ্ছে, তাদের আইনের বাইরে রেখে পুরোপুরি ছিনতাই নির্মূল করা যাবে না। যদি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্য এর পেছনে থাকে, তাকেও ছাড় দেওয়া যাবে না। ব্যক্তির অপরাধের কারণে বাহিনীর বদনাম হতে পারে না। আর এসব ছিনতাইকারী যদি রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকে, সেসব হোতাকেও ধরতে হবে।
শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
- বিষয় :
- তিলক বড়ূয়া