ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

নন­-ক্যাডার নিয়োগের জট খুলুক

নন­-ক্যাডার নিয়োগের জট খুলুক

সম্পাদকীয়

প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২৩ | ১৮:০০ | আপডেট: ২১ আগস্ট ২০২৩ | ০৬:১২

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস বিসিএসের নন-ক্যাডার পদে আট সহস্র প্রার্থীর নিয়োগ পাঁচ বৎসর অনিষ্পন্ন থাকা শুধু অনাকাঙ্ক্ষিতই নহে, বিস্ময়করও বটে।

৪০তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় ২০১৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর এবং প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় যথাক্রমে ২০১৯ সালের ৩ মে এবং ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি। করোনাজনিত বিলম্ব শেষে চূড়ান্ত ফল ঘোষিত হয় গত বৎসরের ৩০ মার্চ। অথচ অদ্যাবধি উক্ত বিসিএসে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের সুপারিশ হয় নাই। প্রথমে নিয়োগবিধির দোহাই দেওয়া হইল। কিন্তু নিয়োগবিধি প্রণয়নের পর পিএসসি বা পাবলিক সার্ভিস কমিশন যখন সুপারিশ করিতে গেল, তখন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর-এলজিইডি উহার আওতাধীন ১৫৬ জন সহকারী প্রকৌশলীর নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করিতে বলে।

স্বাভাবিকভাবেই সংশ্লিষ্ট চাকুরিপ্রত্যাশীরা এলজিইডির এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যান এবং আদালত তাহাদের পক্ষে রায় দেন। কিন্তু এলজিইডি আপিল বিভাগে ইহার বিরুদ্ধে আপিল করিলে পিএসসি পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়াই লাল ফিতায় বাঁধিয়া দেয়।

ক্রমবর্ধমান শিক্ষিত বেকারের দেশে চাকুরি নামক সোনার হরিণ ধরিতে একজন প্রার্থীকে কতটা গলদঘর্ম হইতে হয়, উহা সর্বমহলই জ্ঞাত। সকল পরীক্ষায় উতরাইবার পরও নিছক আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় চাকুরিটা কাহারও অধরা থাকিলে কষ্টের সীমা থাকে না। এই কারণেই বিষয়টাকে অনাকাঙ্ক্ষিত বলা হইয়াছে। উপরন্তু পিএসসি কর্তৃপক্ষ ইচ্ছা করিলে এলজিইডির পদসমূহ বাদ রাখিয়া অন্য পদসমূহে নিয়োগের সুপারিশ করিতে পারিত। ফলে চূড়ান্ত মুহূর্তে অজ্ঞাত কারণে এলজিইডির নিয়োগ স্থগিত করার সুপারিশের ন্যায় আদালতের রায়ের জন্য পিএসসির অপেক্ষাও আমাদের নিকট বিস্ময়কর মনে হইয়াছে।

অন্য সকলের ন্যায় আমরাও প্রত্যাশা করি, সোমবার আদালতের রায়ে সংশ্লিষ্ট চাকুরিপ্রত্যাশীরা ন্যায়বিচার পাইবেন। এমনকি আদালতের রায় যাহাই হউক, ৪০তম বিসিএসের নন-ক্যাডার পদে নির্বাচিত প্রার্থীদের নিয়োগ আর ঝুলাইয়া রাখা হইবে না।

আরও পড়ুন

×