আইডিয়াল স্কুল রাহুমুক্ত হউক

.
সম্পাদকীয়
প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৩ | ১৭:২০ | আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৩ | ২৩:২৩
কেলেঙ্কারি যেন রাজধানীর খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজকে নিষ্কৃতি দিতেছে না। পরিচালনা কমিটির দুই সদস্য খুন ও প্রশ্ন ফাঁস মামলার আসামি হিসেবে কারাগারে। কমিটির ষাটোর্ধ্ব এক সদস্য ধর্ষণ মামলার আসামি হইয়া পদত্যাগ করিয়াছেন। একই মামলার আসামি হইয়া পদত্যাগ করিতে হইয়াছে পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব অধ্যক্ষকেও। এই সকল কিছুর সঙ্গে সম্প্রতি যোগ হইয়াছে আর্থিক কেলেঙ্কারি। সোমবার সমকালের এক প্রতিবেদেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে বিদ্যালয়ের তহবিল হইতে ৩০৪ কোটি টাকা লোপাটের ঘটনা উঠিয়া আসিয়াছে। একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিচালনা কমিটি করা হয় প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম নিয়মিত নজরদারির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির মর্যাদা বৃদ্ধির স্বার্থে। অথচ আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ঘটিয়াছে সম্পূর্ণ ইহার বিপরীত। প্রতিবেদনমতে, বর্তমান পরিচালনা কমিটি বরং পূর্ব হইতেই খ্যাতনামা এ প্রতিষ্ঠানটির মর্যাদা তলানিতে লইয়া গিয়াছে।
আমরা জানি, মূলত কয়েকজন বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তির নিরন্তর প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠানটি মাত্র কয়েক দশক পূর্বেও মেধা লালন ও বিকাশের অনন্য প্রতিষ্ঠানের পরিচিত ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক, গত শতকের শেষ দশকে প্রতিষ্ঠানটি দলীয়করণের শিকার হয়। মূলত ওই বিষবৃক্ষেরই চারা আজিকে মহিরুহে পরিণত হইয়া প্রতিষ্ঠানটির এমন হাল করিয়াছে। প্রতিবেদনে স্পষ্ট, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক বিবেচনায় গঠিত বিদ্যমান পরিচালনা কমিটি একের পর এক দুর্নীতি-অনিয়মের জন্ম দিলেও অদ্যাবধি অভিভাবক হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা অন্য কেহই উহাতে কর্ণপাত করে নাই।
তবে আমরা মনে করি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জাগিয়া উঠিবারর সময় হইয়াছে; প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা খোলনলচে পাল্টাইয়া তথায় নিয়মের শাসন প্রতিষ্ঠা করিতে হইবে। আর উহার শুভ সূচনাস্বরূপ যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে দুর্নীতি-অনিয়মের হোতাদের কঠিন শাস্তির আওতায় আনিতে হইবে।