ঢাকা রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

হার্টের রিং ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট অমানবিক

হার্টের রিং ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট অমানবিক

.

সমকাল ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ২৩:১০

হার্টের রিং সরবরাহকারী ব্যবসায়ীদের একাংশের ধর্মঘটের কারণে সংকটাপন্ন রোগীদের বেশ কয়েকজনকে অস্ত্রোপচার কক্ষ হইতে ফেরত পাঠানো হয়। সমকালের এই সংবাদ যে কোনো মানুষকে মর্মাহত করিবার জন্য যথেষ্ট। কেননা, ব্যবসায়ের দাবি অপেক্ষা জীবনের দাবি অনেক অনেক বেশি। রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে সৃষ্ট রিং সংকট যেই পরিস্থিতির জন্ম দিয়াছে, উহা নিঃসন্দেহে অমানবিক। 
কাহারও হৃৎপিণ্ডে রক্ত সঞ্চালনে ব্লক বা বাধার সৃষ্টি হইলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব এক বা একাধিক রিং পরানোই ভরসা। দেশে প্রধানত যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের রিং ব্যবহৃত হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের শুধু একটা আকৃতির রিং পাওয়া যায়; ইউরোপীয় রিং পাওয়া যায় বিভিন্ন আকৃতির। ফলে শেষোক্ত উৎসের রিং দেশে অধিকতর জনপ্রিয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ইউরোপীয় রিং আমদানিকারকরাই শনিবার হইতে ধর্মঘটে গিয়াছেন। 

ধর্মঘটি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর তাহাদের আমদানি করা ৪৪ ধরনের রিংয়ের মূল্য পুনর্নির্ধারণ করায় তাহারা লোকসানের সম্মুখীন। তবে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের বক্তব্য, ১৩ সদস্যের জাতীয় বিশেষজ্ঞ কমিটি মূল্য পুনর্নির্ধারণের পূর্বে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সহিতও কথা বলিয়াছে। অধিকন্তু দেশে এতদিন রিংয়ের মূল্য ভারত-নেপাল অপেক্ষা অনেক বেশি ছিল এবং বর্তমান মূল্যেও ব্যবসায়ীদের প্রভূত লাভ থাকিবে। উল্লেখ্য, অধিদপ্তর গত ১২ ডিসেম্বর পুনর্নির্ধারিত মূল্য-সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে। যাহার ফলে রিংভেদে মূল্য হ্রাস পায় ২ সহস্র হইতে ৫৬ সহস্র টাকা পর্যন্ত। নির্দেশনাটি শনিবার হইতে বলবৎ হইয়াছে।

জীবন রক্ষাকারী অন্যান্য ঔষধের ন্যায় হার্টের রিংয়ের মূল্য লইয়া এতদিন দেশে এক প্রকার অরাজকতা চলিয়াছে। সেই দিক হইতে হার্টের রিংয়ের মূল্য ধার্য করিয়া দেওয়া অত্যন্ত সংগত। রিং ব্যবসায়ীরা চাহিলে পুনরায় নিয়ন্ত্রক সংস্থার সহিত আলোচনায় বসিতে পারেন। তবে তাহাদের অবিলম্বে মৃত্যুশঙ্কায় থাকা হার্টের রোগীদের জিম্মি করিতে ধর্মঘটের অপকৌশল ত্যাগ করিতে হইবে।
 

আরও পড়ুন

×