ঢাকা সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

নূতন করিয়া রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ নহে

নূতন করিয়া রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ নহে

প্রতীকী ছবি

সমকাল ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৪ | ০০:৪০

প্রতিবেশী মিয়ানমারে দেশটির সেনাবাহিনী ও বিপ্লবী গোষ্ঠীর মধ্যকার সংঘাতে নূতন করিয়া বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের আশঙ্কা বাড়িয়া গিয়াছে। দালালদের সহযোগিতায় দেশের কক্সবাজার ও বান্দরবানের বিভিন্ন পয়েন্টে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটিতেছে বলিয়া বৃহস্পতিবার সমকালে যে প্রতিবেদন প্রকাশ পাইয়াছে, উহা উদ্বেগজনক। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে যেই ১২ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাস করিতেছে, সরকার তাহাদের লইয়া বহুবিধ সমস্যার সম্মুখীন। এহেন অবস্থায় পুনরায় তাহাদিগের অনুপ্রবেশ কাম্য নহে।
সমকালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মিয়ানমারের সংকট পুঁজি করিয়া দুইটি দেশের সীমান্ত এলাকায় রোহিঙ্গা পাচারে এক শ্রেণির দালাল গড়িয়া উঠিয়াছে। তাহারা ২০ সহস্র হইতে লক্ষ টাকার বিনিময়ে বান্দরবান ও টেকনাফ সীমান্তবর্তী এলাকায় রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের সুযোগ করিয়া দিতেছে। ইতোমধ্যে ২০ মে হইতে ২৩ জুলাই পর্যন্ত টেকনাফ নদ ও বঙ্গোপসাগরে মৎস্য আহরণের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হইয়াছে। কিন্তু জেলেরা উহা মানিতেছে না এবং রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে তাহারাও সহযোগিতা করিতেছে বলিয়া অভিযোগ।  

বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা এবং সরকার নানাবিধ সহায়তা করিতেছে। রোহিঙ্গাদের একটি অংশ এরই মধ্যে বিভিন্ন গোষ্ঠীর স্বার্থকে কেন্দ্র করিয়া কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ায় নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঘটাইতেছে। ফলে সার্বিকভাবে সেইখানে আইনশৃঙ্খলার উল্লেখযোগ্য অবনতি দেখা দিয়াছে। নূতন করিয়া অনুপ্রবেশ করিলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হইতে পারে। 
আমরা জানি, রোহিঙ্গা সমস্যার চূড়ান্ত সমাধান মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন। ইহা লইয়া বাংলাদেশের সহিত মিয়ানমারসহ অন্য রাষ্ট্রগুলির দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় বৈঠক হইলেও এখনও কোনো সমাধানে উপনীত হওয়া সম্ভব হয় নাই। উপরন্তু মিয়ানমারের ভ্যন্তরীণ সংকট আরও জটিল করিয়াছে।  মিয়ানমারে অনেক এলাকার নিয়ন্ত্রণ বিদ্রোহ গোষ্ঠীর হাতে রহিয়াছে। বিশে করিয়া রোহিঙ্গাদের আবাস যেইখানে সেই রাখাইনের নিয়ন্ত্রণ লইয়া আরাকান আর্মির সহিত সংঘর্ষ চলিতেছে। যাহার প্রভাবে নূতন করিয়া রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ছাড়াও সেন্টমার্টিনের সহিত যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটিতেছে। এমতাবস্থায় সরকারের উচিত হইবে শীঘ্রই মিয়ানমার সামরিক বাহিনী কিংবা তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে আরাকান আর্মির সহিত আলোচনা করা। একই সঙ্গে দালাল চক্রকে আইনের মুখোমুখি করিয়া সীমান্ত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা জোরদার করা। কোনোভাবে নূতন করিয়া কোনো রোহিঙ্গাকে অনুপ্রবেশের সুযোগ দেওয়া যাইবে না। 

আরও পড়ুন

×