ঢাকা মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

পরিবেশ-প্রতিবেশ

হঠাৎ বনে ঝড়, মনে ঝড়

হঠাৎ বনে ঝড়, মনে ঝড়

জুলফিকার আলি মাণিক

প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ১২:০০

চোখে লোভ, বুকে ভয় পর্যটকদের সুন্দরবন দেখার পুঁজি। তাদের মার্বেলসদৃশ জোড়া চোখ বনের চারদিকে আঁতিপাতি করে ঘোরে এক ঝলক বাংলার বাঘ দেখার লোভে। আবার বুকভরা জমাট ভয়- এই বুঝি বাঘের মুখে পড়ে! ভয় কাটে না; সুন্দরবন যাত্রার লোভও হটে না। এবার যাত্রা জুটল সদ্যগত মাঘে। 'মাঘের শীতে বাঘ কাঁপে'- শৈশবে মায়ের মুখে শোনা। বাঘ কেঁপেছে কিনা জানি না; তবে এটা নিশ্চিত- এবার বাঘের গায়ে মাঘের বৃষ্টি পড়েছে। মাঘে এমন বৃষ্টি বিরল। খুলনার আবহাওয়াবিদের ভাষায়, 'অস্বাভাবিক।' ঘটেছে ২১ মাঘ, অর্থাৎ ৪ ফেব্রুয়ারি। সেদিন মধ্যদুপুর থেকে বিকেলজুড়ে, আবার মাধ্যরাতের আগে-পরে সুন্দরবন যেই দাপুটে বৃষ্টিতে ভিজেছে, তা দেখে বনের বাঘেরও বর্ষা বলে ভ্রম হতে পারে। সন্ধ্যায় কটকায় নদী আর সাগরের মোহনার কাছে লঞ্চ নোঙর করে। তখন আকাশের ভিন্নরূপ- তারায় ভরা আকাশে নতুন চাঁদের হাসি যেন বার্তা দিচ্ছিল- বনের ওপর থেকে মেঘ কেটে গেছে। কাছেই নোঙর করা আরেক বড় লঞ্চে এক দল পর্যটকের মাইক বাজিয়ে গান আর ভোজের আয়োজন বনের নীরবতা ও নিয়মকে অবজ্ঞা করছিল। সুন্দবনের ভেতর উৎকট উৎসবের শব্দ আর চাঁদ-তারা ভরা আকাশ দেখে ঘুণাক্ষরেও সন্দেহ জাগেনি যে, দুর্যোগের রাত অপেক্ষা করছে।
রাত ৯টার দিকে হঠাৎ লঞ্চের মাস্টারের সন্ত্রস্ত অস্থিরতা। নোঙর তুলে ইঞ্জিন ছাড়েন। ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটতে থাকেন নদীর ভেতর, লক্ষ্য- মোহনা থেকে নিরাপদ দূরত্বে যাওয়া। লঞ্চ চালাতে চালাতে চিন্তিত মাস্টার কৌতূহলের জবাব দেন, সাগরে হঠাৎ ঝড় উঠছে। মোহনার অদূরে যেখানে লঞ্চটি নোঙর করেছিল, সেদিক দিয়েই ঝড় ঢুকবে বনে। ২০০৭ সালেও নাকি ভয়াল ঘূর্ণিঝড় সিডর ঢুকেছিল এই পথে।
আমাদের লঞ্চ ছিল ছোট। মোহনার বিস্তৃত এলাকার কাছে থাকলে মাঘের রাতের ছোট ঝড়েও বিপদ ছিল নিশ্চিত। তাই নদী বেয়ে নিরাপদ দূরত্বে বনের ভেতর ছোটেন মাস্টার। একটি খাঁড়িতে নোঙর করেন, যেন দু'পাশে বনের উঁচু গাছগুলোর বুক বাতাস ঠেকিয়ে আমাদের বাঁচায়। তা-ই হলো। রাত সাড়ে ১১টায় দমকা বাতাস; দেড়টার দিকে ধারাবাহিক বজ্রপাতসহ হঠাৎ ঝড় মনে উদ্বেগ জাগায়। স্বল্পস্থায়ী ঝড়ের বাতাস পাশের লঞ্চকে ঠেলে বনের ডাঙায় তুললে অদ্ভুতভাবে আমরা রক্ষা পাই। শান্ত হয় বন; ক্লান্ত প্রকৃতি নীরবতায় ডোবে। মনে কৌতূহল জাগে, মেটান লঞ্চের কাণ্ডারি ইউনূস- তার কাছে ঝড়ের কোনো তথ্য বা পূর্বাভাস ছিল না। হঠাৎ আকাশ ও বাতাসে পরিবর্তন দেখেন; অনুমান ও অনুভব করেন- কাছেই সাগরে ঝড় উঠছে; বনে আসবে আমাদের নোঙর করা নদীর পথ ধরে। তাই দ্রুত নিরাপদে সরে আসেন ২৯ বছর ধরে সুন্দরবন অঞ্চলে লঞ্চ চালানোয় অভিজ্ঞ ইউনূস।
পরে নগর ব্যস্ততায় ফিরে ফোনে কথা হয় খুলনা আবহাওয়া দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিরুল আজাদের সঙ্গে। তিনি বোঝান, আমরা যাকে পূর্বাভাসহীন ঝড় বলছি, তা আবহাওয়া বিদ্যার ভাষায় 'দমকা বাতাস'। প্রতি ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ কমপক্ষে ৬২ কিলোমিটার হলে তারা ঝড় বা ঘূর্ণিঝড় বলেন। আর বৈশাখ মাসে ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটারের ওপরে বাতাসের গতিবেগ হলে এবং তা কমপক্ষে এক মিনিট স্থায়ী হলেও তাকে গণ্য করা হয় কালবৈশাখী হিসেবে। কালবৈশাখীতে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬০-৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। মাঘের সেই রাতে মোংলা বন্দরে বাতাসের গতিবেগ ছিল প্রতি ঘণ্টায় ৩৭ কিলোমিটার। পূর্বাভাস হয় ঝড়ের; দমকা বাতাসের না। সাগর ও সাগরের কাছাকাছি বিস্তৃত ফাঁকা এলাকায় দমকা বাতাসের তীব্রতা একটু বেশি অনুভূত হয়। তাই ঝড়ের মতো মনে হয়; এটা শহর-নগর জনপদে অনুভূত হয় না। সেদিন অবশ্য খুলনা-মোংলা-সুন্দরবন অঞ্চলে বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। মাঘের একই সময়ে রেকর্ড ঘেঁটে সুন্দরবনে আমাদের দেখা সেদিনের বৃষ্টিকে আমিরুল আজাদ ইংরেজিতে 'রেয়ার', বাংলায় 'অস্বাভাবিক' বলেছেন।


হোক আবহাওয়া বিদ্যার পূর্বাভাসহীন দমকা বাতাস কিংবা লঞ্চমাস্টার ইউনূসের 'ঝড়'; সেটা সুন্দরবন ও আশপাশের চর এলাকার কয়েকজন মানুষের প্রাণের বিনিময়ে রাতেই কেটে গেছে। তবু ভোরে সুন্দরবনে দেখি সুন্দর সূর্যোদয়। আগের দিন মাঘের বৃষ্টি দেখে যেমন বর্ষাকাল বলে ভ্রম হয়েছিল, তেমনি রোদ ঝলমলে দিনে বন দেখে আরেক ভ্রম ঘটল। সুন্দরবনকে কি শহর বানানো হচ্ছে! নৌকা ভরে ইট, বালু, সিমেন্ট, খোয়া, রডসহ বিচিত্র নির্মাণসামগ্রী আসছে। রাতে অন্য লঞ্চে মাইক বাজিয়ে উৎকট উৎসবের মতোই অনুভূতি হলো সুন্দরবনে বিচিত্র শহুরে কাঠামো নির্মাণের উৎসব দেখে। কটকায় বনের ভেতরের যে পথ দিয়ে হেঁটে গত দেড় যুগে বেশ কয়েকবার জামতলা সাগরসৈকতে গেছি, এবার দেখি সেখানে অনেক পথনির্দেশিকা নির্মাণ করা হয়েছে। কংক্রিটের বেস্‌-এর ওপর লোহা ও স্টিলের ফ্রেম দিয়ে 'টি' আকৃতিতে বানানো। গায়ে লেখা 'জামতলা সি-বিচ' এবং তার দূরত্ব। ধীরে হাঁটলেও ৪৫ মিনিটের হাঁটা পথ। কয়েকটা 'ওয়াচ টাওয়ার' এর পথনির্দেশ করছে। এই হাঁটা পথের পাশেই শহুরে ঢঙে কংক্রিটের পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা হচ্ছে।
এসব দেখে মনে পড়ল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিগত কয়েক বছরে অনেকবার বলেছেন, প্রতিটি গ্রামকে শহর বানাবেন। কিন্তু সুন্দরবনকে শহর বানানোর কথা তিনি কখনও বলেছেন বলে চোখ ও কান সাক্ষ্য দিচ্ছে না। তাহলে কেন পশুদের সুন্দরবনকে মানুষের শহরের রূপ দেওয়ার আয়োজন? পর্যটক দলগুলোর সঙ্গে গাইড ও বনের সশস্ত্র প্রহরী থাকে। তারা সবাইকে পথ দেখিয়ে নেন। তাহলে কার স্বার্থে জনগণের টাকা খরচ করে সুন্দরবনের অভয়ারণ্যে এমন পথনির্দেশিকা নির্মিত হয়েছে? একইভাবে পর্যটকরা লঞ্চে সব প্রস্তুতি সেরে বনের ভেতর সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য হাঁটতে নামেন। তাদের জন্য সুন্দরবনের অভয়ারণ্যে বানানো হচ্ছে কংক্রিটের শহুরে পাবলিক টয়লেট। অথচ ২০ কোটি মানুষের রাজধানী শহরে গলা ফাটিয়েও ৫০ বছরে পাবলিক টয়লেটের সুবিধা তৈরি করা যায়নি। ঢাকা শহরের অল্প কয়েকটি হাঁটার পার্কেও ঠিকমতো পাবলিক টয়লেট নেই। কিন্তু জনগণের অর্থ ব্যয় হচ্ছে সুন্দরবনের জঙ্গলে পাবলিক টয়লেট তৈরি করতে।
কৌতূহল থেকে শহরে ফিরে সুন্দরবনের দু'জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে ফোনে কথা বলি। জানতে পারি, সুন্দরবনে ২৫ কোটি টাকার একটি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। বনের বিভিন্ন এলাকায় নির্মাণ হবে 'ওয়াচ টাওয়ার,' 'ফুট ট্রেইল'। অর্থাৎ মানুষের হাঁটার ইটের পথ, 'গোলঘর,' পাবলিক টয়লেট, 'হ্যাঙ্গিং ব্রিজ' বা ঝুলন্ত সেতু, 'সুদৃশ্য গেট,' 'ইনফরমেশন সেন্টার'। অর্থাৎ তথ্যকেন্দ্রসহ নানা কিছু। এসব নাকি সুন্দরবনে 'ইকো ট্যুরিজম প্রকল্প' বাস্তবায়নের চেষ্টা। কটকা, কচিখালী, হিরণ পয়েন্টসহ যেসব অভয়ারণ্যে পর্যটক যান, সেখানে 'ম্যাস ট্যুরিজম', অর্থাৎ পর্যটকদের গণপ্রবেশ ও ভ্রমণ বন্ধ করে দেবে সুন্দরবন বিভাগ। বন রক্ষা করতেই নাকি এসব উদ্যোগ। তাদের কথা সত্য হলে কটকাসহ সুন্দরবনের বিভিন্ন বনের ভেতর শহুরে কায়দায় কংক্রিটের পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা হচ্ছে কাদের জন্য? জামতলা সি-বিচ ও ওয়াচ টাওয়ারে যাওয়ার শহুরে পথনির্দেশিকা স্থাপন করা হয়েছে কার স্বার্থে? অথচ 'সুন্দরবন ভ্রমণে পর্যটকদের ১১টি করণীয়' লেখা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বোর্ড অবহেলায় নষ্ট হয়ে আছে; সেটা বরং বনের সুরক্ষায় পর্যটকদের জন্য বেশি জরুরি।
চিড়িয়াখানার মতো সাজানো সুন্দরবনের করমজলেও একই রকম অযত্ন-অবহেলার ছাপ। পর্যটকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোতে কর্তৃপক্ষের মনোযোগ, গুরুত্ব ও আগ্রহে ঘাটতির বিষয়টি স্পষ্টতই দৃশ্যমান। তবে ভীষণ গুরুত্ব দিয়ে কংক্রিটের তোরণসদৃশ একটি বিশাল গেট বানানো হচ্ছে। তার সামনে দল বেঁধে গল্পরত বন প্রহরীদের একজনকে কৌতূহল নিয়ে জিজ্ঞেস করতেই সগৌরবে উঁচু গলায় কয়েকবার বললেন, 'দেখার মতো একটা গেট বানানো হইতেছে; পরেরবার আইসা দেখবেন। ৩০ লাখ টাকা দিয়া বানাইতেছে; সেই রকম দেখার মতো একটা গেট হবে।' শহরে ফিরে ফোনে দীর্ঘ কথা বলার সময় যখনই করমজলে নির্মাণাধীন গেটের বাজেট জানতে চেয়েছি, সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তার কণ্ঠে যেন অসন্তুষ্টির আভাস। তিনি '১০ লাখ টাকা' বলেই ফোন কেটে দিলেন। ৩০ লাখ না হয়ে যদি ১০ লাখ টাকাও হয়, জনগণের এই অর্থ ব্যয় করে বনে কেন এমন শহুরে প্রবেশপথ করতে হবে? বনকে নিজের মতো থাকতে না দিয়ে প্রকল্পবাজির ধারাবাহিকতায় শহুরে সাজের স্বাদ দিতে থাকলে সুন্দরবন দেখতে যাওয়ার আদৌ কিছু অবশিষ্ট থাকবে কিনা ভবিষ্যতে- সেই দুশ্চিন্তার ঝড় উঠেছে মনে। যেসব নির্মাণ প্রকল্প সুন্দরবনে চলছে, সেগুলো বনের পশুপাখির নিজস্ব স্বাভাবিক পরিবেশ ও বিচরণক্ষেত্রকে যে ক্ষতিগ্রস্ত করবে- সেটা কি আদৌ বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে? নাকি সচেতন বা অচেতনভাবে পশুদের সুন্দরবনকে একটু একটু করে মানুষের সুন্দরবনে রূপান্তর করার পথে সবকিছু এগোচ্ছে? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনেকবার বলতে শুনেছি- কোনো দপ্তর যেন অহেতুক, অপ্রয়োজনীয় এবং প্রকল্প নিতে হবে বলে প্রকল্প বানানো থেকে বিরত থাকে। অথচ নগর, শহর ও গ্রামীণ জনপদ ছেড়ে প্রকল্পবাজির সংস্কৃতি এখন বাঘের বনেও গড়ে উঠেছে। বিভিন্ন প্রকল্পের নামে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অপচয়ের খবর এখন নিত্য মেলে। এসবের গল্প করতে করতে লঞ্চে পরিচয় একজন পর্যটক বললেন, তুমুল নিন্দা ও সমালোচনার মুখে বিদায় নেওয়া রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক উপাচার্য নাকি এক কোটি টাকা ব্যয় করে ক্যাম্পাসে একটি গেট নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন; শেষ পর্যন্ত পারেননি। এই পর্যটক সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। জনগণের টাকায় পরিচালিত সব ধরনের দপ্তরে বিপুল অর্থ ব্যয় করে বিশাল গেট নির্মাণের যে হুজুগ ১৩ বছর ধরে চলছে, তা বাঘ-হরিণের বাড়ি সুন্দরবনেও পৌঁছেছে।
এবার বন ঘুরে এই ভেবে মন বিষাদপূর্ণ হলো, সুন্দরবনের আকাশে সেদিন মাঘের অস্বাভাবিক মেঘ কেটে গেলেও বনের জীবন থেকে মেঘ কাটেনি, বরং যেন আরও ঘনীভূত হচ্ছে। বনের ঝড় সেই রাতে থামলেও পরের দিন থেকে সুন্দরবনে এসব অনাকাঙ্ক্ষিত, প্রশ্নবিদ্ধ শহুরে নির্মাণ প্রকল্প দেখে হঠাৎ মনেও ভয়ের ঝড় উঠেছে। মাঘের বিরল বৃষ্টি সেদিন শুধু সুন্দরবনের বাঘকেই নয়, আমাকেও ভিজিয়েছে। সেই বৃষ্টি রাতে থামলেও পরদিন থেকে সুন্দরবনের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় নিজের দুই চোখের আকাশজুড়ে বৃষ্টি জমেছে। কচিখালীতে সুন্দরবন-শরণখোলা রেঞ্জে দেখি পর্যটকদের হাঁটার পথের পাশে খোলা আকাশের নিচে কাঠের তৈরি লেক্‌চার স্ট্যান্ড রাখা। তার গায়ে লেখা 'জেনারেল কমেন্ট বক্স'; অর্থাৎ পর্যটকদের মন্তব্য লেখার জায়গা। কাছেই বন বিভাগের একজন কর্মীকে জিজ্ঞেস করলাম, এই মন্তব্য খাতা কবে চালু হয়েছে? বললেন, চার-পাঁচ মাস হবে। ভাবলাম, এবার বন দেখে মনের ঘরে ওঠা ঝড় আর চোখের আকাশে জমা বৃষ্টির কথা লিখে যাই। বাক্সের ঢাকনাটি তুলতেই দেখি, ভেতরে শুধু এক হাত লম্বা ফাটা বাঁশের কঞ্চি।
জুলফিকার আলি মাণিক: জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক

আরও পড়ুন

×